এলোমেলো ভাবনারা-১
একটা সময় ছিল যখন স্বাতী, রোহিনীদের আমাদের বাড়ির ছাদ থেকে আবার উঠোন থেকেও দেখা যেত । আজ আমাদের কল্পনাতেও আজ ধরা দেয়না সেই প্রিয় নক্ষত্র-কন্যারা। অথচ কত কবির কবিতার পথ মিশত গিয়ে সপ্তর্ষীমন্ডলের সীমানায়। পূর্ব দিগন্তে কোন নক্ষত্রের আবির্ভাবে কৃষকের দিললিপি শুরু হত,নাবিকের দল ধ্রুবতারা বা সপ্তর্ষীমন্ডলের অবস্থানে চিনে নিত পথের দিশা। অমাবস্যায় মেঘের মত ছায়াপথে সম্মোহিত হত মানুষ। সেই রহস্যময় রাতের আকাশ ম্রিয়মান আজ আলোর ঝলকানি আর দুষিত বাতাসে। সেই অদ্ভূত সরল জীবনের স্বাতী,অভিজিৎ আর রোহিনীরা কোথায় হারিয়ে গেছে! ইথারে ভেসে এসে সেই জীবনে জায়গা নিয়েছে আফরিন, ফারিয়াদের ডিজুস গুঞ্জরণ আর আকাশ (কক্ষপথ) থেকে ভেসে আসা পাখি,রাশি দের জটিল জীবনচিত্র।
এলোমেলো ভাবনারা-২
আমাদের মাথার উপর অসীম এক মহাবিশ্ব। আচ্ছা, মহাবিশ্বের পর কি আছে? কিছুই নেই অথবা অন্যকিছু ? মজার ব্যাপার হলো এই "কিছুই নেই" কে বোঝাতেই শুন্যের জন্ম হয়েছিল। ইংরেজি জিরো শব্দটা এসেছে আরবী সাফিরা শব্দ থেকে যার অর্থ "সেখানে কিছু ছিল না"। মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে ছায়াপথ এর পর হয়তো কিছু নেই অথবা আছে এক বিশাল এক শুন্যতা-মহাশুন্য !
আবার বিপরীতে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর নিয়ে ভাবলেও এরকমই জবাব আসে।পদার্থ তারপর অনু-পরমানু-প্রোটন-ইলেকট্রন-নিউট্রন। তার ভেতর কি? আর কিছু নেই? শুন্য? তাহলে তো দেখি, এই ক্ষুদ্রশুন্য থেকে মহাশুন্যের ভেতর কতই না শুন্যতা! একারনেই বুঝি হাজারও শুন্যতা নিয়েই জীবন অথবা বলা যায় এইসব শুন্যতা নিয়েই জগৎ-সংসারের পূর্ণতা!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