somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুমি ছিলে না তাই..........................

০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘুমাওনি তুমি জানি।
আমিও জেগে আছি।

আমাদের ছুঁয়ে থাকা সময় নিয়ে
একরাশ গল্প হতে পারে।
এমনকি চাইলে দীর্ঘ এক উপন্যাস।

আমিহীন দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া সময়ে
হাইওয়ের চলতে থাকা গাড়ীগুলোর দিকে তাকিয়ে
ভাবছিলে কি আমাকে?

আকাশে উঠেছিলো চাঁদ
মনে পড়ছিলো কি আমাকে?

জানালার পাশে চাঁদটার মত একা দাঁড়িয়ে
তোমাকে ভাবছিলাম ভীষন।
তোমাকে শুধু তোমাকেই মনে পড়ছিলো।
তুমি কাছে না থাকা সময়গুলো সেকেন্ড ,মিনিট ঘন্টা হয়ে
বাড়ছিলো শুধু।

খুব ইচ্ছে করছিলো তুমি আমার পাশে এসে দাঁড়াও।
অথবা দুর থেকে ডাকো নাম ধরে।
যা শুনে উত্তর না দিয়ে আমি চুপ করে থাকি অভ্যাসে।

ভীষন রাগ হতে থাকে তোমার।
অবহেলা ভেবে কষ্ট পেতে থাকো।
অথচ এমনই আমি।
তুমি ডাকবে বলে অপেক্ষায় থাকি।

জীবনের দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজ সারি,
অনলাইনে বসি।
গান শুনি।
সব কিছু ছাপিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকি।

কথা হয় তোমার সাথে।
যাপিত জীবনের প্রয়োজনীয় কথা।
তোমার পাশে কি ছিলো এমন কেউ?
নাহলে কথাতে কোন চাঁদের গল্প নেই !
বিরহ নেই!

খুব ইচ্ছে করছিলো বলো
এখুনি এসে পড়ি?
সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাতের গভীরে চাঁদটাকে সাথেকরে
সাত ঘন্টা পর
আমার দরজায় তুমি!
দেখে আহ্লাদে মোম হয়ে গলে যাই।

জানি আসবেনা ।
তবু মাঝে মাঝে এমন করে শুনতে কার না ভালো লাগে?

যেমন করে তোমার ও জানতে ইচ্ছা করে
তুমি না থাকলে আমি এবং আমরা খুব একা হয়ে যাই!











(বরুণার বসন্তদিন ২৭
বসন্তদিন লিখতে গিয়ে পুরোনো সব মেইল , ইয়াহু চ্যাট, কনভারসেশনগুলো রোজ রোজ পড়ি। কখনও হেসে উঠি , কখনও নিজের অজান্তে চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে।
তবুও পড়ি। পূরোনো মেইল পড়া আমার এক প্রিয় অভ্যাস।কিন্তু আজকাল পড়ছি বসন্তদিন লিখতে গিয়ে। আজকের লেখাটা লিখতে গিয়ে কোনো পুরোনো মেইল পড়লাম না। কিছুদিন আগে সাজি আপু একটা কবিতা লিখেছিলেন আর সে কবিতাটা পড়েই আমি আপুনিকে বলেছিলাম , আমাকে এই কবিতা নিয়ে লিখতেই হবে আপু। কারন আপুটা কি করে যে আমার ঠিক ঠিক মনের কথাগুলোই কবিতায় লিখে ফেললো, সেটা দেখে আমি তো অবাক!!!!!
ঠিক সেদিন রাতে তার কিছুক্ষণ আগে তোমার উপরে আমার প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়েছিলো প্রতিফলন। আমি রেগে মেগে চলেই গেলাম ইয়াহু থেকে। তখন অনেক রাত। ১টা পার হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আমি ঘুমালাম না। জেগে রইলাম । তুমিও ঘুমাতে পারবেনা সহজে সেও জানতাম। আমি ব্লগ থেকে লগ আউট হয়ে গেলাম। সেও তোমার উপরে রাগ করেই যেন জানতে না পারো। কোনো কথা বা কমেন্ট করতে না পারো আমার ব্লগেও। আর তখনই দেখলাম সাজি আপুর কবিতাটা। আর সেটা পড়ে তুমি লিখলে এই কথা গুলি নাকি তুমিই বলতে চেয়েছিলে। ইশ!!!!!!!!!!! ঢং কত!!!!!!!!!!!!

