আগের পর্বে আপনাদের ডাকটিকেট সংগ্রহের শখ ও তা পূরণে আমার নানাবিধ কর্মকান্ডের কথা বলেছিলাম। এবার আরেকটা শখের কথা বলি, যেটা আসলে আমি এখনো ধরে রেখেছি।
'৯০ সালের পরে আব্বা একবার থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন একটা ট্রেনিং এ। তো সেখানে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণকারী ছিল। একদিন আব্বার কাছে একটা চিঠি আসল। বার্মা থেকে (বর্তমানে মিয়ানমার)। খাম খুলে দেখা গেল সেটাতে একটা খুব সুন্দর ভিউ কার্ড আর একটা বার্মার ১ কিয়াট মূল্যমানের কাগুজে নোট আছে। নোটটা একেবারে নতুন চকচকে। তো সেই কার্ড আর নোটটি আমার কাছেই থাকল। তখনো আমার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের শখটি জেগে ওঠেনি। যখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি, কিভাবে যেন বিদেশী কাগুজে নোট এবং কয়েন সংগ্রহের শখ জেগে উঠল। তো পরিচিত জন যারাই বিদেশে যেত তাদেরই বলে রাখতাম আমার জন্য সেই দেশের নোট এবং কয়েন নিয়ে আসার জন্য। আবার বাবার সহকর্মী অনেক আংকেলই আমাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন। এ ক্ষেত্রেও আমি বিচিত্র কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। শুনে হয়ত মজাই পাবেন।
যখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি, তখন একদিন দেখলাম সাইপ্রাস থেকে এক ভাইয়া পেপারে চিঠি পাঠিয়েছে যেখানে তিনি বাংলাদেশী ছাত্রদের সাইপ্রাসে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে দেশী এজেন্সিগুলোর ছাত্র পাঠানোর নামে যে প্রতারণা হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। তো চিঠির নীচে তিনি তার পূর্ণ ঠিকানা দিয়েছিলেন। আমার মাথায় একটা আইডিয়া খেলল, আমি ওনাকে চিঠি লিখলাম এবং তাকে আমার এই শখের কথা জানালাম। পরবর্তীতে তিনি আমাকে ওনার একটা ছবি এবং সাইপ্রাসের ১ পাউন্ডের একটি নোট পাঠিয়েছিলেন। এরপর একদিন দেখি এক ভাইয়া, জার্মানী প্রবাসী, পত্র মিতালী করতে চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলেন। যদিও শুধুমাত্র মেয়েদের সাথেই পত্রমিতালীর আহবান তিনি জানিয়েছিলেন, কিন্তু ভাবলাম আমিও তাকে লিখি। তো ভাইয়া খুব ভাল ছিলেন। আমাকে জার্মানী সহ আরো অনেক দেশের নোট পাঠিয়েছিলেন তিনি। HSC পরীক্ষার পর প্রতিদিন গাজীপুর থেকে ফার্মগেইট যেতাম মেডিকেল ভর্তি কোচিং করতে। নতুন একটা আইডিয়া এল, ফেরার পথে প্রায়ই বিমানবন্দরে নেমে যেতাম। ওখানকার ভিক্ষুকদের কাছে চেক করে দেখতাম ওদের কাছে কিছু পাওয়া যায় কিনা। তখন মালয়শিয়াতে প্রচুর বাংলাদেশীরা যেতেন শ্রমিক হিসেবে। তাই অধিকাংশ ভিক্ষুকদের কাছেই এক রিংগিত , আর মালয়শিয়ান সেন্ট এর কয়েন পাওয়া যেত। তবে একদিন একজনের কাছে সুদানের ৫ পাউন্ডের একটা নোট পেয়েছিলাম। আরেকদিন কোন এক এয়ারলাইন্সের কর্মীর কাছ থেকে ২০ কেনিয়ান শিলিং এর একটা নোট কিনতে পেরেছিলাম। এছাড়া এয়ারপোর্ট থেকে তেমন কিছু সংগ্রহ করতে পারিনি। অধিকাংশ সংগ্রহই পরিচিত জনদের কাছ থেকে পেয়েছি।
