somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেলিভিশনে রেসলিং কি আসল?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রেসলিং। শব্দটি শুনলেই দর্শকদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিশালাকৃতির সুঠাম দেহের মানুষগুরোর মুখ। কম বেশি সবাই কিন্তু টেলিভিশনে এই জনপ্রিয় প্রোগ্রামটি দেকে থাকেন। কিন্তু ম্যাজিকের মতই সারা বিশ্বে রেসলিং এর রহস্য সবার অজানা। গত কয়েক দশক ধরে চলা জনপ্রিয় এই রেসলিং নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা রকম জল্পনা কল্পনা।

রেসলিং এ এত আঘাতের পরেও মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকে এটা নিয়েও সবার মনে রয়েছে নানা সন্দেহ। আর যারা এই রেসলিং এর সাথে জড়িত তারা কখনই এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেন না।

রেসলিং কি আসলেই নকল? হ্যাঁ, রেসলিং একটি অসাধারণ মঞ্চ নাটক ছাড়া আর কিছুই না। তবে সাধারণ মঞ্চ নাটকের সাথে এর পার্থক্য হল মঞ্চে রেসলারদের ভুলগুলো সহজেই চোখে পরে আর রেসলিং সারা বিশ্বের মানুষ নানা প্রান্ত থেকে উপভোগ করে। যেখানে বড় বড় তারকা রেসলাররা লড়াইয়ে জিতে বেশি আয় করে সেখানে কেন একজন রেসলার হেরে যায়? এটার কারণও খুব স্বাভাবিক। মঞ্চ নাটকের মতো এটারও একটা স্ক্রিপ্ট থাকে যাতে বিভিন্ন অভিনেতারা বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করে থাকে। যদি একজন রেসলার নিজে জিততে চায় তাহলে সে শিগগিরই তিনি চাকরি হারাবে।

রেসলাররা কি সত্যিই আহত হয়? এটাও লেখকদের স্ক্রিপ্টে থাকা নকল মারামারির আহত হওয়ার এক দৃশ্য ছাড়া আর কিছুই না। মঞ্চটি রেসলারদের জন্য পুরোপুরি সহায়কভাবেই তৈরি করা থাকে। সেই সাথে রেসলারদের জন্য মঞ্চে নানা রকম আহত হওয়ার আর্ট তৈরি করে রাখা হয় যা সত্যিই একটু বিপদজনক। কোন রেসলার যদি সেই আর্ট অনুযায়ী কাজ না করে একটুও ভুল করে তবে সে মারাত্মক ভাবে আহত হতে পারে। তবে কখনই কোন রেসলার তার প্রতিপক্ষকে ইচ্ছে করে আঘাত করে না ঠিক যেমনটি আমরা চলচ্চিত্রে দেখে থাকি। তবে অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে প্রতিপক্ষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন একজন রেসলারও পাওয়া যাবে না যে এই মঞ্চে আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। অনেকে বড় ধরনের আঘাত পেয়ে তারা ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন।

রেসলিং এর সময় যে রক্ত দেখা যায় তা কি আসল? বেশিরভাগ সময়ই সেগুলো সত্যিকারের রক্ত থাকে। রেসলারদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় এক ধরনের ব্লেড ব্যবহার করা হয়। তবে অনেক সময় অসতর্কতার কারণে শরীরের অন্য অংশ থেকেও রক্ত ঝরে। এছাড়া রেসলিং এর সময় ব্লাড ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। তবে কখনই রং অথবা সস ব্যবহার করা হয় না। রেসলাররা কি অবৈধ ড্রাগ গ্রহণ করে? সব রেসলাররা অবৈধ ড্রাগ বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে না।

অন্যান্য খেলায় পারদর্শী খেলোয়াড়দের মত রেসলাররাও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জিম করে ও হরমোন বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খায়। তবে অনেক রেসলার গোপনে ড্রাগ নিয়ে থাকলেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই।

রেসলিং মঞ্চে রেসলারদের বান্ধবীরা কি সত্যিই তাদের বান্ধবী? না, রেসলিং মঞ্চে শুধু মাত্র ফ্যামিলি ড্রামা করার জন্যই রেসলারদের কাছে এ ধরনের সঙ্গিনী পাঠানো হয়। তারাও নানা রকম ভঙ্গির মাধ্যমে রেসলিংকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করে থাকে।

রেসলিং এ রেফারিরা এত অসহায় থাকে কেন? অন্যান্য খেলার মত রেসলিং এর রেফারিরা এতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না এছাড়া তাদের আচরণেও অত্যন্ত অসহায় ভাব প্রকাশ পায়। রেফারিদের এ ধরনের আচরণও নাটকেরই একটা অংশ। রেফারিদের কানে সবসময় একটা হেডফোন লাগানো থাকে। তারা পরিচালকের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী রেসলিং পরিচালনা করেন।
সূত্রঃ http://goo.gl/wGf0Yo
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×