somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিশন টু মটরশুঁটি হান্ট : সচিত্র প্রতিবেদন

২৫ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফোর্থ ইয়ারের ফার্ষ্ট সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ। সপ্তাখানেকের মত ছুটি পেলাম। অনেকদিন বাসায় যায় না। তাই ভাবলাম একটু বাসা থেকে ঘুরে আসি। প্ল্যান মত বাসায় চলে এলাম। ভার্সিটির গ্যান্জামের কারনে সেই ছুটি দীর্ঘায়িত হল মাস দেড়েকের মত।

আমার আবার তেমন আত্বীয় বাড়ী বেড়াতে ভালো লাগেনা। তাই বাসায় একরকম বন্ধী হয়ে রইলাম। সকাল-বিকাল লোকাল বন্ধুদের সাথে একটু আধটু আড্ডা দিই। বাকি সময়টা ডিসকভারী, ন্যাশনাল জিওগ্রাফী ও খেলার চ্যানেল গুলো দেখে কাটাই। এভাবে আস্তে আস্তে বিরক্তি চলে আসতে লাগলো।

কয়েকদিন পর থার্ড ইয়ারের পরীক্ষা শেষ করে বুলবুল বাড়ীতে আসল। ও একটা পলিট্যাকনিক্যালে কম্পিউটারে পড়ে। আমার খুবই ভালো বন্ধু। আমর চেয়ে বয়সে কিছুটা ছোট। ছোটবেলা থেকেই একসাথে বড় হয়েছি। বাড়িতে গেলে প্রায় ২৪ ঘন্টা একসাথেই থাকি। ওদের আর আমাদের বাড়ী পাশাপাশি। আমি বাড়িতে গেলে ও আমাদের বাড়িতেই ঘুমোই। কে কাদের বাড়ীতে খাই তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। বুঝতেই পারছেন কেমন ইন্টিমেসি। ওর সাথে বোঝা-পড়াটাও দারুন। ফ্যামিলিগত সম্পর্কটাও দারুন।

আমরা একসাথে হলে প্রতিদিন নতুন নতুন প্ল্যান করি। তো একদিন রাতে শুয়ে শুয়ে প্ল্যান করলাম মাঠ থেকে মটরশুঁটি চুরি করবো। তারপর পুড়িয়ে খাবো। যেই ভাবা সেই কাজ। পরদিন সকালের দিকে ম্যাচ নিয়ে মটরশুঁটির সন্ধানে বের হলাম। কিছুক্ষনের মধ্যে একটা মটরশুটির ক্ষেত খুজে বের করলাম।



(উপরে) মটরশুঁটি চুরি করছি আমি আর (নিচে) পাহারা দিচ্ছে বুলবুল।



ওগুলো পোড়ানোর জন্য গাছের নিচে পড়ে থাকা শুকনো পাতা সংগ্রহ করলাম।




এখন পোড়ানোর পালা।



পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় মনে হয় একটু বেশীই পুড়ে গেছে।



এবার খা্ওয়ার পালা। সাথে জুটে গেলেন এলাকার এক বড় ভাই। উনি মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে এসেছিলেন। ধরা পড়ে গেলাম উনার কাছে। কি আর করা। উনাকেউ ভাগ দিতে হল।



খেতে খেতে ভীষন তেষ্টা পেলো। শুকনো জিনিস তো, তাই গলায় আটকিয়ে যাচ্ছিল। তাও গলা টেনে টেনে খেতে লাগলাম। দুজন দুজোনের দিকে তাকাচ্ছি। আশেপাশে পানি নেই। তাই কেউ কিছু বলছিনা। কিন্তু এভাবে আর কতক্ষন থাকা যায় বলেন? অবশেষে খাওয়া বাদ দিয়ে পানির সন্ধানে বের হলাম।

কিছুক্ষন খোজা-খুজির পর পানির একটা উৎসও খুজে পেলাম। এটা ছিল একটা পানির ক্যানেল। অনেক দূর হতে হয়ত কোন শ্যালো-মেশিন থেকে পানি আসছিল। কোন বাচ-বিচার না করে ক্যানেল থেকেই পানি পান করতে লাগলাম।




মন ভরে পানি খাচ্ছি। হঠাৎ বুলবুল রসিকতা করে বলল,"মনে কর আমরা এখানে পানি খাচ্ছি আর দুরে কেউ প্রাকৃতিক কর্ম সেরে ক্যানেলের পানিতে ধোয়া-ধুয়ির কাজ করছে। ব্যাপারটা কেমন হবে বলত? "

ওর কথায় হাসি যেমন পেল, মেজাজও খারাপ হয়ে গেল। পানি খাওয়ার কোন রুচিই আর রইল না।

যাইহোক, পানি খেয়ে গাছের ছায়ায় বসে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলাম। তারপর দুপুরের দিকে মিশন শেষ করে বাড়ী ফিরলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:২৩
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×