somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেমনে পা দিলাম বাইশে

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাল ছিলো আমার জন্মদিন। 12 ডিসেম্বর রাত 11 টা 50 মিনিটে আমার খুব ভালো এক বন্ধু ফোন করলো। সে আর কাউকে সুযোগ দিতে চায় নি। প্রথম সুযোগটা। ঠিক 12 টা 35 এ সে ছাড়লো ফোন। এরই মধ্যে এসে গেছে গোটা দশেক এসএমএস। সব এসএমএসকারীর একই প্রশ্ন ফোন ব্যস্তকেন? আমার ছোট বোনটি তো অভিমান করে এসএমএসে শুভেচ্ছাই জানায় নি। শুধু লিখেছে- ফোন কেন বিজি, দাদা? প্রথম ফোনটা রাখার পর রাত আড়াইটা পর্যন্ত আরো গোটা সাতেক এসএমএস এবং 5 টি কল রিসিভ করতে হলো। তারপর ঘুম। ভোরের ঘুমটা ভাঙলো বড় আপার কলে। তার ভাইয়া, দুলাভাইয়ের ফোন। ক্যাম্পাসে ঢুকলাম সাড়ে 9 টায়। যাদের মনে আছে তাদের শুভেচ্ছা পেলাম। দুপুর পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলাম ক্যাম্পাসে নিউজ সংগ্রহে আর ভর্তিচ্ছুদের সহযোগীতা করতে।আর সারাদিন মিলিয়ে কত ফোন যে রিসিভি করলাম তার সংখ্যা মনে করতে পারছিনা। আর এসএমএস সব মিলিয়ে 43 টি এসএমএস। যার মধ্যে গোটা পাঁচেক ছিলো অপরিচিত নাম্বারের। তবে তারা একটি পরিচয় দিয়েছেন।- তারা নাকি আমার ভক্ত। অবাকই হলাম। আমার আবার ভক্ত!
অফিসে কাউকে বলিনি। হঠাৎ কারো ফোনে জন্মদিনের কথা শুনে সহকর্মী কেএস মান্না আনালেন একটা কেক, 3 টা মোবাতি, একটা ধূম্রকাঠি এবং দুটো রজনীগন্ধ্যার স্টিক। কেক কটতে হাতে ধরালেন অফিসের ভোতড়া চাকু। নিউজ করতে করতে শুধু এক পলক গিয়ে কেকটা কাটলাম। যেনো মুরগীর 2 দিনের বাচ্চা জবাই করছি। তারপর আবার নিউজে। রাতে রুমে ফিরে মেসমেটদের উষঞ অভিনন্দন আর কিছু চকলেট। রাত 12 টার আগে আরো কিছু ফোন। শেষ হলো আমার আরেকটি 13 ডিসেম্বর।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×