somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রাসেলসে ফানি ট্যুর।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্রাসেলস মিদি ইন্টারন্যাশনাল স্টেশনে যখন নামলাম, তখন শুভ্র সকাল। আমার সাথে শুভ। শুভ'র গন্তব্য মাদ্রিদ। ব্রাসেলস পর্যন্ত আমার সাথে। বাকীটা একাই যাবে। একটু সামনে যেতেই হাসি হাসি মুখে ওয়েলকাম ভঙ্গিতে, আমাদের হোস্ট এন্ড গাইড সামাদ সাহেব দাড়িয়ে। আমার এভারের গন্তব্য ব্রাসেলস এবং প্যারিস। প্রাথমিক কুশল বিনিময়ের পর সামাদের সাথে হাটতে শুরু করলাম। অনেক গোছানো এবং পরিচ্ছন্ন স্টেশনটি। এখান থেকে ইউরোপের অন্য শহর গুলোতে খুব সহজেই যাওয়া যায়। ট্রেন ভাড়া একটু বেশী। মাঝে মাঝে বিমান থেকেও বেশী। ব্রাসেলস মিদিতে যতগুলো স্ট্যান্ড এডভার্ট দেখলাম ,এবং পুরো শহরের সব বিলবোর্ডে ব্রা আর পেন্টির এ্যাড।সামাদ ব্যাখ্যা করলো প্রতি সপ্তাহে বিজ্ঞাপন চেঞ্জ হয়। আজ ব্রা পেন্টি তো কাল গেঞ্জি পরশু মোজা। সামাদকে কৌতুহল বশত: জিজ্ঞেস করলাম ব্রাসেলস এর নামকরণের কারন কি? শুভ আশ পাশে তাকিয়ে বললো - এখানে ব্রা বেশী সেলস হয় বলে এর নাম ব্রাসেলস। টিউবে উঠে সোজা সামাদের বাসায়। প্রথমে আম্মুর পাঠানো পিঠাগুলো দিয়ে নাস্তা শুরু। সামাদের এখানকার বাসা আমার কয়েকদিনের থাকার জায়গা।তার বাসা নিয়ে আমার আগেও অনেক কথা ছিল। এখানে এসে ও আমি আশ্চর্য হলাম। কোত্থেকে কিভাবে সে তার অসম্ভব অসাধারণ বাসা জোগাড় করে ফেলে। এবারের বাসাটি ও তার ব্যতিক্রম নয়।


ব্রাসেলস ছোট শহর। বাস, রেল, টিউব, ট্রাম সবই আছে এখানে। ৪.৫০ ইউরোতে সারা দিনের ডে ট্রাভেল কার্ড। এক টিকেটে সব কিছুই ব্যবহার করা যায়। এখানে টিউব লন্ডনের মত নয়। টিউবগুলো সিলভার কালারের, সিটগুলো রেড কালারের । পুরো সিটির এপাশ থেকে ওপাশে ৪৫মিনিটে ঘুরে আসা যায়। সামাদ কে রেখেই একা বের হলাম। রাত দশটা পর্যন্ত এদিক ওদিক ঘুরে বাসায় আসলাম।





