যথাযথ মর্যাদায় আমরা উদযাপন করলাম বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ও বাবা দিবস।
১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসে ধরা পড়লো শিশু সাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া। বিশ্বে শিশু নির্যাতনের এমন বিভৎস, ভয়াবহ রূপ আর কোথায় ও ধরা পড়েছে বলে শুনিনি। শিশু সাহিত্যিকের ভড়ং ধরে এত বিকৃত, কুৎসিত কর্মে লিপ্ত মানুষটির যথাযথ শাস্তির জন্য এখন পর্যন্ত কোন শিশু সংগঠন, এনজিও কিংবা সুশীল বুদ্ধিজীবিদের আওয়াজ শোনা গেল না।
১৫ জুন বিশ্বব্যাপি উদযাপিত হলো বাবা দিবস। এই দিন পৃথিবীর সবচেয়ে হতভাগ্য পিতা মোহম্মদ ইয়াসিনকে দেখলাম টিভির পর্দায়। মিরপুরের কালসিতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হলো ইয়াসিেনর পরিবারের নয় সদস্যকে।তার স্ত্রী বেবী (৪০), তিন কন্যা সাহানী (২৩), আফসানা (২০), রোকসানা ওরফে বুচি (১৩), সাহানার পুত্র মারুফ, যমজ দুই ছেলে লালু-ভুলু (১০) ও বড় ছেলে আশিক ও তার স্ত্রী শিখা (১৯)। এতবড় হত্যাকান্ডের পরও নির্বিকার সবাই। দিনভর সংঘর্ষ চললো অথচ সেথায় কোন কর্তাব্যক্তিকে দেখলাম না। মন্ত্রী, এমপি এমনকি পুলিশের কোন বড় কর্তাও এলেন না কালসীতে। মিডিয়ায় শোকবার্তাও দেখলাম না কারো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী অনেককই দেখলাম হত্যাকান্ডের সাথে ৭১-কে টেনে আনতে। এই বর্বরতা ফেনী কিংবা নারায়ণগঞ্জ হত্যাকান্ডের তুলনায় কম বিভৎস নয়; কিন্তু ইয়াসিনদের পাশে দাড়াবার জন্য কিংবা মোল্লাদের মুখোস উম্মোচন করতে তথা দোষীদের শাস্তির জন্য কেউ কী নেই দেশে আওয়াজ দেবার? আমরা আসলে ভাবছি দেখতে ওরা মানুষের মত কিন্তু ওরা আটকে পড়া পাকিস্তানী, আমরা ওদের জন্য কাঁদবো কেন?