বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর/বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ তাপ বেদনা অশ্রুবারি/অর্ধেক তার আনিয়াছে নর,অর্ধেক তার নারী/নরককুন্ড বলিয়া কে তোমায় করে নারী হেয়জ্ঞান?/তারে বলো, আদি-পাপনারী নহে, সে যে নর-শয়তান/এ-বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল,ফলিয়াছে যত ফল/নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল/জ্ঞানের লক্ষ্মী, গানের লক্ষ্মী, শস্য লক্ষ্মী নারী/সুষমা-লক্ষ্মী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারি/পুরুষ এনেছে দিবসের জ্বালা তপ্ত রৌদ্রদাহ/কামিনী এনেছে যামিনী-শান্তি,সমীরণ,বারিবাহ
বিদ্রোহী নজরুল ইসলাম নারীর তাৎপর্যপূর্ণ অসামন্য কালজয়ী কবিতায় রুপরেখা তুলে ধরছেন?
কিন্তু আজ সাম্য যুগ মানবতার যুগে এসে ও
চিরন্তন সত্য বাক্যে গুলি কয়জনের বোধগম্য হয়েছে তাহা আজকের সমাজে নারীর দিকে তাকালে বুঝা যায় তারা এখনো কথাটা অসহায়,বিপদগ্রস্ত, নির্যাতিত? কিন্তু আমরা
কিছু দিই বা না দিই বিপরীতে উল্টোপিঠ উপহার
কবি নজরুলকে দিয়েছি?
সত্যিকারের অর্থে,
আমরা এয়ো অকপটে স্বীকার করি বিন্দু থেকে সিন্ধু তে পরিণত একমাত্র নারীর কতটুকু সমাজে ভুমিকা।
আজ ও আমাদের মধ্যে এই নরপশুরা দুই হাতের খেলনা বানিয়ে যাত্রামঞ্চ সাজে সজ্জিত করছি বাহ নিদারুণ ভাবে কামউত্তেজনা ব্যবহার করছি।
আগে শুনতাম পণ্যবস্তুর আলু পটল বাজারে ভোগ্যপণ্যে হিসেবে বিক্রিয় করা হতো এখনো কান পেতে শুনি মেয়ে মানুষের ভোগ্যপণ্যে হিসেবে বিক্রয় হয় আলু পটলের দামে?
আর আমরা সভ্য সমাজের
লোকেরা সুনিপুণভাবে নিজের দোষ,ত্রুটির অবিনব কায়দায় সমাজের আষ্টেপৃষ্ঠে গায়ে লেপন দিয়ে আর অকেপটে বলে এসব কিছুর জন্য সমাজকে দায়ী করি?
পথ পথিক সৃষ্টি করে না
পথিক পথের সৃষ্টি করে,
তেমনি সমাজ তৈরী করি আমরা
নর্দামার কাদামাটির লেপন করি সমাজকে?
আর অজ্ঞতার ছলনা দেখিয়ে অন্ধকারে ডুব মেরে বসে থাকি।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশ
সমুহ দেখা যায় সেখানে নারী পুরুষের বৈষম্য নেই বললেই চলে? তারা নারীকে সম মানের
সম্মান প্রদর্শন করছেন।
অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাবে
নারী আর পুরুষের ভেতরে কোন মতপার্থক্য থাকবে না।
তখনই একটি জাতি উঠে যাবে উন্নতির উচ্চ শিখরে,
দেশ হবে আত্মাস্বাবলম্বী।
আমাদের দেশ উন্নয়নের রুপকল্প দেখাতে আমরা পুরুষকে কিংবা নারীকে বাদ দিতে পারি না।
ইতিহাস দিকে তাকালে
দেখা যায় বর্তমানে উন্নত দেশগুলো কুসংস্কারের বিপরীতে শিক্ষা নিয়েছে ইতিহাস পাতা থেকে।
আর এখন তারা নারী পুরুষ
সৃষ্টি বিভেদ না করতে তারা প্রতিনিয়ত একসাথে কাজকরে যাচ্ছেন।
সেই জন্য নিঃসন্দেহে বলা যেতে তাই তারা আজ শীর্ষে।
আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশের মানুষ আবেগকে প্রতিনিয়ত প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে বিবেককে তোয়াক্কা করে আবেগের বশবর্তী হয়ে বিবেক শুন্য করে জলাঞ্জলি দিয়ে দিই দেয়!
যার পরিণাম ভয়াবহতা প্রতিদিন নিম্ম দারিদ্র্যের ভেড়াজালে আকর্ড়ে ধরছে,প্রতিটা ক্ষনে,ক্ষনে চলছে কাটাকাটি,
মারামারি,লাটালাঠি,ঝগড়াঝাঁটি?