ভিসা জটিলতা: আমরা থার্ড ওয়াল্ড কান্টির লোকজন মানুষ না। এ কারনে ইউরোপের যে কোন দেশে ভিসা পেতে নানা ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়। আমার ক্ষেত্রেও তারা কম করেনি। তা বলার আগে আমাদের পুর্বপুরুষদের যে অপরাধের কারনে আমরা বিড়ম্বনার শিকার তা বলছি।বেলজিয়ামে একলোক ভিসা ছাড়াই বিমানবন্দরে উপস্থিত। ইমিগ্রেশন অফিসার তাকে ভিসার ব্যাপারে প্রশ্ন করলেতিনি বললেন ভিসা আছে। অফিসার দেখতে চাইলে তিনি পার্সপোর্টের কাভার পেজের নিচের লেখাটি দেখালেন এবংবললেন ইসরাইল ছাড়া বিশ্বের যে কোন দেশে আমার ভিসা ছাড়া যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
(The passport of Bangladesh is valid in all countries of the world except Israel)
অফিসার হতচকিত হলেন এবং তাকে যেতে দিলেন।এটা একজন থেকে শুনলাম।গল্প হতে পারে মনে করলাম। এবার আসি আমার ভিসা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কথায়। ভিসা প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য সকল কাগজপত্র ঠিকমতোই সাবমিট করলাম।জয়েন্ট ভিসা অপ্লিকেশন সেন্টারের ফাইল জমা দিলাম।শেনঝেন ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করলাম উদ্দেশ্য সময় থাকলে লুক্সেমবার্গ ও প্যারিস ঘুরে আসবো। কয়েকদিন পর বেলজিয়াম এ্যাম্বেসী থেকে ফোন আসল। ভিসা অফিসার জানতে চাইলেন, কেন বেলজিয়াম যেতে চাচ্ছি? বললাম স্রেফ ভিজিট করার জন্য।জিজ্ঞেসকরলেন- ফিরে আসবো কিনা? তাকে বিনয়ের সাথে বললাল- কত দিনের ভিসা দেবেন? আমার এপ্লিকেশন পেজের নিচেই ভিসা পেজ আছে, একটু দেখুন আমার ইউকে ভিসা তিন বছর বাকী আছে,যদি এর থেকে বেশী দিনের জন্য ভিসা দেন তাহলে থাকার কথা চিন্তা করতে পারি। না হলে নয়।তিনি হাসলেন এবং বললেন- আপনার ভিসা হয়ে গেছে। আগামীকাল এ্যাম্বেসী পার্সপোর্ট থেকে সংগ্রহ করবেন।





বেলজিয়ামের সংক্ষিপ্ত তথ্য:
নাম: কিংডম অব বেলজিয়াম।
রাজধানী: ব্রাসেলস।
সরকার ব্যবস্থা: ফেডারেল।
সরকার প্রধান: প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্টপ্রধান: কিং আলবার্ট-২
লোকসংখ্যা: ১০৪১৪৩৩৬(জুলাই-২০০৯)
মুসলিম অধিবাসীর সংখ্যা:- ৬২৮৭৫১ (মোট জনসংখ্যার ৬%)
মুসলিম অধিবাসীর সংখ্যা: ৬২৮৭৫১ মোট জনসংখ্যার ৬%
মরোক্বান-২৬৪৯৭৪, তুর্কী-১৫৯৩৩৬, অন্যান্য: আলজেরিয়ান, তিউনিশিয়ান, আলবেনিয়ান, পূর্বআফ্রিকান, পাকিস্তানী, ইন্ডিয়ান, বাংলাদেশী ইত্যাদি।
বাংলাদেশীর সংখ্যা: প্রায় ৫০০০.
মসজিদের সংখ্যা: ৩৮০টি।
বাংলাদেশী পরিচালিত মসজিদ ২টি।
ভাষা: ডাচ, ফ্রেঞ্চ এবং ফ্লেমিশ।
মুদ্রার নাম: ইউরো (ফ্রাংক)
প্রতিবেশী রাষ্ট্র: ফ্রান্স, জার্মানী, নেদারল্যান্ড এবং লুক্সেমবার্গ।
আন্তর্জাতিক সংস্থা: ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউরোপিয়ান পার্লামের্ন্ট, ন্যাটো এবং বিশ্ব শুল্ক সংস্থারসদর দপ্তর(ব্রাসেলস)



