টিভি এখন একদমই দেখা হয় না। বাসায় ফিরে আমার ঘরেই ছিলাম। হঠাৎ খুব ভালো লাগা গানটি কানে এলো। ‘এই গান গাইছে কে রে?’ দে ছুট। চোখ উঠলো কপালে। এই মেয়ে গাইছে এই গান..
আবিদা সুলতানার গায়কীতে ভুপেন হাজারিকার -‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার মৌনতার সূতোয় বোনা একটি রঙিন চাদর..”
যন্ত্র হওয়ার যন্ত্রণা তো আমার আছেই, তবু অনেকদিন পর আবার মনে হলো, না, সবকিছু এখনও ভোতা হয়ে যায়নি।
চোখ ঝাপসা হয়ে এলো।
কৈশরে চিত্রা সিং-এর গান শুনে ভাবতাম, আহা...এরকম মায়াভরা কন্ঠের কেউ যদি আমার বউ হতো, সুরতের দরকার নেই, সারাজীবন কাটিয়ে দিতাম গান শুনেই। সেইসব ঘোরলাগা সময় চলে গেছে। কিন্তু অনুভূতিগুলো?
পড়শী, বয়স খুব বেশি হলেও ১২-১৪। গভীর চোখের বিনয়ী মুখের এ মেয়েটি গান গাইছে ছোটদের প্রতিযোগিতামূলক এক অনুষ্ঠানে।
বেনিয়া-জোয়ারে তথাকথিত এ সব প্রতিযোগিতার অন্তত ভালো দিক মনে হয় এটাই- একটা দুটো হলেও প্রতিভা আসছে।
তবে কোথায় যে আবার চলে যায়, তা...
মাগো, তোর কন্ঠ, তোর সুর, তোর দরদ- ছড়িয়ে পড়–ক সব প্রাণে। মাথার উপর তুই আকাশ হয়ে থাক।
পড়শী’র জনক-জননীকে আমার নতজানু শ্রদ্ধা।
ডিয়ার ব্লগারস, বিয়ে কি হতে পারে না এমন একটা আবাদ, যেখানে কৃষাণ-কৃষাণী ভালোবাসার চাষে পৃথিবীকে দিয়ে যাবে এমনই সব সোনাফসল?
সবাই ভালো থাকুন। শুভরাত্রি।