যেখানে আমাদের দেশের মানুষ আজও কুসংস্কার আচ্ছন্ন ঘেরা রোগ শোক হলে রীতিমতো পুরনো প্রথার পদ্ধতি অবলম্বন করি কিভাবে?
ঝাড় ফুঁক করে,জলপড়া খায়,সন্তান লাভের বাসনায় হুজুরের,গনক পুরোহিত বিভিন্ন কেরামতির ব্যাক্তির অপেক্ষার প্রহর গুনি?
শিশুর কলিজা ভক্ষণ করি,
মা আপন সন্তানকে জবাই করে অলৌকিক শক্তি লাভের আশায়?
একবার বিবেককে জাগ্রত করে দেখেন আমরা কতখানি কুসংস্কার পেরিয়ে সভ্যজগতের সভ্যসমাজের আলোতে সভ্যমানুষ হয়ে সভ্যগন্ডিতে পৌঁছাতে কি পেরেছি?
অপ্রিয় হলেও সত্য কথা বলতে কি,আজও আমরা পূর্বপুরুষের ইতিহাস কর্মকান্ড কাছ থেকে পাওয়া কিছু অযৌক্তিক,বিকৃতিকর মনোভাব জরাজীর্ণ বদ্ধমূল ধারণা আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছি।
ঠিক একই ভাবে পূর্বপুরুষের কথা অনুসরণ করে এখনো নারীকে "মানুষ" হিসেবে ভাবতে পারছিনা দুর্বোল,শক্তিহীন,অকেজো বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করি থাকি!
অনায়াসে মুখ থেকে ভোগ্যবস্তু হিসেবে,ও “সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র” হিসেবে বলে থাকি?
তারা বাহির কাজের যোগ্য নয় তারা পরিবারের রাধুনী এবং সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বাহক নির্বাহ করে থাকে তারা সমাজে কিরুপে অবদান রাখবে? তাদেরকে আমাদের সমমানের ভাবতে কোথায় যেন বাধাগ্রস্ত হই কিন্তু তারা যদি পরিবারের কিছু হয় আজও আমরা সাম্য যুগ মানবতার যুগ এখনো
সমাজে নারী কে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিইনা? যদি পরিবারের চালানো শক্তি সর্বোত্তম গুনে গুনান্বিত হয় তবে তারা কেনো সমাজের স্বীকৃতি পায় না?
পরিবারের সাথে সমাজের প্রগতিশীল হিসেবে,পরোক্ষভাবে তরান্বিত হয় কারণ পরিবার সমাজের বিদ্যমান এবং সমাজের প্রধানতম অংঙ্গ।
কি কারণ বশতঃ সমাজের নারী অর্ধাঙ্গ হতে পারে না?
তারা ঘরে বসে থাকলে সমাজ দাড়াবে কোন রূপে?
কোনো ব্যাক্তি যদি এক হাত
এক পা থাকলে বাঁধা কতদূর. হেটে যাবে?
একহাতে কতই কাজ করবে?
পুরুষের স্বার্থ এবং নারীর স্বার্থ অভিন্ন নহে? তবে কেন হীনমন্যতা ভুগছে তারা?বর্তমানে ও অতীতের দিকে তাকালে প্রথম সারিতে
নারী নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে নামিদামী মানুষের বকে যাওয়া সন্তান গুলো? বিচার চাইছে
তাহার আগে নামীদামি মানুষ ব্যাগভর্তি সান্ত্বনা গুজে দিচ্ছে নারী জম্মদাতা বাবার হাতে
আর চোরের মুখে বড় গলা শুনা যায় দ্রুত এখান কেটে পর
শোকে বিহ্বল হয়ে প্রশ্নের সমুখে নারী বাবারা
তোর জন্মটা পাপ ছিল না আমার?
সবচেয়ে বড় অপরাধ তুর?
তুই মরলে আমি বাঁচি!
অতীত,বর্তমান চিন্তা করলে সমাজে সুষ্ঠু বিচার জন্য তাহারা শ্রেষ্ঠ
মাতব্বর গুষ্টি চেয়ারম্যান মহাশয় কারন শালিসে সবকিছুই খালাস করে দিচ্ছে জজ আদালত ছাড়া ফিসফিস করে বলছে ধর টাকা গুলো নেয় এখান থেকে কেটে পর যদি তুই মেয়ের ভালো চাস বুঝার কোনো অবকাশ রহিলো না অর্থেথেরাপি কাছে সবই পরিস্কার এটা আমাদের সভ্য সমাজের নিয়ম
এক নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে তিন(৩)নির্যাতনের শিকার
আসলে কি নারী’ শব্দটি কি শোষণ ও নিপিড়ন প্রতিশব্দে পরিণত হয়েছে?
