শুনো শুনো ভাই বোনেরা
শুনো দিয়া মন।
এই নিশীথে ব্যক্ত করবো
মনেরই কথন।
পূর্ব পাড়ার গাঁয়ে ছিলো
রূপসী এক কন্যা।
তাঁহার কথা কী কবো আর
রূপে সে অনন্যা।
ওরে
শুনো তুমরা শুনো সবাই
করি যে বর্ণণ।
সেই রূপসীর রূপের জন্য
ব্যাকুল ছিলো মন।
হাঁটতো পথে হেলেদুলে
হাসি থাকতো ঠোঁটে।
সেই হাসিতে নিত্য ওরে
কাননের ফুল ফোটে।
আরও আছে শুনো যদি
শুনাবো এখন।
সঙ্গে আছি আমি ওরে
তোমাদের শ্রাবণ।
সকাল বেলা ফুল তুলিতে
পুকুর পাড়ে যায়।
আমি শ্রাবণ চুপিসারে
থাকি অপেক্ষায়।
ও সে কন্যা গুন গুনিয়ে
কী জানি গান গায়।
পুকুরের ঐ শাপলা তুলে
আচলও ভরায়।
আলতা রাঙা চরণ তাঁহার
দীঘল কালো কেশ।
টানা চোখে কাজল দেওয়া
লাগে তারে বেশ।
পাড়ার সকল বুড়া জোয়ান
তাঁহার দিকে চায়।
তাই দেখিয়া কন্যা ওরে
বড় শরম পায়।
হঠাৎ, হঠাৎ একদিন সেই রূপসীর....
ওরে
হঠাৎ একদিন সেই রূপসীর
বিয়া হইয়া গেলো।
প্রাণ পাখিটা উড়াল দিয়া
গগণে পালাইলো।
পাশের গাঁয়ের জমিদারে
করলো তারে বিয়া।
সামনে দিয়া লইয়া গেলো
গহনা পড়াইয়া।
পালকির ফাঁকে কন্যার চোখে
দেখেছিলাম জল।
বুকের মাঝে জ্বলেছিলো
দুখেরও অনল।
বছর খানেক যাওয়ার পরে
একদিন শোনা গেলো।
জমিদার যৌতুকের জন্য
কন্যাকে মারিলো।
তারপর তারপর?
তারপর ওরে নিয়ম করে
অত্যাচার বাড়িলো।
বছর খানেক যেতেই হঠাৎ
কানে খবর এলো।
সেই রূপসী কন্যা যে আর
নাইরে দুনিয়ায়।
জমিদারের অত্যাচারে
মরিলো সে হায়।
.
পুঁথি-রূপসী কন্যা
--- শ্রাবণ আহমেদ
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১০