ইউরোস্টার: বিশ্বের দ্রুতগামী ট্রেনগুলোর মধ্যে ইউরোস্টার অন্যতম। যার ঘন্টায় গতিবেগ ৩০০ কিলোমিটার বা ১৮৬ মাইল। লন্ডন থেকে চ্যানেল ট্যানেল হয়ে নেক্সট স্টপেজ ব্রাসেলস মিদি অথবা গার্দি নর্দ প্যারিস। ভাড়ার ব্যাপারটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। যত আগে টিকেট কাটবেন তত ভাড়া কম। ইনস্ট্যান্ট কাটলে তো অনেক বেশী। একমাস আগে টিকেট কাটলাম £১১৪ দিয়ে।এয়ারে কম মুল্যে টিকেট পাবার পরেও ইউরোস্টারের যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। ইউরোস্টার বলে কথা। হলিডে গুলোতে টিকেটের দাম অনেক বেশী বেড়ে যায়। ট্রেনে বসার পরপরই লেডিস এ্যানড জেন্টলম্যান জাতীয় ইংলিশ ও ফরাসী ভাষার ঘোষণা শুনলাম। এরপরই ছুটতে শুরু করলো গতির রাজা। ভিতর, বাহির, গতি, আটলান্টিকের তলদেশ দিয়ে ২৭ কিলোমিটার অতিক্রম , সবমিলিয়ে ইউরোস্টার অসাধারণ।



এটোমিয়াম: প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৫৮।
টুরিস্টদের কাছে ইউরোপ ক্যাপিটালের আকর্ষণীয় সিম্বল এটি। ব্রাসেলসের সেরা আধুনিক স্থাপত্যগুলোর একটি এটোমিয়াম। সিলভার কালারের নয়টি ডিম্বাকৃতির পারস্পরিক সংযোগ সিড়িতে আবদ্ধ উচ্চতম স্থাপত্য এটি। টপ প্লেসে দাড়িয়ে এখান থেকে পুরো ব্রাসেলস শহর দৃষ্টি সীমায় চলে আসে। আকাশ পরিস্কার থাকলে মাস্তির শহর এন্টুয়ার্প এখান থেকে দেখা যায়। উচু ডিম্বটিতে একটি রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১১.০০ থেকে ভোজন রসিকদের রসনা বিলাসে রেষ্টুরেন্ট সার্ভিস ওপেন। ফেমাস লাইটিং ডিজাইনার ইনাগো মাওরির সৃষ্টি ২৯২৭ টি লাইটের আলোক মুর্চ্ছনায় একটিতে চলে স্পেশাল শো। একটি ডিম্বতে সায়েন্সের পারমানেন্ট এক্সপো চলে। আরেকটি টেম্পরারি এক্সপোর জন্য বরাদ্ধ। কিডসদের জন্য খেলাধুলা ও শিক্ষনীয় সামগ্রী রয়েছে একটিতে। আরেকটি ডিম্ব সিটিং, সেমিনার , কনফারেন্স এবং পোডাক্ট লাঞ্চিয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়।