যেখানে আধুনিকায়ন জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় গোটা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে।
পরিবর্তন হচ্ছে সমাজের নিত্য নতুন কাঠামো,বিকশিত হচ্ছে সভ্যতা।
পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে মানুষের জীবন যাত্রায় আর তার সাথে ধারাবাহিক ভাবে বহমান নারীদের উপর নির্যাতনের নিত্য নতুন বর্বরতার আবির্ভাব!
বর্তমানে এমন পরিস্থিতি শিকার হতে হচ্ছে নারীরা একটা বিপদ্গ্রস্ত থেকে মুক্তি হতে না হতে আরেকটি হামলার জন্য ওতপ্রোতভাবে বসে থাকে নারী লোভী নরপিশাচ আর উদাহরণের প্রতীকি হিসাবে
নারী নির্যাতনের জন্য সভ্য সমাজে নতুন আরো এক শয়তানের আবির্ভাব ঘটেছে?
সম্মানের মুখোশ পরা সভ্য সমাজে কিছু অসভ্য ভদ্রলোক যাদের কে সবচেয়ে বড় সম্মানিত ভদ্রলোক হিসেবে সম্মোধন করি শিক্ষক মহাশয়!!তারা শিক্ষকতা কে পুঁজি করে শিক্ষকতার নাম
ভাঙ্গিয়ে নারীকে বানাচ্ছে
তাদের বন্দী খাঁচার পুতুল?
যে শিক্ষক হচ্ছে পিতামাতার নিচের স্থান অধিকারী।
"শিক্ষকতার নামে" সমাজের অশিক্ষক গুলো ভদ্রতার আড়ালে অসভ্য,জানোয়ার,বর্বররেরা
নারী প্রতি কুমতলবের ভোগকারী হিসেবে জাহির করে নিজেকে প্রথম স্কেলের নারী ধষর্ক হিসেবে বর্বরতার পাতায় নাম লেখাচ্ছেন!?
শিক্ষকের কাজ হচ্ছে শিক্ষিত সমাজ ও অন্ধকারছন্নতা সমাজকে শিক্ষার আলোতে
প্রতিটি ঘরে ঘরে তুলে দেওয়া প্রধানতম কাজ। আর এটাকে ফন্দি করে কিছু বিকৃতিকর অমানুষের অধিকারী
তাদের মধ্যে কিছু নূপহিংসুক শিক্ষকরা সন্তান বয়সী ছাত্রীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে নিজের খায়েস মেটাতে ফলাফলের
লোভ ও ভয় দেখিয়ে ধষির্ত করে নারীকে ধর্ষণের সার্টিফিকেট তুলে দিচ্ছে? আর ঐ সব সম্মানিত শিক্ষক ব্যাক্তিবর্গরা যারা শিক্ষার মানকে সমাজে তুলে ধরার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে তাদের সম্মান এবং সমাজে শিক্ষক পদাবলী কলুষিত করছে?
শিক্ষক নামের নিজেকে জাহির করে ঔ কুলাঙ্গার শিক্ষকের সমাজে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করছে? মুষ্টিমেয় কিছু কুলাঙ্গার শিক্ষক কারনে হতে হচ্ছে সৎ,নিষ্ঠাবান,শিক্ষক রা হতে হচ্ছে হেনস্তা
নারী শিক্ষিকা হচ্ছেন লাঞ্চিত।
আর কত
নারীকে সমাজে যে অবরুদ্ধ অন্ধকারচন্ন বন্দী কারাগারে পশ্চাৎপদ ও সকল ধরনের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার অপচেষ্টা করা হচ্ছে?
ইতিহাসের পাতা উল্টালে
দেখা যায়,
নারীর সম্মান রক্ষার্থে মেয়েরা মানুষ তাদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হযে উঠেছে. উনিবিংশ শতকে মহিয়সী
মহিয়ান্ নারী জাগরণের সুর্যের ন্যায় আলোর দিপ্তীর জ্যোতির ময় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন অবরোধবাসিনীদের হয়ে নারীর প্রতি বৈষম্য ও নির্যাতন প্রদর্শনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
বেগম রোকেয়ার পূর্বেও বহু বঙ্গনারী সমাজে মাতৃকার স্বাধীনতার সংগ্রামে অস্ত্র দুই হাতে তুলে নিয়েছিলো নারী।
এখনো রোকেয়া ও পূর্বে বঙ্গনারী কে অনুসরণ করে হাজারো রোকেয়ারা এবং বঙ্গনারী অনুপ্রেরণায় প্রাণ পণ লড়াই করে যাচ্ছে নারীরা নারীদের সম্মান প্রতিষ্ঠা করা জন্য?