কিন্তু কি আশ্চর্য্য! সাজি আপু ঠিক ঠিক তোমার আমার মনের কথাটাই কি করে জানলো?
(ঘুমাওনি তুমি জানি।
আমিও জেগে আছি। )
ঠিক ঠিক আমিও জানতাম একথাটাই প্রতিফলন। এমন রাত শুধু সেদিনই ছিলোনা অনেক অনেক দিন হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। বা রাগ করে আমি চলে গিয়েছিলাম। ঘুমাতে পারিনি অনেকক্ষণ আর নিশ্চিৎ করে জানি তুমিও জেগে ছিলে সেসব দিনে।

(আমাদের ছুঁয়ে থাকা সময় নিয়ে
একরাশ গল্প হতে পারে।
এমনকি চাইলে দীর্ঘ এক উপন্যাস।)
কি আশ্চর্য্য তাইনা ? এমনটা আমাদের কত্তবার যে মনে হয়েছে। আমাদের গল্পটা কোনো বড় লেখক অনেক অনেক সুন্দর করে লিখে দিতে পারতো।বস্তুত এজন্যই ব্লগে আসা আমাদের। আমি বলতাম প্রতিফলন, তুমি লেখালিখি করলে অনেক বড় লেখক হতে পারতে।কিন্তু এত সুন্দর করে বলতে পারিনি। সাজি আপুর কবিতার মত,"আমাদের ছুয়ে থাকা সময়গুলো নিয়ে হতে পারে কোনো উপন্যাস।" কবিরা কত সুন্দর করে কথা গুলো অনায়াসে বলে দিতে পারে, তাইনা?? যা আমি পারিনা।

(আমিহীন দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া সময়ে
হাইওয়ের চলতে থাকা গাড়ীগুলোর দিকে তাকিয়ে
ভাবছিলে কি আমাকে?
আকাশে উঠেছিলো চাঁদ
মনে পড়ছিলো কি আমাকে?
জানালার পাশে চাঁদটার মত একা দাঁড়িয়ে
তোমাকে ভাবছিলাম ভীষন।
তোমাকে শুধু তোমাকেই মনে পড়ছিলো।
তুমি কাছে না থাকা সময়গুলো সেকেন্ড ,মিনিট ঘন্টা হয়ে
বাড়ছিলো শুধু।)

কত দিন কতবার শুধু হাইওয়ে কেনো। এই বনানী থেকে নিউমার্কেট যেতেও জ্যামে আটকে রাস্তায় বসে থাকি যখন অথবা যখন ছুটে চলে গাড়ীটা তখনও আমি তোমার স্বপনেই বিভোর থাকি প্রতিফলন। সবারই কি একি অনুভুতি হয় ? আসলে ভালোবাসা আর ভালোবাসার মানুষটির জন্য মনে হয় অনুভুতিগুলো সবার একিরকম।

(খুব ইচ্ছে করছিলো তুমি আমার পাশে এসে দাঁড়াও।
অথবা দুর থেকে ডাকো নাম ধরে।
যা শুনে উত্তর না দিয়ে আমি চুপ করে থাকি অভ্যাসে।)

তুমি জানোনা হাজার ভীড়ের মাঝেও তুমি আমার সাথেই পথ চলো। জানোনা আমি সবার অলখে তোমার সাথেই চুপি চুপি কথা বলি। তোমার হাত ধরে আমি হেঁটে যাই ব হু দূর!!! কেউ জানেনা।

