somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেড়ানোর গল্প( কুইবেক এর ছোট্ট পাহাড়ী শহর মন্টত্রম্বল্য) শেষ পর্ব

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আগের পর্ব......

Click This Link

এই সেই pedestrian village.
এখানে আসলে এমন ভালো লাগায় আপ্লুত হই......মানুষের সুন্দর পরিকল্পনায় তৈরী এই ভিলেজ......
ক্যাবল কারের জন্য লাইন এ দাঁড়ালাম।এই লেভেল থেকে উপরে যেতে টিকিট লাগে না। উপর থেকে নীচের দিকে তাকালে দ্বীপের মত লাগছিলো।


উপরে যাওয়ার পর শুধু সাড়ি সাড়ি হোটেল গুলো পাশাপাশি। একটু পর রেষ্টু রেন্ট আর কফি শপ ।



মানুষ আর মানুষ.....
অনেকে বিভিন্ন রাইডে চড়ছে,

আমরা আর একটা ক্যাবলে কারের জন্য দাড়ালাম।এখানে টিকিট কাটতে হয়।
এত উঁচুতে উঠতে হবে? তাকিয়ে মাথা ঘুরছিলো।



আবার নামার সময় অন্যরকম ব্যবস্হা........
আমরা যাবো কি না ডিশিশান নিতে নিতে রাশীক, মনির আর ওয়াসী ওরা একবার উপরে উঠে আবার বিশেষ সেই গাড়ীতে উঠে নীচে নেমে এলো।
এখানে সবাইকে হেলমেট পড়তেই হবে।

আমরা গেলাম সবাই একসাথে।
ক্যাবল কারে উঠে নীচের দিকে তাকিয়ে ছবি আর কি তুলবো ,দেখি মাথা ঘুরতেছে ভনভন করে। পাশে রাইয়ার ওর বাবার সাথে মহা নিশ্চিন্তে বসে আছে। রাইয়ানের হাত চেপে ধরলাম। ওরা বোঝে নি আমার ভয়ের কথা।:)



পিছনের টায় রাশীক আর বানী।
আমার শুধু মনে হচ্ছিল পায়ের স্যান্ডেলটা মনে হয় খুলে পড়ে যাবে।
যাই হোক.....উপর উঠে ওখানে দেখার কিছু নাই। নীচের দিকে তাকালে অসাধারন লাগে সব কিছু। চোখ জুড়িয়ে যায়।
ওখান থেকে ফিরে আসা পাহাড়ের ঢালু পথে.......কেউ ওভাবে নামতে না চাইলে
ক্যাবল কার দিয়ে নামতে পারে।
ওখানে একটা ছেলে শিখিয়ে দিলো কিভাবে ল্যুজ চালাতে হয়। ল্যুজ হলো বাংলা দেশে সবাই কলা পাতায় বসে টান দিয়ে যে খেলে উপর থেকে নীচু পথে ...সেই ধরনের একটা ব্যাপার।

আমরা সবাই আলাদা ল্যুজ এ চড়লাম।
শুধু রাইয়ান ওর বাবার সাথে। চোখের পলকে দেখি ওরা আমার থেকে অনেক দুর....আমি ঢালুতে নামি আর ছবি তুলি। এত মজার একটা ব্যপার। কত উঁছু একটা পাহাড় থেকে কিভাবে নামছি....একটা লেভেল এ এসে দেখি ওদের সবাইকে দেখা যাচ্ছে.........
আমি ধীরে ধীরে নামতে লাগলাম। ওরা ভাবলো ভয় পেয়েছি।
বললাম ছবি তুললাম তোমাদের ।



বড়ভাই শুধু বসেছিলো আমাদের জন্য।
উনি কোনমতেই রাজি হননি অত উপরে যেতে।

গানের আওয়াজ কানে এলো.....।একটা স্টেজে গান গাইছে একজন শিল্পী ।
ল্যাটিনো মহিলা। স্প্যানিশ গান গাইছিলো।
চেয়ারে বসে থাকা মানুষ কম....সবাই নাচছে.....।



