সেনাবাহিনী কখনও ক্ষমতা নিতে যাবে না। বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা অফিসার হারিয়ে তাদের ভালোই শিক্ষা হয়েছে। নতুন করে কাওকে হারাতে তারা রাজি না। ভারতীয় চাপে তারা কোন ধরনের ঝুকি নিতে রাজি নয়। এদিকে ভারতীয় দের সুবিধা আওয়ামীলীগ পুরোপুরিই পাচ্ছে। অন্য কোন শক্তি আমেরিকা, ইংল্যান্ড কখনোই নিজের খেয়ে বাংলাদেশের হয়ে কাজ করে ভারতের সাথে ঝামেলা করতে যাবে না। মুখে যেটুকু বলার সেটুকুই। এখন আওয়ামীলীগ যে কোন উপায়ে ৫ জানুয়ারী নির্বাচন করবে এবং তার পর সরকার গঠন করবে এবং নিজেদের বৈধ সরকার বলে ঘোষনা করবে। তারপর যে এই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে সেই জেলে যাবে। বিএনপি এখনই আন্দোলন জমাতে পারছে না। কোন সন্দেহ নাই ৫ তারিখের পরে তারা আরও পারবে না। আন্দোলন করতে গেলে খালেদা এখন আছেন গৃহবন্দী তখন হবেন কারাগার বন্দী। বিএনপির একটা অংশ চায় না জামাতের অথবা যুদ্ধপরাধীদের সাথে বিএনপির কোন সখ্য। কিন্তু তারা সেটি করছে। নতুন প্রজন্মও ভীত যে বি এন পি ক্ষমতায় আসলে যুধপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাবে। সুতরাং তারা এখানেও নীরব। এমন অবস্থায় বিএনপির যারা বর্শীয়ান নেতা ছিল তারা থিফ অফ বাংলাদেশ তারেক জিয়ার পাল্লায় পরে দলছাড়া হয়ে ঘুরছেন। দলে নির্ভর করার মত নেতার খুব অভাব সাথে নীতির অভাব তো আছেই। আমি খুব ভালোমতোই বিএনপি নামক দলটির আরও বেশী পতন দেখতে পাচ্ছি। এটা নিয়ে আমি অবশ্য চিন্তিত না খুব একটা যতোটা চিন্তিত অন্য একটা ব্যাপার নিয়ে।
ইন্ডিয়া গতবার যা বিনিয়োগ করেছিল আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় আনতে তার চাইতে এবারের বিনিয়োগ টা আরও বেশী। গতবার ইন্ডিয়া কে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার যা দিয়েছিল তা অনেকটা নিজেদের উজার করে দেয়ার মতোই। ক্ষেত্র বিশেষে সেটি ছিল নিজেদের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ( যেমন তিতাস নদীতে বাঁধ, ইন্ডিয়াতে ইন্টারনেট রপ্তানী, টিপাইমুখ বাধে অযাচিত সমর্থন ইত্যাদি)। বিনিময়ে তারা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই দেয় নি। ইন্ডিয়া তাদের বিনিয়োগ সুদে আসলে পুরোটাই উঠিয়ে নিয়েছে। এবার বিনিয়োগ টা এতোই বেশী যে আন্তর্যাতিক সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এখন তাদেরকে আমাদের সরকার নিশ্চয় কোন না কোন ভাবে পুষিয়ে দেবে। কিন্তু এতে আমার ভয় এখানেই যে তাঁবেদারি করতে যেয়ে না আবার আমাদের দেশ টা নতুন কোন সিকিমে রূপান্তরিত হয়। আর হাসিনা হয় আর একটা লেন্দুপ দরজি??????