somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবারো ক্লিন বোল্ড হইলাম!!!!!!!! আমার কি হবে গোওওওও

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম প্রকাশ করেছিলাম ফেবুতে, তাই অনেকেরই কমন পড়তে পারে।

আমার ছুড বেলার খেলার সাথি, বান্ধবি ও কাজিন (যার সাথেই একমাত্র আমার ভাল সম্পর্ক,) সে যখন “বিশ্ব ব্যাচেলর সংঘ” এর সেক্রেটারির পদ ছাড়িয়া দিয়া বিবাহ করিবার সিধ্যন্ত নিয়াছিল তখন যথেষ্ট ব্যাধিত হইলাম। :( কিন্তু পরক্ষনেই মনে পড়িল বিবাহ ও গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে খানাপিনার পাশাপাশি অনেক সুন্দরি ও ষোড়শী’র আনা-গোনা হইবে, আমার একটা চান্স/গতি হইলেও হইতে পারে। :P

এইরুপ মনোবাসনা লইয়া গতকাল “সুটেড বুটেড” হইয়া গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হইলাম। সবার পাজামা-পাঞ্জাবির ভিড়ে নিজে “স্যুটেড বুটেড” অবস্থায় প্রথমে কিঞ্চিৎ বিব্রত হইলেও, পরবর্তিতে এই ভাবিয়া খুশি হইলাম যে, যাক!!বাবা!! অনেকেরই দৃষ্টি আকর্শন করিতে তো সক্ষম হয়েছি। ;)

যখনই সবাই গলুদ লইয়া বিদি-ব্যাস্ত হইল তখন আমি আমার অপারেশন “খোজ দ্যা সার্চ” চালু করিলাম।প্রথমে নিজের পরিচিত মানুষ গুলকে আলাদা করিলাম। যদিও উহা বড়ই কস্ট সাধ্য ছিল,কেননা সকল নারীগন আগে থেকেই মনে হয় “একই ডঙ্গে হলুদ রঙের” শাড়ী পরিবার সিধ্যান্ত নিয়া ছিল। X((

মনে মনে এই রুপ সিধ্যান্তের ত্রিব্য নিন্দা জানাইয়া “ফেবুতে স্টাটাস” দিব ভাবিতেছিলাম, সে সময় দেখিতে পারিলাম, ছাদের এক কোনে “এক একুশী রূপবতী” কন্যা আপন মনে গানের তালে তালে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে গান উপভোগ করিতেছে। আমিও আর সময় ক্ষেপন না করে তাহার পিছনে উদয় হইলাম এবং আমিও এমন ভাবে মাথা দুলাইতে লাগিলাম যেন গান’টা আমার খুব প্রিয়। যদিওঁ গাইতে পরিবেশন করছিল এলাকার উড়তি চ্যাঙারা পোলাপানের “ব্যান্ড”, এবং উহাদের গান শুনিয়া উহাদের কে “ব্যান” করার মনোবাসনা উপলব্দধি করিয়া ছিলাম। তথাপি এই “একুশী রূপবতী” কন্যা’র মন জয় করার জন্যে কিঞ্চিৎ “একটিং” মারিলাম। :P

এরপর “শুভ পরিনয়ের” বাসনা লইয়া তাহার সাথে পরিচয় হইলাম। আমার সাপোর্ট পাইয়া তার গান শ্রবনের ইচ্ছা চরম আকার ধারন করিল। সে তার প্রিয় কিছু গান যেমন “দূরে কোথাও আছি বসে”, বিদায় বলেছি বন্ধু -ক্ষমা কর আমায়, বাহির বলে দূরে থাক-ভিতর বলে আস না। ইত্যাদি গান গাইবার জন্যে “চেংরা শিল্পি গুলকে” অনুরোধ করিতে লাগিল। এই রুপ গান আমার কাছে “ঘুমের ওষুধ” মনে হইলেও আমি কিছু বলিতে পারিলাম না, পিছে সম্পর্ক শুরুর আগে শেষ হইয়া যায়। তাই আমি আমার “একটিং” চালাইয়া গেলাম। তবে ভাগ্য ভাল, কারন তৌসিফ বা হৃদ্বয় কেউ আজ উপস্থিত ছিলেন না, থাকলা তাদের “গান বিকৃত” করার অভিযোগে নির্ঘাত মামলা করিতেন।

যাইহোক, আমাদের ফুসর-ফাসোর, টুকটাক কথা বার্তা চলিতে লাগিল, আর আমি সপ্নে দেখিতে লাগিলামঃ তাকে নিয়ে আজ কক্সবাজার, তো কাল রাঙ্গামাটি। সাথে শাহাবাগের ফুসকা ও মোস্তাকিমের কাবাবের সুগন্ধিও নাকে লাগিত লাগল। সপ্নের জাল দির্ঘ থেকে দির্ঘান্নিত হচ্ছে, ঠিক যেমনটি হিন্দি “ধুম-২” ছবির আলি দেখিতে পাইয়াছিল “বিপাশা’কে নিয়ে। ;)

আমার এইরুপ সপ্নের ব্যাঘাত ঘটাইল এক ২ বছর বয়সের এক পুচ্চকে আসিয়া। সে আমার এই নব্য প্রেয়সীকে ডাকিতে লাগিল।

হায় আল্লাহ!!! এই পিচ্চি কয় কি??? দিমু নাকি একখান থাপ্পড় লাগাইয়া!!!!

আমাকে সে সুযোগ না দিয়ে সুন্দরি “এই পুচকে পোলাটারে” কোলে তুলিয়া লইল আর কহিল “মামা’কে হাল্যো বলো।

মামা!!!!

আমি তো পুরাই টাস্কি খাইলাম। তার মানে আমার “একুশী রূপবতী নব্য প্রেয়সী ” বিবাহিতা?????? তার একটা “ছানাও” আছে?????।

হায়!! আমার চারিদিকে এ কি হইল। এত দিন টম এন্ড জেরি কার্টুনেই “বিনা মেঘে বজ্রপাত” দেখিতে পাইতাম, আজ নিজেই উপলব্দি করিলাম।

এইরুপ সুন্দরি নারীগণ যদি আগেই বাল্যবিবাহের কর্ম সাধন করে থাকে তাহলে “দেশ চলবে কেমনে, এই জাতীর কি হইবে???” হায় আফসুসু আর আফসুস।

“ক্লিন বোল্ড” হইবার পরে আমার আর সেখানে থাকার কোনো কারন খুজিয়া পাইলাম না।
অবশেষে ছাদের আরেক প্রান্তে গিয়া বসিয়া রইলাম। কিঞ্চিৎ “জলযোগ” করিবার জন্যে মন’টা আকুপাকু করিতে লাগিল, কিন্তু আত্তিয় স্বজনের মাঝে যেখানে বিড়িও টানিবারও স্বাধিনতা নাই সেখানে “জলের” চিন্তা করাটাই বোকামিই হইবে। তাই কিছু না করি চেয়ারের উপর “ঝিমাইন্না” মুরগির লাহান “ঝিমাইতে লাগিলাম”।

__________ চলবে,
কারন আমার পাশের চেয়ারে বসা “এক ষোড়শী” এক্সকিউজ মি বলিয়া ডাকিতেছে বলে মনে হচ্ছে।





পুনশ্চঃ ইয়ে মানে আমি ফাউল একটা ব্লগার। তাই আমার লেখাও অনেক খারাপ তাই আপনার মুল্যবান সময় নস্ট করলাম বলে দুঃখিত।
৪২টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×