নিজে যখন ভারতে গিয়েছি, তখন বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় মুদ্রা সংগ্রহ করেছি। কালিম্পং এ থাকার সময়, ভুটানি এক ছাত্রের সাথে দেখা হয়েছিল, সে আমাকে ৫ গুলট্রামের একটি নোট দিয়েছিল। যখন শিলিগুড়ি থেকে ফিরছিলাম, জলপাইগুড়িতে এসে দেখি কেনাকাটা করতে গেলে লোকজন ভুটানি মুদ্রাও দিচ্ছে। জানতে পারলাম, ভারতীয় এবং ভুটানি মুদ্রার মান সমান এবং ভুটানের মুদ্রা সীমান্তবর্তী ভারতের অঞ্চলে চলে। তখন ভারতীয় মুদ্রার বিনিময়ে কিছু ভুটানী নোট সংগ্রহ করে নিলাম। আমি যখন ভুটানে গিয়েছিলাম তখন পুরোটা সময় আমি ভারতীয় মুদ্রাই ব্যাবহার করেছি, ভুটানি মুদ্রা নেবার প্রয়োজনই পড়ে নি। একই অবস্থা নেপালেও। ভারতীয় ১০০ রুপি = নেপালি ১৬০ রুপি, এই বিনিয়ম হারে পুরো নেপাল জুড়েই আপনি ভারতীয় রুপি ব্যাবহার করতে পারবেন। দেখবেন, লোকজন দুই দেশের মুদ্রায় মিশ্রভাবে লেনদেন করছে। কিন্তু নেপালি মুদ্রা আবার ভারতে চলতে দেখিনি। আর নেপাল – ভারত সীমান্তে একটা ব্যাংকই আছে যেখানে আপনি ভারতীয় ও নেপালি মুদ্রার মধ্যে পারস্পরিক রুপান্তর করতে পারবেন কোন প্রকার বাড়তি ফি ছাড়াই।
আমার সহপাঠী বন্ধুরাও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে এ ব্যাপারে। আমার ভায়রা মেজর সাহেব যখন লাইবেরিয়াতে জাতিসংঘ মিশনে গিয়েছিলেন, আমার জন্য লাইবেরিয়া আর ফেরার পথে ঘানায় যাত্রা বিরতির সময় ঘানায় নতুন চালু হওয়া মুদ্রা ১ সেডি এর একটা নোট নিয়ে এসেছিলেন। এর আগে ঘানাতে ওই মুদ্রা ছিলই না, ওদের চলতি মুদ্রার মান অনেক পড়ে যাওয়ায় ওরা এই বড় মুদ্রা সেডি চালু করে। এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ভাইয়ের কাছ থেকে ইন্দোনেশিয়ার বিশাল নোট পেয়েছিলাম। ইরানি ১০০০ রিয়াল এর একটা নোট পাওয়ার পেছনে একটা মজার ঘটনা আছে। কোন এক ভাবে কক্সবাজারে একজন খুব সহজ সরল ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল। তখন আমি ঢাকা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি এবং হোস্টেলে থাকি। একদিন ওই ভাইয়া কক্সবাজার থেকে এলেন, আমার সাথে দেখা করলেন। বললেন, আমার এক আত্মীয় আমাকে ইরানের ১০০০ রিয়ালের একটি নোট দিয়েছে। এটা ভাঙ্গিয়ে আমি কিছু কেনাকাটা করব। উনি ভেবেছিলেন, ১০০ রিয়াল অনেক বড় অংকের মুদ্রা ! আমিও তাই ভেবেছিলাম, মনে মনে ভাবলাম এটা ভাংগাতে পারলে কেনাকাটার পরে হেব্বি একটা