এটোমিয়াম।


সুমন মসজিদ: ব্রাসেলসের উপকন্ঠে অনেক সুন্দর মসজিদ এটি। রবার্ট সুমনের নামে মসজিদটির নামকরণ। মুলত: মসজিদটি ব্রাসেলসের বৃহত্তম সুমন পার্কের মাঝখানে অবস্থিত। কথিত আছে- বেলজিয়াম সরকার উনিশ শতকের(১৯৬৯) কোন এক দশকে অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়েছিল। তখন তাদের জ্বালানি তেল কিনার জন্য সৌদি আরবের ধারস্থ হতে হয়েছিল। দুরবস্থার সেই সময় সৌদি তাদেরকে বাকীতে তেল বিক্রী করেছিল। সুসময় এলে যখন বেলজিকরা সৌদিয়ানদের টাকা ফেরত দিতে চাইলো। সৌদিয়ানরা হিসাব কষে দেখলো প্রাপ্ত টাকা তাদের প্রাপ্যের চেয়ে অনেক বেশী। বেলজিকদের জিজ্ঞেস করলো তারা বললো এটা আমরা পে করেছি সুদ সহ। সৌদি বললো- আমরা সুদ খাইনা। এটা আমাদের ধর্মে নিষেধ। বেলজিকরা আশ্চর্য হয়ে গেল এবং সৌদিকে অফার করলো তোমরা আমাদের কাছে কি চাও? যেহেতু দু:সময়ে তোমরা আমাদের পাশে দাড়িয়েছো, আমরা তোমদেরকে কিভাবে সম্মানিত করতে পারি। তখন সৌদি জানালো ব্রাসেলসে কোন মসজিদ নেই। যদি তোমরা দিতেই চাও তাহলে আমাদের লোকদের নামাজ পড়ার জন্য একটা মসজিদের জায়গা দিতে পার। তখন বেলজিয়াম সরকার ব্রাসেলসের বিখ্যাত সুমন পার্কে উপহার স্বরূপ এই মসজিদটির জায়গা প্রদান করে ।সৌদি সরকার তখন তাদের অর্থায়নে সুমন মসজিদ নির্মাণ করে।বর্তমানে মসজিদটিতে একটি কালচারাল সেন্টার, ইসলামিক স্কুল রয়েছে।
মসজিদের দুপাশে দুটি বন্ধ স্থাপনা দেখে ইসলাম ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম এ দুটি কি? তিনি বললেন- মসজিদের পাশেই এ দুটি ঘরে মুর্তি ছিল। মুসলমানরা যেখানে এবাদত করে তার পাশে মুর্তি বেমানান মনে করে বেলজিক রাজা ঘরদুটি চিরতরে সীলগালা করে দিলেন।


ওয়াটার লু যুদ্ধক্ষেত্র: বিশ্বের বিখ্যাত যুদ্ধক্ষেত্র গুলোর অন্যতম ওয়াটার লু। ১৮ জুন ১৮১৫ সালে ওয়াটার লু যুদ্ধ সংঘটিত হয়।বেলজিয়ামের দক্ষিনভাগে এটি অবস্থিত। ফেঞ্চ রাজা নেপোলিয়েন ও সেভেনথ কোয়ালিশনের মধ্যে এটি সংঘটিত হয়। যুদ্ধে সেভেনথ কোয়ালিশন জয়লাভ করে। বেনজির ভাইয়ের বাসায় দুপুরের আকর্ষণীয় খাবারের পর সামাদ এবং ড: মুনির সহ বেনজির ভাইয়ের ড্রাইভে ওয়াটার লু গেলাম। যুদ্ধক্ষেত্রের পাশেই নেপোলিয়েন দাড়ানো দেখে কাছে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখি স্রেফ নেপো ভাস্কর্য। যুদ্ধক্ষেত্রটি অবিকল সেদিনের মত। নেই কোন স্থাপনা। একটি বৃহৎ আকৃতির টিলার উপর অশ্বপৃষ্ঠের এক কোয়ালিশন সৈন্যের সিম্বল। অনেক সিড়ি বেয়ে টিলায় উঠলাম। ড: মুনির বার্ধক্যজনিত কারনে উঠতে পারলেন না। এখানে রয়েছে যুদ্ধের মানচিত্র। একটি যুদ্ধের স্মৃতি সম্বলিত জাদুঘর। এখানে যুদ্ধদিনের ডকুমেন্টারি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।