(ভীষন রাগ হতে থাকে তোমার।
অবহেলা ভেবে কষ্ট পেতে থাকো।
অথচ এমনই আমি।
তুমি ডাকবে বলে অপেক্ষায় থাকি।)

অবহেলা অবহেলা সব সময় একটাই দোষারোপ করো তুমি প্রতিফলন। অথচ তুমি জানোনা "ইচ্ছে অবহেলাই তোরে ভালোবাসায় বাঁধি" কবিতার সুরে বল্লাম বাবুসোনা।মনে আছে এমনি একটা কবিতা লিখেছিলাম একদিন।তোমার অবহেলা অবহেলা অনুযোগের পরে।
(তোমার জন্য??
জীবনের দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজ সারি,
অনলাইনে বসি।
গান শুনি।
সব কিছু ছাপিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকি। )

সব কাজ, সব ক্লান্তির পরে আমি ও ঠিক এভাবেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। শুধু তোমার জন্য প্রতিফলন।তোমাকে দেখলেই এক নিমিসে আমি সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে যাই। ভুলে যাই যে কোনো রাগ শোক দুঃখ অপমান!
এইযে রাগ করি, কথা বলিনা তবুও আশায় আশায় থাকি তুমি একটু ডাকবে কখন! তোমারও ঠিক একি অনুভুতি হয়। সেতো আমার জানা।

সাজি আপুর কবিতায় আরো আরো অনেক কিছুই ছিলো।খুব অবাক হয়ে পড়েছিলাম সেদিন কবিতাটা। বারবার শুধু জানতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, মানুষের অনুভুতি গুলোর কেনো এত মিল হয়?
সেদিনই ঠিক করলাম কবিতাটা নিয়ে লিখবো। এই বসন্তদিনেই লিখবো আমি। কিন্তু ঠিক তারপরপর ব্যস্ত হয়ে গেলাম এই কদিন।

জানো ? আমি ঠিক করেছি আমাদের এই ভালোবাসায় যা কিছু আসবে যতখানি পারি লিখে রেখে যাবো আমি।সব তো লেখা হবেনা। যতখানি পারি আরকি।আর তারপর ...
তারপর জানিনা........
তুমি নাহয় লিখো তারপর.......
সাজি আপুর কবিতাটি
Click This Link

(জীবনের দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজ সারি,
অনলাইনে বসি।
গান শুনি।
সব কিছু ছাপিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকি। )
এই কথাগুলি খুব ভাবাচ্ছে কদিন ধরে।বিশেষকরে এই লাইনটা।"সব কিছু ছাপিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকি।"প্রতিফলন এটা খুব সত্যি একটা কথা আমার জীবনের । আমি সবকিছুর পরেও তোমার জন্যই শুধু অপেক্ষায় থাকি। থাকবো সারাজীবন। হোকনা সে কোনো ব্যর্থ অপেক্ষা।যে অপেক্ষার কোনো শেষ নেই...........
যে অপেক্ষা নিঃসীমে......অথবা কোনো শুণ্যে মিলিয়ে যায়...........





সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
৭১টি মন্তব্য ৬৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার শিশুদের উদ্দেশ্যে - আমরা তোমাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


তোমরা এসেছিলে মাথার উপর বোমা পড়ার ভয়ার্ত গল্প নিয়ে। যে বোমা তোমাদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, লোকালয় ধ্বংস করেছে। আমরা কান বন্ধ করে উদাসীন হয়ে বসে ছিলাম। তোমরা এসেছিলে ছররা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবিতে গণতন্ত্রের নামে মবতন্ত্র

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১০



তথাকথিত গণতন্ত্রকামীদের পীর আল্লামা পিনাকী এবং ছোট হুজুর ইলিয়াস মোল্লার উস্কানীতে দেশজুড়ে চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মবতন্ত্র। আল্লামা পিংকুর যুক্তি হচ্ছে- যে বা যারাই তাদের (গণতন্ত্রকামীদের) সূরে কথা না... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×