খাওয়া দাওয়া করা যাবে। তো টাকা কই ভাঙ্গাবো? কোন আইডিয়া নাই। জনতা ব্যাংকে আমার খালু চাকরি করেন। ভাবলাম ওনার কাছেই চলে যাই। মতিঝিলে গিয়ে চব্বিশ তলা ভবনে উঠলাম। সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেলাম তারপর, যখন আমার খালু বললেন, বাংলাদেশী মুদ্রায় এই নোটের মান ২০ টাকা !! বড় ভাইয়ের স্বপ্ন ভেংগে খান খান, সাথে সাথে আমারো । পুরাই বেকুব আমরা। পরে সেই ইরানি রিয়াল আমার সংগ্রহেই থেকে গেল।
আমার সংগ্রহ সবচেয়ে বেশী সমৃদ্ধ হয়েছে যখন আমি ২০০৮ এ উগান্ডা যাই একটা চুক্তিভিত্তিক চাকরি নিয়ে। মাঝে এক মাসের বিরতিসহ সাড়ে ছয় মাস ছিলাম উগান্ডাতে। তখন বিভিন্ন দেশের লোক জনের সাথে দেখা হয়েছিল। কেনিয়া, তানযানিয়া, বুরুন্ডি, ডিআরকংগো, গিনি, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, রোমানিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ইথিয়োপিয়া আর উগান্ডা, এই দেশগুলোর নোট পেয়েছিলাম সেসময়। এছাড়া সোয়াজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, ইসরাইল এর কয়েন পেয়েছিলাম। ইথিয়োপিয়ার মুদ্রা সংগ্রহে একটা ব্যাতিক্রমী ঘটনা বলি। আমি তখন উগান্ডা ছেড়ে চলে আসছি। এমিরেটসের যে ফ্লাইটে ফিরছিলাম সেটা ১ ঘন্টার একটা যাত্রা বিরতি দেয় ইথিয়োপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায়। উড়োজাহাজ থেমে থাকা অবস্থায় ইথিয়োপিয়ার বিমানবন্দর থেকে কিছু ক্লিনার প্লেনে ওঠে টয়লেট পরিস্কার করার জন্য। ওরা পেছনের দরজা দিয়ে ওঠে। খোলা দরজায় একটা লাল স্ট্রাইপ দেয়া থাকে, তার ওপাশে একজন ইথিয়োপিয়ান এয়ারপোর্ট গ্রাউন্ড স্টাফ দাঁড়িয়ে থাকেন। তো আমি হাটতে হাটতে প্লেনের পেছনের খোলা দরজার সামনে দাড়ালাম। তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে। হঠাৎ কি মনে করে ওই গ্রাউন্ড স্টাফকে বললাম আচ্ছা আপনার কাছে কি ইথিয়োপিয়ান নোট আর কয়েন আছে? আমি সংগ্রহ করি। লোকটা আমাকে পাল্টা কোন প্রশ্ন না করে সোজা পকেট থেকে একটা ১ বিরর (1 Birr) এর চকচকে নতুন নোট বের করে দিয়ে দিলেন। জিজ্ঞেস করলাম, কোন কয়েন নেই? বলল, নেই। সেদিনের ঘটনাটায় আমি প্রচন্ড অবাক হয়েছিলাম, কারণ, লোকটার আচরণে মনে হচ্ছিল, উনি আমাকে ওই নোটটা দেয়ার জন্যই দাঁড়িয়েছিলেন !!
তো শখের কথা এ পর্যন্তই। আমার এই শখে সর্বশেষ সংযোজন, লেবাননের ১০০০ পাউন্ড/লিরা এর একটি নোট এবং কিছু কয়েন যেটা পেয়েছি লেবাবন এর সমুদ্রসীমায় অবস্থিত বাংলাদেশের সম্ভবত প্রথম নেভি শিপ এর জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত আমার সম্বন্ধির সৌজন্যে। ওনাদের জাহাজ ইসরায়েল এর খুব কাছাকাছি অবস্থান করে। পরিশেষে আমার এ যাবত সংগৃহিত বিভিন্ন দেশের নোট (Bill) গুলোর একটা তালিকা দিলাম। আমার এই সংগ্রহকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য আমাদের ব্লগার ভাইয়েরা/বোনেরাও কিন্তু এগিয়ে আসতে পারেন ! আমি জানি অনেক ব্লগার ভাইয়েরাই বিদেশে আছেন, অনেকের কাছে বিদেশ ভ্রমনের পর কিছু মুদ্রাও থেকে যেতে পারে…