ওয়াটার লু যুদ্ধক্ষেত্রে মধ্যবর্তী টিলার সামনে ড: মুনির, সামাদ, বেনজির ভাই।

রাজার বাড়ী: প্রাচীন স্থাপত্যকর্মের অনন্য নিদর্শন ব্রাসেলসের রাজার বাড়ী।হাজারো কারুকার্যময়তা, স্থাপত্যশিল্পীর যান্ত্রিক তুলি, হাজারো আকিবুকি, সোনালী কালারের বৃহৎ বাড়িটি সত্যিই আকর্ষণীয়। বেলজিয়ামে এখন রাজা শাসিত সরকার। কোয়ালিশন সরকার ভেঙ্গে যাওয়ার পর বছর দুয়েক থেকে রাজাই সব। তবে কোন রাজনৈতিক উত্তাপ,অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, হরতাল মিছিল মিটিং এমন কোন কিছুই নেই। সব চলছে যথাযথ নিয়ম মেনেই। বেলজিকরাও মনে হচ্ছে এ অবস্থায় অভ্যস্থ হয়ে গেছে। তবে পুরো বেলজিয়ামে ভাষাগত দ্বন্দ আছে। এখানে ফ্লেমিশ ভাষায় কথা বলে ৫৪% এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলে ৪৬%।
রাজা একজন ফ্লেমিশ। ফ্লেমিশরা ফ্রেঞ্চ জানে কিন্তু বলেনা। অফিস আদালত থেকে শুরু করে সবখানে ভাষাগত আধিপত্যের সমস্যা প্রকট।

রাজার প্রাসাদের সামনে সামাদ ও সৌরভ।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও ইউরোপিয়ান কমিশন, রাফ দ্যা সানিয়ে বনাঞ্চল, নামর/নুমার সিটি আরো অনেক কিছু দেখলাম।



আজ ব্রাসেলস থেকে বিদায়ের দিন। সকাল ৭ টায় প্যারিসের ট্রেন। ব্রাসেলস মিদিতে সামাদসহ আরো কিছু শুভাকাংখী। লাক্সারিয়াস ট্রেন থালি'স দাড়িয়ে। বিদায়ের মুহুর্তে খালাম্মা, হারুন ভাই, ইসলাম ভাই, বেনজির ভাই, সৌরভ সহ সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পরবর্তী গন্তব্য প্যারিস। থালি'স ছুটে চলেছে গার্দি নর্দ প্যারিসের দিকে। প্যারিসের ফানি ট্যুর নিয়ে আরেকদিন কথা হবে।

Click This Link


প্যারিসের গার্দি নর্দ স্টেশন থেকে যখন ইউরোস্টারে উঠবো তখন ইউকেবিএ কতৃপক্ষ কিছুই চেক করেনি।আমি আশ্চর্য হলাম। যখন হ্যারিপটার খ্যাত কিংক্রস স্টেশনে বের হওয়ার পথে। সিরিয়ালে অনেক ইমিগ্রেশন অফিসারকে দাড়ানো দেখে সন্দেহ হল। একজন অফিসার এসে বিনয়ের সাথে বললো- গুড মনিং।আমরা আপনার সাথে একটু কথা বলবো। আমি বললাম- ওকে। আমাকে অপেক্ষা করতে বলে আমার সকল কাগজপত্র নিয়ে গেল অফিসারটি। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আরেক অফিসারের দিকে তাকলাম। সে একটি নিউজলেটার এনে দিল।সেখানে ইউকেবিএ আমাকে আটকালে আমার কি করনীয় তার সব নিয়ম কানুন লেখা ছিল। আইনের প্রতি অনুসন্ধিসু আমি যখন পড়ায় মগ্ন, তখন অফিসারটি স্যরি বলে আমার সকল কাগজপ্রত্র ফেরত দিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- কোন সমস্যা? সে বললো- আমরা একজন মোহম্মদ কে খুজছি। তোমার ফাস্ট নেম যেহেতু মোহাম্মদ তাই তোমার ডিটেইল চেক করা। আমি হাসি আর আটকাতে পারিনি। তাকে বললাম- তুমি কি জান? সকল মুসলিমের ফাস্ট নেম মোহাম্মদ। সে ও হাসলো। হ্যান্ডশ্যাক করে থেংক্যু দিয়ে আসার পথে অস্ফুট স্বরে বললাম- শালা তুই তোর সন্ত্রাসী খোজ, আমি গেলাম।


আবদুল কাদের সুঘ্রাণ
[email protected]
লন্ডন।
১৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×