এখানে আসলে মানুষের দুঃখ গুলো মনে হয় ম্লান হয়ে আসে ....
বেঁচে থাকার আনন্দ মানুষ কত ভাবে মুখরিত হয়। কিছু জায়গাই এমন।
সবসময় উৎসব মুখর মনে হয়। প্রান প্রাচূর্য্যে ভরা।
সবার চলা ফেরার মধ্যে কেমন স্হিরতা, কারো কোথায় যাবার তাড়া নেই।
আমরা এই আনন্দে মিশে গেলাম....
মানুষের হাসি,কথা ,নাচে মুখরিত কিছু সময়.........।
নানান বর্নের নানান ভাষাভাষী মানুষ সব মিলে মিশে ....কি এক পরম আনন্দ।



সূর্য্য ডোবার আগে আমাদের ফেরার পালা......।
ওখান থেকে আসতে আমার মন খারাপ লাগছিলো। ও বললো আবার আগামী সামার এ আসবো ইনশাল্লাহ । সেই আনন্দে বিভোর হয়ে ফেরার পথ ধরলাম।
আগামী বছর কেউ বেড়াতে আসলে তাকে নিয়েও আসা যাবে না হয়।

একটা কফি শপে থামা হলো.....ডোনাট আর কফির জন্য।
আর কি অবাক করে দিয়ে মুষল ধারায় বৃষ্টি শুরু হলো।

জীবনের অনেক সুন্দর দিনের একটি আমরা কাটিয়ে গেলাম খুব প্রিয় একটা শহরের প্রিয় একটা জায়গায়।

বৃষ্টিভেজা রাতে ফিরে আসছি যখন এক সময় পিছনে বড়ভাই ,রাশীক আর রাইয়ান ঘুমিয়ে পড়লো।
আমরা দুজনে পথের দিকে তাকিয়ে আছে....
এভাবে অনেক অনেক দুর যেনো যেতে পারি। আমাদের কথার মধ্য গান গেয়ে যাচ্ছিল অখীল বন্ধু ঘোষ......

তোমার সাথে দেখা না হলে
ভালোবাসার দেশটা আমার দেখা হতো না।
তুমি না হাত বাড়িয়ে দিলে
এমন একটি পথে চলা শেখা হতো না।

গানের লিন্ক:
Click This Link


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৮
৩৫টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাতে লাগে ব্যথা রে, কোক ছাইড়া দাও সোনার দেওরা রে…

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

"কোকাকোলার লোগো প্রতিবিম্বিত করলে তা আরবি বাক্য 'লা মুহাম্মদ, লা মক্কা' সাদৃশ্য হয়। যার অর্থ দাঁড়ায় 'না মুহাম্মদ, না মক্কা' (No Muhammad, No Mecca)।" এই ইস্যুতে একবার মুসলিম বিশ্বে বয়কটের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরফমানব এবং ইভের সাত কন্যা

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এক সকাল বেলা। আল্পস পর্বতমালার ইতালী অস্ট্রিয়া সীমানায় এরিকা এবং হেলমুট সাইমন নামের দুইজন অভিজ্ঞ জার্মান পর্বতারোহী তাদের হাইকিংয়ের প্রায় শেষ সময়ে এসে পৌঁছেছেন। গতরাতে আবহাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোকাকোলা সহ সকল কোমল পানীয় বর্জন করুন। তবে সেটা নিজের স্বাস্থ্যের জন্য, অন্য ব্যবসায়ীর মার্কেটিং কৌশলের শিকার হয়ে না।

লিখেছেন নতুন, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

মার্কেটিং এর ম্যাডাম একবার বলেছিলেন, "No publicity is bad publicity." প্রচারের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের মনে ব্র্যান্ডের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া। কিছুদিন পরে মানুষ ভালো কি মন্দ সেটা মনে রাখে না,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা আমাদের ঐতিহ্যের পোশাককে নোংরা পোশাক হিসেবে পরিচিত করতে চায়। ওরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে চায়।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০


"লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি'মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।"

এক মৌলভী পোস্ট দিয়েছেন
"শাড়িকে একটি নোংরা পোশাক বানিয়ে দিয়েন না।
শরীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমূদ্র-সৈকতে - ১৬

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯



ছবি তোলার স্থান : মেরিনড্রাইভ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : পহেলা অক্টোবর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ।

বেড়াবার সবচেয়ে আকর্ষণীয় যায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সমূদ্র সৈকত। কখনো কখনো আমারও সুযোগ হয় বেড়াতে যাবার।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×