আর এখনো কুচক্রি বর্বরতার দলের মহলের লোকের কারনে অকারনে পথে,ঘাটে,হাট,বাজারে নারীদের হতে হচ্ছে ইভটিজিং শিকার? উল্লেখ্যযোগ্য অতীতের ইতিহাসের দিনে শৈশব জীবন পল্লীগ্রামের নিবিড় অরণ্যের পরম সুখে অতিবাহিত হইয়াছে।”তখন
মুসলমান পরিবারের এবং হিন্দু পরিবারের কোন মেয়ের পক্ষে তখন পর্দা ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে
যাবার প্রশ্ন ছিল অবান্তর।
সে সময়কালে পর্দাপ্রথা
মারাত্নক ভাবে অধিকতর কঠোর ছিল?
বাড়িতে কোন স্বল্প পরিচিত মহিলা বেড়াতে এলেও নারীরা পর্দা পড়তে হত।
বাইরের মহিলারা বেড়াতে এলে ক’দিন প্রাণপণ প্রায় অনাহারে কখনো চিলেকোঠায়,কখনো সিঁড়ির নিচে কখনো দরজার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে হতো?
প্রায় এমনো কঠিনতম আচরণ ছিলো যে নারী ও পুরুষ সমবয়সী দেখাদেখি পর্যন্ত হতো না?
কিন্তু এই সাম্য যুগ মানবতার যুগে এখন নারী কে স্বাধীনতার নামে নিজের পায়ে মাথা উচুঁ করে দাড়ানোর জন্য ঘরের চাবি ভেঙ্গে বাহির করছে অর্থপিপাসু দালাল শ্রেণীর সমাজের বড়
বড় দাদারা?চাকরির ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে দেশ-বিদেশী দালাল রা দিবারাত্রি পাচার করে দিচ্ছে,এদের সহযোগিতা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ সুরে সুর মিলিয়ে,তালে তাল রেখে যাচ্ছে ক্ষমতার অন্তরালে থাকা বিশাল ক্ষমতা সম্পূর্ণ অধিকারী ব্যাক্তিরা?
একই নিয়মে একই ধারা শোষণ নীপিড়ন এখনো বতর্মানে অব্যাহত আছে?
যেখানে,সভ্যতার উষালগ্নে থেকে
বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারীর অগ্রগতি বড় ভূমিকা রাখলেও ঘরের মধ্যে
এখনো নিপীড়িত নির্যাতিত শোষিত লাঞ্চিত হচ্ছে
নারীরা? পরিসংখ্যান দেখা যায় যে,
দেশের বিবাহিত নারীদের ৮৭ শতাংশই স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনো সময়ে,কোনো না কোনো ধরনের কোনো অকারণ বশতঃ নিষ্ঠুরতার কষাঘাতে দৈনন্দিন আঘাতে জর্জরিত হচ্ছে নারী শ্রেণী মানুষরা? হয়তো যৌতুকের কারনে বলী দিতে হচ্ছে হয়তো বা স্বামীর মদের টাকা যোগাতে নিজের শরীর সোপে দিচ্ছে?ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আত্ন কর্মসংস্থান ও সেবা মুলোক প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে ভরা টইটম্বুর ব্যবসায় করবে স্বামীরা
টাকা যোগান দিবে স্ত্রী?
দেখা যায় যে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন এনজিও সমিতি প্রতিষ্ঠান। আর এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সুদে ও শর্তসাপেক্ষে ঋনপ্রস্তাব করার জন্য স্ত্রীরা সদস্য হতে হয়? ঋনের টাকা যখন স্বামীরা দিতে ব্যার্থতা প্রকাশ করে?
তখনই নাকের ডগার নিছে নেমে আসে রসি!
