পোষাক নিয়ে এতটাই কথা হচ্ছে ইউটিউবে ফেসবুকে শুধুই সমালোচনা
সামাধানের কোন কি পথ নেই?
হ্যাঁ আছে।।
একটা সমাধান আছে,
আপনি পুরুষ হলে যতটুকু সতর ঢাকা ফরজ সেইটুকুই ঢাকবেন।
আপনি অফিসে চাকরি করলে সেইটকুই ঢেকে অফিসে যাবেন মানে বুঝাতে চাইছি খালি গায়ে আর নাভির উপর থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে থাকে এমন বস্ত্র হলেই চলবে। এদেশে মেয়েদেরকে তো বলা যাবে না তাদেরকে পোষাকের কথা তাহলে তো আমি নারীবাদী।
আসুন আমরা ছেলেরা ছেলেরা আলোচনা করি যেহেতু পুরুষ জাতি আমরা।
আপনি কি পারবেন থ্রি-কোয়াটার বা হাফ প্যান্ট পড়ে খালি গায়ে ক্লাস করতে,অফিসে যেতে?
জানি পারবেন না ভীষন লজ্জা হবে বুঝি।
হ্যাঁ ভাই লজ্জা হওয়ারি কথা।
আমরা পুরুষ লজ্জা মেয়েদের থেকে আমাদের বেশি।
আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না রাস্তা চলার পথে বুক উজার করে পথ চলা কিছু মহিলার কথা মনে পড়ে।
বডিটা কুকরিয়ে নেই তাদের চলার পথ সহজ করে দেই আমরা পুরুষ বলে।
তারা এমন ভাবে পথ চলে যেন রাস্তার পুরো সাইটটা সেই ভদ্র মহিলার।
নিজের শরীর কোথায় কোন পর পুরুষের কোথায় লাগলো সেই খেয়াল তাদের নেই
ভাবতে অবাক লাগে।
আচ্ছা এবার আসি পোষাকের কথায়
এবার বলুন তো কেন আপনার লজ্জা করবে? কেন আপনার ফরজটুকু তো আপনি পালন করছেন এরপরেও কেন লজ্জা করবে? এবার একটু ভাবেন আপনার দাদি নানীর কথা তারা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছে
বাড়ির গেলে তারা কেমনে চলাফেরা করে
পর পুরুষ দেখলে তারা কিভাবে নিজেদের লুকিয়ে রাখে। আমি তখন ছোট গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম কিছুটা মনে আছে এক বৃদ্ধ মহিলা দেখছিলাম রাস্তা হাটছিলো পুরুষ মানুষ দেখলে রাস্তার এক কোনায় কিভাবে দারিয়ে থাকে।বলবেন যে মুর্খ মানুষ তাই হয়তো বুক ভুলিয়ে রাস্তা দখল করে চলতে পারে না।আমার নিজের কথা একটু বলি ঢাকা শহরে বা অন্য কোথাও যদি বোরকা পড়া কোন মহিলাকে দেখি ভিতর থেকে কেমন জানি একটা দোআ চলে আসে, অপরদিকে কোন পোষাকের স্বাধীনতাকামী কোন মেয়েকে দেখলে একপ্রকার ঘৃণা চলে আসে যদিও ঘৃণা করা ঠিক না তাদেরকে হেদায়েত এর জন্য দোআ করা উচিত।
কেন এত ধর্ষন?
কে বা কারা এইসব নির্মম কাজগুলো করে?
ধর্ষন এর সাথে হত্যাও ফ্রী কি মানুষিকতা আমাদের। পুরুষ হিসেবে লজ্জিত।
আমার কোন অবদান নেই এই জাতির জন্য। সামান্য এই কয়টা লাইন যিনি বা যানারা পরবেন উনারা হয়তো আমাকে গালি দিবেন হয়তো ভুল ধরিয়ে দিবেন।
কারন আমি লেখালেখিতে নতুন ঠিকভাবে গুছিয়ে বুঝিয়ে উদাহারন সহ বুঝানোর ক্ষমতা নেই। কি মনে পরছে আপনাদের কে এই সব কর্মকান্ডগুলো করে থাকে?
অফিসগামী,স্কুল-কলেজগামী কেউ নিশ্চয় এসব করে থাকে না। কারণ যারা অফিসে কাজ করে তারা অনেকেই বিবাহিত।
স্কুল কলেজ পড়ুয়া উঠতি বয়সে গার্লফ্রেন্ড আছে, অনেকেই সময় পার করে দেয় তাদের সাথে। আবার বলবেন সবার তো নেই। হ্যাঁ সবার নেই। সবাই তো খারাপ না, ভালো মানুষও আছে।।
বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কথা না হয় নায়ি বললাম। কথা বুঝি অনেক বাড়াচ্ছি চাচ্ছি একটু সংক্ষেপে বলার ধর্ষন গুলো করে কারা তারা হলো আবাল মার্কা পরুষ তাদের মানুষিকতা এতটাই বাজে কল্পনা করা যায় না। ধর্ষনগুলো বেশি ভাগ হয় গ্রামে বা বিভিন্ন থানা বা জেলা ভিত্তিক শহরগুলোতে। স্থানীয়র প্রভাবশালী মনোভাব অন্যায়কে ন্যায় মনে করা তাদের ব্যাপার না। হয়তো প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পাওয়ায়, যেহেতু মেয়েরা একটু আবেদনমী, পটাতে পারলে তো হয়েই গেলো আর না পটাতে পারলে ধর্ষন যেহেতু পরিচিত কেউ ধর্ষন করেছে তাই হয়তো ধামাচাপা দেয়ার জন্য হত্যা করা হয় নির্মম ভাবে।।আবার যাদের মানুষিকতা আরেকরকম তারা বিভিন্ন পতিতালয়ে যেয়ে থাকেন সামান্য কিছু টাকার জন্য।
ইচ্ছা যেহেতু একটাই সঙ্গম করা সেটা কোন এক ভাবে হলেই হলো।
ইচ্ছা যেহেতু একটাই সঙ্গম করা সেটা কোন এক ভাবে হলেই হলো। জোরপূর্বক হলে ধর্ষক হয়, প্রেমের জালে ফেলিয়ে হলে হয় প্রেমিক পুরুষ,আর সামান্য কিছু টাকা ব্যায় করে কোন পতিতার কাছে গেলে সে হয় মাগিবাজ। জোরপূর্বক ধর্ষন করলে তো স্বাধীনতাকে অপমান করা হয়। আমি কিন্তু সবটার বিপক্ষে।এখনকার যুগের নারীরা যেহেতু শালীন পোষাকের ব্যাপারে ভুল ধারনা লাভ করেছে। তারা সেটাই পরিধান করুক আর আমরা আগে যেটা করতাম তার বিপরীত টা করব।
হ্যাঁ আমি রাগ হয়েই কথাটা বললাম
ধর্ষন আমার মনে হয় না যে কমে যাবে।
কেউ না কেউ কোন না কোন ভাবে তাদের শারীরিক চাহিদা মেটাবেই।
তবে সরকারকর্তৃক কঠিন আইন প্রনয়ন করে তার সঠিক বাস্তবায়ন করলে কিছুটা ফল হতে পারে।
আর নারীকে যেটা চায় সেটা হোক।
অনেকেই অনেক উদাহারন দিয়েছেন ওসব আর উল্লেখ না করি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