আমার সংগৃহীত কাগুজে মুদ্রার তালিকাঃ
১। বাংলাদেশঃ ১ টাকা (দুই রকম), ২ টাকা, ৫ টাকা (দুই রকম), ১০ টাকা (চার রকম), ৫০ টাকা
২। নেপালঃ ১ রুপি (তিন রকম), ২ রুপি, ৫ রুপি, ১০ রুপি, ২০ রুপি, ২৫ রুপি, ৫০ রুপি
৩। পাকিস্তানঃ ১ রুপি, ২ রুপি, ৫ রুপি, ১০ রুপি (দুই রকম), ২০ রুপি, ৫০ রুপি
৪। ভারতঃ ১ রুপি (দুই রকম), ২ রুপি (দুই রকম), ৫ রুপি (দুই রকম), ১০ রুপি (চার রকম), ২০ রুপি
৫। ব্রাজিলঃ ১০ Cruzeiro Real, ৫০ Cruzeiro Real, ১০০ Cruzeiro Real (দুই রকম), ২০০ Cruzeiro Real (এই পর্যন্ত আগের কার) এখন নতুন মুদ্রাঃ ২ রিয়েল, ৫ রিয়েল (সংগ্রহঃ ২৭ নভেম্বর, ২০১১)
৬। মিয়ানমারঃ ১ কিয়াট (দুই রকম, সাবেক বার্মার ১টি ও বর্তমান মায়ানমারের ১টি), ৫ কিয়াট, ১০ কিয়াট, ১৫ কিয়াট, ৫০ কিয়াট, ১০০ কিয়াট, ২০০ কিয়াট, ১০০০ কিয়াট
৭। মালদ্বীপঃ ২ রুফিয়া
৮। সাইপ্রাসঃ ১ পাউন্ড
৯। পোল্যান্ডঃ ৫০ Zlotych
১০। কেনিয়াঃ ২০ শিলিং, ৫০ শিলিং, ২০০ শিলিং
১১। জার্মেনিঃ ৫ ডয়েচ মার্ক, ১০ ডয়েচ মার্ক, ২০ ডয়েচ মার্ক
১২। অস্ট্রেলিয়াঃ ৫ ডলার
১৩। ইরানঃ ৫০০ রিয়াল, ১০০০ রিয়াল, ২০০০ রিয়াল, ৫০০০ রিয়াল, ১০০০০ রিয়াল, ৫০০০০ রিয়াল
১৪। সিরিয়াঃ ৫ পাউন্ড
১৫। সুদানঃ ৫ পাউন্ড
১৬। মিশরঃ ১ পাউন্ড, ৫ পাউন্ড, ৫ পিয়াস্টার (পয়সা), ১০ পিয়াস্টার (পয়সা)
১৭। সৌদি আরবঃ ১ রিয়াল (তিন রকম), ৫ রিয়াল (দুই রকম), ১০ রিয়াল, ২০ রিয়াল
১৮। সিংগাপুরঃ ১ ডলার (দুই রকম), ২ ডলার
১৯। থাইল্যান্ডঃ ১০ বাথ (দুই রকম), ২০ বাথ (তিন রকম)
২০। মালয়শিয়াঃ ১ রিংগিত (দুই রকম), ২ রিংগিত, ৫ রিংগিত (দুই রকম) , ১০ রিংগিত
২১। ইন্দোনেশিয়াঃ ১০০০ রুপিয়াহ (দুই রকম), ৫০০০ রুপিয়াহ, ১০০০০ রুপিয়াহ, ৫০০০০ রুপিয়াহ
২২। ব্রিটিশ আর্মড ফোর্সঃ ৫ নিউ পেন্স
২৩। ওমানঃ ১০০ বায়সা (দুই রকম)
২৪। ক্রোয়েশিয়াঃ ২৫ দিনারা (প্রাচীন), ১০ কুনা, ২০ কুনা
২৫। ফিলিপাইনঃ ২ পেসো, ১০ পেসো (দুই রকম), ২০ পেসো (দুই রকম), ৫০ পেসো
২৬। কানাডাঃ ২ ডলার
২৭। রাশিয়াঃ ১০০ রুবল, ৫০০ রুবল, ১০০০ রুবল, (এই পর্যন্ত আগের কার) এখন নতুন মুদ্রাঃ ১০ রুবল, ৫০ রুবল (সংগ্রহঃ ২৭ আগস্ট, ২০১৩)
২৮। ইতালিঃ ১০০০ লিরা
২৯। ভুটানঃ ১ গুলট্রাম, ৫ গুলট্রাম (২ রকম), ১০ গুলট্রাম, ২০ গুলট্রাম
৩০। ইরাকঃ ৫০ দিনার
৩১। লিবিয়াঃ ১ দিনার
৩২। লেবাননঃ ১০০০ পাউন্ড/লিরা
৩৩। আফগানিস্তানঃ ২ আফগানি, ৫ আফগানি, ১০ আফগানি
