বাড়ি থেকে ঢাকা আসলাম মার্চ মাসের ৩১ তারিখ । তিনদিন এর বাসা ওর বাসা ঘুরে অবশেষে একটা মেসে উঠলাম এপ্রিল এর ৩ তারিখ । শুরু হল ঢাকার জীবন । চাকরি নামের সোনার হরিনের পিছে ছোটার প্রানান্তকর চেষ্টার ব্রত নিয়ে অবিরাম ছুটে চলার মানসে নতুন জীবনের শুরু । কিন্তু এই ছুটে চলার জন্য প্রয়োজন টাকা নামের এক বস্তু । সেটা কে দেবে ? বাবা নামের যে ব্যাংক থেকে এতদিন হিসাব ছাড়া টাকা খরচ করেছি তার একাউন্ট থেকে আর কতদিন ব্লাঙ্ক চেকে টাকা উঠাবো ? নিজের বিবেক বলে তো একটা জিনিস আছে ? যদিও জানি এই ব্যাংকের চেক কখনোও ফেরত যাবে না । তারপরও আমার আমিত্ব কে প্রতিষ্ঠা তো করতে হবে । কতদিন আর এভাবে বাবার পরিচয়ে থাকবো ? তাই কোনরকম চলার মত একটা চাকরি নিলাম একটি অন্যরকম পেশায় । আমাদের অঞ্চলে যেটাকে বাকা চোঁখে দেখা হয় । এমনও আছে এই পেশার লোকদের পরিচয় দিতে বা কথা বলতেও দিধা করে । যাইহোক পেশাটার নাম কি সেটা হয়তো অনেকেই বুঝতে পারছেন । এই পেশাটা অপাঙতেও হলেও আমার কাছে এই মুহুর্তে মোটেও অপাঙতেও নয় । আর পেশাটার নাম “গার্মেন্টস কর্মী ’’ । এবার হয়তো আপনারাও নাক কুচকাতে শুরু করেছেন । তবে এই পেশায় আশার পর আমার অভিজ্ঞতার ঝুলিটা দিনদিন অনেক অনেক বেড়ে যাচ্ছে ।
সামনে আমার মাস্টার্স পরিক্ষা । হয়তো এমাসেই ফর্ম ফিলআপ । আমি কেন এ পেশায় আসলাম সেটা ভিন্ন কথা । তবে এখানে অনেকেই কেন এ পেশায় আসে সেটা জানতে পেরে আমি অতিশয় কষ্ট পেয়েছি ।এবং তাদের জীবন যুদ্ধের কাহিনি শুনে অবাক না হয়ে পারিনি । তাই ওদের জীবনের কিছু টুকরো ঘটনার সমাবেসে একটি উপন্যাস লিখা শুরু করেছি ।
আমার অনেক দিনের ইচ্ছা যাদের কে নিয়ে কেউ ভাবে না আমি তাদের জীবন কাহিনি লিখব । অনেক দিন পর আমার সেই স্বপ্ন পুরন হতে যাচ্ছে । সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন এই নিম্নবৃত্ত শ্রেনির মানুষের কথা লিখতে পারি । সব সত্য যেন সবার সম্মুখে প্রকাশ করতে পারি ।