somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রম্য ব্যঙ্গ কাহিনী কবি ও মেয়ে , দায় বদ্ধ সমাজ

১০ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হুমায়ুন আহমেদ তার বান্ধবির মেয়েকে বিয়ে করায় আমি কবি হলাম সমাজের দায়
আমার সাথে স্কুল থেকে কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা
সবাই সম্পর্ক গড়ে তুলে , ১২ বছরে তার সংখ্যা হবে ১০০০
ওরা ডাকে আংকেল আর আমি কার্যত সাজি ভাতিজিদের খেলার
পন্য , এখন কি করব , এ খেলা আর শেষ হয়না । শেষতক এক মাস্টর ভাতিজিকে আমার অনুজ লেখক , ইঞ্জিনিয়ার এর নিকট
বিয়ের পিঁড়িতে সাজিয়ে দিলাম , সেটা কি ভাল না মন্দ হল ।
এখন আমি পালিয়ে বেড়াই , সমাজ , সংসার আর রাজনৈতিক
নিশা থেকে , নির্জন কুনু জঙ্গলে যাব সেটাও খুজে পাচ্ছিনা ।
বহুত ভাবনা চিন্তা করে একটা আস্তানা গড়ে নীরবে উপন্যাস লিখায় মগ্ন ছিলাম । শব্দ শুনে মাথা তুলে দেখি এক চিত্রা হরিণী
ভাবলুম চলে যাবে আমাকে দেখে আরও নিলজ্জের মত তার হরিণ
কাল চউখ মেলে সামনে এসে বললে আংকেল আমাকে কুলে তুলে নিয়ে একটু আদর করে দাও ।কি আর করা যতাচ্ছা তার মনোবাসনা দিলুম উগ্রে আমাকে কানে কানে বললে হে কবি হে
হুমায়ুন আর কত উপন্যাস লিখবে আমি এখন তোমার জীবনের
উপন্যাস এর বাস্তব চরিত্র হব । এই পুলিশ আস বেটাকে ধরে
কাজী অফিসে নিয়ে যাও আর আমাকে হুমায়ুন রুগ থেকে উদ্ধার
কর ।
পুলিশ অফিসার টি এগিয়ে আসার আগেই এক সাংবাদিক পটু
তুলতেছিল আড়াল থেকে হরিণী বাঘিনির রুপে এগিয়ে আসে
তার গালে চটাস করে একটা চর বসিয়ে দেয় ।
সাংবাদিক ফেল ফেল নেত্রে থাকিয়ে আমার দিকে ফিরে অগ্নি
বর্ষণ করতে চাইল আমিও আরেকটা চর দিলাম বাম গালে ।
এবার পুলিশ অফিসার আমাকে স্যালাউট দিল ।
আর র‍্যবের পোশাক পরিহিত এক মাতাল এসে কিছু বুঝার আগেই হরিণীকে বন্দি করে নিয়ে পালাল ।
আমি পুলিশটিকে এক থাপ্পর লাগিয়ে দিলাম বাম গালে শালা
নচ্ছার যাকে নিয়ে ওঁরা জঙ্গলে ফুর্তি করবে সে তো তোর বোন
আর বে আক্কেলের মত দাড়িয়ে , তাৎক্ষনিক তার হুশ ফিরল এবং
ছুটল জঙ্গলের দিকে , এবার সাংবাদিক গাল ঘসে ঘসে আমাকে
স্যালুট দিয়ে বিদায় নিল ।
আর উপন্যাস লেখা হলনা
আবার এলাম লোকালয়ে এসে দেখি শাহবাগে আন্দোলন
তোমার আমার ঠিকানা পদ্ধা মেঘনা যমুনা
যার ধর্ম তার
দেশ সবার
আমি আবার কলম চালালুম
দেখি সেথা মা বোন , ভাই ভাতিজী সহ সর্বস্তরের মানুষ
এর ঢল, সবার মুখে একই আওয়াজ
আমি তখন তাদের সাথে সুর মিলিয়ে লিখলাম
জাগ জাগ জাগ বাঙালি
ওরা কারা হায়েনা হিংশ্র
সমাজ ও স্বাধীনতা পায়েধলে
এস এস এক হয়ে
ওদের রুখে দেই চিহ্ন মুলে
আমরা মানুষ ,সবাই আজি সবার তরে
আনব শান্তি ভালবাসা
ন্যায়ের নিরিখে ঐক্য গড়ে
সুদ্ধ চিন্তা ও চেতনায়
এস নব বারতায় পথ চলি ।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এই ৩০ জন ব্লগারের ভাবনার জগত ও লেখা নিয়ে মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯



গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আর্তনাদ

লিখেছেন বিষাদ সময়, ১৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১

গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন তার আকাশের বলাকা || নিজের গলায় পুরোনো গান || সেই সাথে শায়মা আপুর আবদারে এ-আই আপুর কণ্ঠেও গানটি শুনতে পাবেন :)

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:০০

ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল্যাইকা লেন্সে ওঠানো ক’টি ছবি

লিখেছেন অর্ক, ১৭ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩০




ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশনে ট্রেন ঢোকার সময়, ক্রসিংয়ে তোলা। ফ্ল্যাস ছাড়া তোলায় ছবিটি ঠিক স্থির আসেনি। ব্লার আছে। অবশ্য এরও একটা আবেদন আছে।




এটাও রেল ক্রসিংয়ে তোলা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×