পশ্চাদপদ জেলা হিসেবে পটুয়াখালী আর পিছিয়ে থাকবে না। কুয়াকাটার অদূরে কলাপাড়ার টিয়াখালীতে আন্ধারমানিক নদী মোহনায় বাংলাদেশের ৩য় সমুদ্র বন্দর 'পায়রা সমুদ্র বন্দর' নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। চট্রগ্রাম কিংবা মংলা বন্দরের চেয়ে নদী মোহনায় গভীরতা বেশি থাকায় সরাসরি মাদার ভেসেল ভিড়তে পারবে এখানে। বেপজা কর্তৃপক্ষ এখানে একটি ইপিজেড নির্মাণ করার সম্ভব্যতা যাচাই করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের চীন সফরে আমাদের বড় অর্জন চীনের সহযোগিতায় পটুয়াখালীতে কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির এমওইউ স্বাক্ষর। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান North West Power Generation Company Limited (NWPGCL) ও চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান China National Machinery Import Export Corporation (CMC) এর যৌথ উদ্যোগে ২ বিলিয়ন ডলারে পায়রা সমুদ্র বন্দরের সন্নিকটে নির্মিত হবে ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার দূরদর্শি উদ্যেগে বঞ্চিত জনপদের মানুষ সুদিনের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে।
গরীবের সুন্দরী বউয়ের মত আমাদের একটি অনন্য সম্পদ আছে। সারা পৃথিবী জুড়ে যা পাওয়া যাবে না তেমনি এক অমুল্য সম্পদ আমাদের কুয়াকাটা। ভূমিদস্যু আর লুটেরা রাজনীতিবিদদের লোভাতুর দৃষ্টি পড়েছে গরীবের ধনের উপর। এখনও বেশ মলিন তার রূপ। কয়লাভিক্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র যেন গরীবের গোদের উপর বিষফোঁড়া না হয় সেদিকটা যেন সবার আগে দেখা হয়। কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলে পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। বায়ু, পানি ও জমিন দূষিত হবার সম্ভবনা বেশি থাকে। আমাদের দক্ষিনের এই জনপদে আমরা প্রায় সবাই কৃষি ও মৎস্যজীবি। পরিবেশের সামন্য বিপর্যয় শুধু কুয়াকাটাকেই নয় কৃষিজীবি সাধারণ মানুষগুলোকেও ঠেলে দিতে পারে ধ্বংসের মুখে। রামপালের মত আমাদের নিয়েও বাম-ডানরা যেন কোন ইস্যু তৈরি করতে পারে তা আমরা কোন অবস্থাতেই চাইনা ।