স্বামীর ব্যার্থতার করাল গ্রাসে আকড়ে ধরে,ঋনের বোঝা মুক্তি করে,নিজে চিরতরে মুক্তি স্বাদ পেয়ে যায়!আজ আমাদের দেশে সমাজ ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ঋনপ্রথা যাহা নারীরা সমাজে
সবচেয়ে লাভ/ক্ষতি সাধন হচ্ছে?কেউ কিস্তি পরিশোধ না করতে পেরে সমাজে মুখ লজ্জার ভয়ে
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে?কেউ বা এই অর্থ দিয়ে সাবলম্বী হচ্ছে।
যে প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে নারী-পুরুষের সমতা অনস্বীকার্য। 'দেহের দুটি চক্ষুস্বরূপ,মানুষের সব রকমের কাজকর্মের প্রয়োজনেই দুটি চক্ষুর গুরুত্ব সমান।'
অসচেতন নারী সমাজকে সচেতন করার জন্য নারীবাদী রোকেয়া নারীর উদ্দেশ্য আহ্বান করেছেন, 'ভগিনীরা! চক্ষু রগড়াইয়া জাগিয়া উঠুন,অগ্রসর হউন! মাথা ঠুকিয়া বল মা! আমরা পশু নই; বল ভগিনী! আমরা আসবাব নই; বল কন্যে আমরা জড়োয়া অলঙ্কাররূপে লোহার সিন্ধুকে আবদ্ধ থাকিবার বস্তু নই; সকলে সমস্বরে বলো আমরা মানুষ।'
তিনি তার চিন্তা চেতনায় উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, মেয়েরা অর্থনৈতিক ভূমিকা পালন করে স্বাবলম্বী হতে না পারলে সত্যিকার অর্থে কখনোই স্বাধীন হতে পারবে না তারা? তোমরা অর্থনৈতিক কাজে ঝড়িয়ে পড় তাইলে দেখিবে তোমরা পরাধীনতার গ্লানী সরিয়ে দিয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচিতে পারবে!
বেগম রোকেয়া সাখায়াত হোসেন চিরন্তন সত্যি উক্তি সহজভাবে অনুধাবন হয়ে যে,একটি জাতি, দেশ তথা বিশ্ব কখনোই স্বাবলম্বী হতে পারে না নারীকে হিসেবের খাতা
থেকে বাদ দিয়ে?
তাই এখন সাম্য যুগ মানবতার যুগ এখন তাই নারীর আর বেসম্য মুলক আচরন করা যাবেননা।
নারীর প্রতি সম অধিকার না দিলে বা অবদান অস্বীকার করলে পরবর্তীতে সময়ে নিজেরাই
শিকার হবে।
নারীর প্রতি বৈষম্য বঞ্চনা শিকার থেকে মুক্তি দিতে হবে।
নারী অবদান যথাযথ ভাবে স্বীকৃতি হয়নি/ নারীর অবমুল্যায়ন হয়েছে তাই নারীকে সমমুল্যায়ন দিতে হবে।
নারী ও পুরুষ সমান অবদানের ফসল আজকের এই আধুনিক সভ্যতা।
এই সভ্যতার সুসমন্বয় করার পিছনে নারী জাতির ভুমিকা বিশ্বের দরবারে প্রকাশ করতে হবে যাতে অন্য নারীরা যারা হীনমন্যতায় ভোগী নারীরা অন্যায় অত্যাচার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারে?
সর্বোপরি নারী কে মানুষ হিসেবে গন্য করতে হবে তাহলে একটি জাতি একটি পরিবার একটি সমাজ একটি দেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উচুঁ পারবে।
আর নয় নারী নির্যাতনের বছরের পর বছর পরিসংখ্যান হিসাব আর নয় নারীর অবমুল্যায়ন জন্য নারী নির্যাতনের জন্য মাসের পর বছরের পর নারীকে নিয়ে দিবস,প্রতিরোধ?
জানি আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি
তাই আমরা স্বপ্ন দেখি,এই সমাজ একদিন নারী-বান্ধব হবে।
আর নারী নির্যাতনের চিত্র দেখে হা-হুতাশ নয়; হৃদয়ে আর রক্তক্ষরণ নয় !!
শুরু হোক্ নতুন আলোর দিনের প্রত্যাশার জয় ছিনিয়ে আনার পথে চলা!! নিরাপদ সমাজ গড়তে এই
নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য এবং নির্যাতন প্রতিরোধে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আর কথার ফুলঝুরি নয়, বন্ধু,ভাই সহকর্মীরা আসুন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ২০১৪ তে বিদায় দিয়ে ২০১৫ স্বাগত জানিয়ে আমরা একাত্ম হই। , সমাজ বিনির্মানে উদাত্ত আহ্বান জানাই সকল বন্ধু, ভাই,স্বজনদের একটাই শপথ একটাই শ্লোগান
আর নয় নারী নির্যাতনের বলী।
শপথ,শ্লোগানে,বলি
নারীর চোখে বিশ্ব দেখি!!!