৩৪। শ্রীলংকাঃ ১০ রুপি
৩৫। ভিয়েতনামঃ ২০০ ডং
৩৬। চীনঃ ১ ইউয়ান (দুই রকম), ২ ইউয়ান, ৫ ইউয়ান, ১০ ইউয়ান, ২০ ইউয়ান, ২ জিয়াও (পয়সা)
৩৭। কাতারঃ ১ রিয়াল (দুই রকম)
৩৮। অস্ট্রিয়াঃ ২০ শিলিং
৩৯। গ্রীসঃ ২০০ ড্রাচমা (বর্তমানে ইউরো চলে)
৪০। সাউথ আফ্রিকাঃ ১০ রান্ড
৪১। প্যারাগুয়েঃ ৫০০ গুয়ারানি
৪২। বেলজিয়ামঃ ১০০ ফ্রাঙ্ক
৪৩। দক্ষিন কোরিয়াঃ ১০০০ ওন
৪৪। ইইউঃ ৫ ইউরো
৪৫। সুইডেনঃ ২০ ক্রোনা
৪৬। ঘানাঃ ১ সেডি, ৫ সেডি
৪৭। লাইবেরিয়াঃ ৫ ডলার, ১০ ডলার, ২০ ডলার, ১০০ ডলার
৪৮। নাইজেরিয়াঃ ১০ নাইরা
৪৯। মংগোলিয়াঃ ৫০ তুগরিক
৫০। ইউএইঃ ৫ দিরহাম
৫১। হংকং ঃ ২০ ডলার
৫২। ইউএসএঃ ১ ডলার
৫৩। রোমানিয়াঃ ১ লিউ
৫৪। তানযানিয়াঃ ৫০০ শিলিং, ২০০০ শিলিং
৫৫। ডিআর কংগোঃ ১০০ ফ্রাংক, ২০০ ফ্রাংক
৫৬। ইথিওপিয়াঃ ১ বির, ১০ বির
৫৭। বুরুন্ডিঃ ১০০ ফ্রাংক, ১০০০ ফ্রাংক
৫৮। উগান্ডাঃ ১০০০ শিলিং (দুই রকম), ২০০০ শিলিং
৫৯। তুরস্কঃ ৫ লিরা
৬০। গিনি (কনাক্রি)ঃ ১০০০০ ফ্রাংক
৬১। সার্বিয়াঃ ২০ দিনার, ৫০ দিনার (সংগ্রহঃ ১০ অক্টোবর ২০১১)
৬২। তাজিকিস্তানঃ ১ সমনি (সংগ্রহঃ জানুয়ারী, ২০১২)
৬৩। কলম্বিয়াঃ ১০০০ পেসো, ২০০০ পেসো, ৫০০০ পেসো, ১০০০০ পেসো (সংগ্রহঃ ২৬ জানুয়ারী, ২০১২)
৬৪। জাম্বিয়াঃ ১০০০ কোয়াচা (সংগ্রহঃ ২২ জুন, ২০১২)
৬৫। মালি, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, আইভরি কোস্ট, গিনি বিসাউ, নাইজার, সেনেগাল, টোগোঃ ১০০০ পশ্চিম আফ্রিকান CFA ফ্রাংক (সংগ্রহঃ ২১ আগস্ট, ২০১২)
** উল্লিখিত আটটি দেশ Central Bank of West African States ইস্যুকৃত একই মুদ্রা পশ্চিম আফ্রিকান CFA ফ্রাংক ব্যবহার করে
৬৬। গ্যাবন, ক্যামেরুন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, কংগো রিপাবলিক (ব্রাজাভিল), ইকোয়েটোরিয়াল গিনিঃ ৫০০ সেন্ট্রাল আফ্রিকান CFA ফ্রাংক (সংগ্রহঃ ২১ আগস্ট, ২০১২), ১০০০ সিএফএ, ২০০০ সিএফএ
** উল্লিখিত ছয়টি দেশ Bank of Central African States ইস্যুকৃত একই মুদ্রা সেন্ট্রাল আফ্রিকান CFA ফ্রাংক ব্যবহার করে
৬৭। রুয়ান্ডাঃ ২০০০ ফ্রাংক (সংগ্রহঃ ২১ আগস্ট, ২০১২)
৬৮। বুলগেরিয়াঃ ২ লেভ (সংগ্রহঃ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩)
৬৯। জর্ডান : ১ দিনার (সংগ্রহঃ ২৯ অক্টোবর, ২০১৩)
৭০। সুইজারল্যান্ডঃ ১০ ফ্রাংক (সংগ্রহঃ জুলাই, ২০১৮)
৭১। পাপুয়া নিউ গিনিঃ ২ কিনা, ৫ কিনা (সংগ্রহঃ ১৯ অগাস্ট, ২০১৮)
৭২। কিরঘিজস্তানঃ ২০ সোম (সংগ্রহঃ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮)
টাকার পেছনে ছোটাছুটি (কালের কন্ঠে আমার বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের শখের উপর প্রতিবেদন)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৪