somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিঃশেষে বিভাজ্যতার বানিজ্যিক খসড়া

০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গনতন্ত্রের খোলসে বিভৎস এলিটিজম।
এলিটিজম আকড়ে ধরে থাকেন দেশের হর্তা-কর্তারা, যেখানে দেশের মানুষ বিদ্যুতের অভাবে হাসফাঁস করছে সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সংসদে বসে জনগনের নির্বাচিতরা টেবিল চাপরান, গালাগালি করেন আর মৌজ করেন। জনগনের বুক চাপরানিতে শিৎকারী বিনোদন খুঁজেন তারা।

আইনগুলো এলিটের স্বার্থ বিবেচনায়, জনগনের স্বার্থ বলে কি কোন শব্দ আছে? ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এলিট কখনো সাধারন জনগন নয়।
পুঁজিবাদী, টাকাওয়ালা, এলিটের ভোগবিলাসের বাইরে যাবে এমন আইন আমাদের গনতন্ত্র প্রনীত হয় না। ভেটেরনারীর দুয়ারে তালা পড়ে ছাত্র-রাজনৈতিক দ্বারা দাবী - "শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতার মাপকাঠি যাতে কমানো হয়।" কি অদ্ভুত! কি অদ্ভুত আবদার! সরকারে আসলেই "যে যায় মক্কা সে হয় আলহাজ্জ্ব" এই আলহাজ্জ্ব, মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ সরকারের বাক্য বানে মুখস্ত সাধারণেরা তবুও দুটি সর্বোচ্চ দুর্নীতি অনুগামী বৃহৎ দলের অনুসারী। একটি মুজিব একটি জিয়া যদি বেঁচে থাকতেন এ অবস্থা দেখে তারা কি করতেন খুব জানতে ইচ্ছে করে..

একটি সরকার ক্ষমতায় আসেন স্বল্প মেয়াদী বীজ রোপন করেন পাঁচ বছরের মধ্যে ফল পাবার আশায়, আর আগাছার দোষ বিগত সরকারের এটাই তো নিয়ম! দেশ গোল্লায় যাক, দল টিকে থাকুক, দীর্ঘমেয়াদী কোন উদ্যোগ কখনোই নেয়া হয় না কারন সেটা পাঁচবছরের মধ্যে ফলানো সম্ভব না, নিজস্ব উন্নয়ন খাতায় দেখানো সম্ভব নয়। নীচতার সর্ব নিচ পর্যায়ে আমাদের জাতির অবস্থানে নিয়ে গেছে দুর্নীতি পীড়িত এই সব রক্ত চোষা শোষকেরা। আইনের থেকে আইনের ফাঁক খুঁজে নিজের আখের গোছানোয় এমন পটু অভিজ্ঞ ও স্বাধীন জনপ্রতিনিধি কি আর কোথাও পাওয়া যাবে? এদের দিয়েই আইনের ফাঁক গুলোই সিল করানোর আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখি। হাসছেন আপনি? আমিও তো হাসছি।

আমরা দেখি না, আমাদের কান খোলা নেই আমরা বলতে জানি না। সবাই মুগ্ধ দর্শক। সব কিছু গোড়া থেকে শুরু করার প্রত্যয় প্রতিদিন ভোরে উঠে কুলকুচি করে নিই।

আমরা দেশকে নিঃশেষে বিভাজ্যের অংক কষে যাই, আর চিৎকার করে ঘর ফাটাই গ্যাস,বিদ্যুত,পানি আরো সব পুস্তকী 'মৌলিক অধিকারের' জন্য আর অপরদিকে জনপ্রতিনিধির খাতায় থাকে অন্য হিসেব, মান গুলো ছাপোষা শত-সহস্রের কোটায় নয় লক্ষ্য-কোটির কোটায় তাই হয়তো নিঃশেষে বিভাজ্যতার অংক কোন কালেই মিলেনা বাড়ী-গাড়ীর ভিড়ে। জিন থেকে জিনে কেবল দুর্নীতির শাপদ বয়ে এসেছে ছোবল মেরেছে কৃষকের ভাঙা ঘরে, নিম্নবিত্তের ফুটো বাক্সে আর মধ্যবিত্তের জীর্ণ নৈতিকতায়। সব কিছু যখন শেষ! আমরা তবুও আশাবাদী বুলি শুনে ঝিম মেরে পড়ে থাকি।

মাঝে মাঝে ভাবি এই আমাদের রক্তেই বয়ে চলি একটি ১৯৫২ একটি ১৯৭১, স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন ছিল আমাদের বুকে দৃঢ়তায়, রুপকথার মতো ছিল সেই সব বলিষ্ঠ চেতনা, যার স্ফুলিংগে স্বাধীনতা হয়েছে সফল। আপনি হয়তো চিৎকার করে উঠবেন রুপকথা কেন বলছি এটা নিয়ে, হ্যা রুপকথা বলছি কারন এখনকার ক্ষমতাশালীদের যারা অর্জিত স্বাধীনতা ভোগ করছেন চুষে চুষে, তাদের দেখে অবাক লাগে এরা এখানে এলো কি করে? দালালের বাচ্চারা এখনো টুপি দাড়ির বেশ্যাবৃত্তি নিয়ে রাজনীতি করে আর স্বাধীনতা অর্জনের ভাগ চায়! প্রতিমুহুর্তে পদাঘাত খাওয়া নিজেকে দেখে ঠাউর করতে পারি না এতটা নির্লিপ্ত আমরা হলাম কেমন করে? তাই আমার কাছে সেটা ঘুমের জন্য মায়ের কোলে শুয়ে রুপকথার মতো।

হয়তো এতক্ষন যা বললাম সব আপনার মুখস্ত হয়তো এর আগেও এগুলো শুনে থাকবেন, কিন্তু আমি তো নিরুপায় আমি নতুন করে আপনার আর আমার মনের একই কথা নতুন করে কেমন করে বলি? আর রাজনৈতিক বুলিগুলো তো ভাঁজতে ভাঁজতে নৈতিকতার বুলি আমরা কমেডি পর্যায়ে নিয়ে গেছি।

এতটা নির্লিপ্ত আমরা কেমন করে থাকি? দেশকে কুড়ে কুড়ে এভাবে ভ্যাম্পায়ারের কবলে দেখে, মাঝে মাঝে মনে হয় আরেকটি ৭১ খুবই দরকার। হয় এফোঁড় নয় ওফোঁড়।

আরো দু'পেগ ঢালুন,খেয়ে নিজের চেতনার প্রাকটিসটা শেষ করে ফেলি... আমিই তো ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদ।

সব শেষে বলি শুনুন দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়। সরকার খুলেছে মন্দির আর আমরা হলাম মন্দিরে টাঙানো সময় বদলে পাল্টে যাওয়া ব্যক্তি দেবতার পুজারী। আর পুরোহিতরা সব, আপনাকে নিঃশেষে বিভাজ্যের অংক শেখাতে সদা তৎপর, হয়তো কিছুক্ষন পর ফাঁকা কলসির ঠন ঠন শুনতে পাবেন, ততক্ষনে আমাদের ছেড়ে যাবেন না,অপেক্ষায় থাকুন...
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৫
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×