এসএসসি পরীক্ষায় আসা একটি উদ্দিপক - "জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার" নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে । ঝড় ওঠার ই কথা । এসএসসি এর মত এত বড় জাতীয় একটা মঞ্চে ডাক্তারদের সম্পর্কে এমন নেতিবাচিক কথা লেখা উচিত হয় নি । এতে মানুষের ভুল ধারণা জন্মায় ডাক্তারদের প্রতি ।
আচ্ছা ! জাহিদ সাহেবের পেশা টা পরিবর্তন করে ডাক্তার না লিখে যদি “ইঞ্জিনিয়ার” বা “স্কুল কলেজের প্রাইভেটখোর শিক্ষক” দিয়ে কিংবা কোন “সরকারি কর্মকর্তা” বা “রাজনীতিবিদ” অথবা “পুলিশ” দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হত তাহলে কি ফেসবুকে এত প্রতিবাদ হত ?
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে ।
আর প্রতিবাদ যদি না হত , তাহলে কি ধরে নেব এসব পেশার সামাজিক মূল্য কম সে জন্য প্রতিবাদ হয় নি ( বা হবে না) ?
আমার আবার ও খুব খুব জানতে ইচ্ছে করে ।
আমরা আসলে ধরেই নিই সরকারি কর্মকর্তা ঘুষ খাবে , রাজনীতিবিদ মানেই দুর্নীতিবাজ হবে আর পুলিশ মানেই চাদাবাজি করবে । “সৎ” কথাটি এসব পেশার আগে কেন জানি শোভা পায় না – এটাই আমাদের মনে গেথে গিয়েছে ।
কাগজ পত্রে ঘাপলা থাকায় এক ট্রাফিক পুলিশ একবার এক ডাক্তারের গাড়ি আটকালেন , তাই দেখে ভেতরে থাকা ডাক্তার মনে মনে বলতে লাগলেন – “শালা টাকা খাওয়ার ধান্দা খালি ।“ কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ কোন টাকা খান নি । শুধু দায়িত্ব পালন করেছিলেন । যে ডাক্তার নিজের পেশা নিয়ে এত কন্সার্ন , সেই ডাক্তার ই অন্য পেশার সৎ অফিসার কে গালি দিচ্ছেন শুধু মনে গেথে যাওয়া ধারণার কারণে । এই কাজ টা আমরা হরহামেশাই করি ।
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি , যে পেশার কথাই লিখি না কেন , ওভাবে লিখলে সব পেশাকেই ছোট করা হবে । এ জন্যই উদ্দীপকে নাম ব্যবহার করা হয়েছে । পেশা কে ছোট করা হয়ত উদ্দেশ্য ছিল না । জোক্স অ্যাপার্ট – বাস্তবেই হয়ত জাহিদ সাহেব নামে ডাক্তার আছেন যিনি চরম অর্থলোভী এবং প্রশ্নকর্তার সাথে পূর্ব শত্রুতা থাকায় তিনি ভরা সমাজে জাহিদ সাহেবের গাড় মারার চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু তীরটা গিয়ে লাগল পুরো ডাক্তার সমাজের গায়ে ।
এজন্য স্কুলে আমাদের ব্যকরণ পড়ানো হত । জাতি বাচক বিশেষ্য (Common Noun) আর নাম বাচক বিশেষ্য (Proper Noun) এর পার্থক্য কি আপনাদের মনে আছে নাকি পড়ার চাপে সব ভুলে গিয়েছেন ? সংজ্ঞা টা ক্লাস নাইন এর বাংলা ব্যকরণ বই থেকে দেখে নিবেন অথবা গুগলে সার্চ দিবেন । আমি শুধু কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি । “ল্যাপটপ” হচ্ছে জাতি বাচক বিশেষ্য আর “ম্যাকবুক” হচ্ছে এর নাম বাচক বিশেষ্য । “গায়ক” হচ্ছে জাতিবাচক বিশেষ্য আর “আইয়ুব বাচ্চু” হচ্ছে নাম বাচক বিশেষ্য । “ডাক্তার” হচ্ছে জাতিবাচক বিশেষ্য আর “জাহিদ সাহেব” হচ্ছে নাম বাচক বিশেষ্য । “নাম বাচক” বিশেষ্যের দায় তাই “জাতি বাচক” বিশেষ্য নিবে না ।
তাহলে কি আমরা বোঝানোর খাতিরে বা গল্প উপন্যাসে অথবা সিনেমায় খারাপ পেশার কোন লোক দেখাতে পারব না ? সব কিছু পজেটিভ ভাবে লিখতে হবে ? আমরা অবশ্যই পারব , এবং যিনি খারাপ তাকে খারাপ ভাবেই দেখাতে হবে । শুধু পেশা , জাতি বা ধর্মগত মিলের কারণে খারাপ মানুষটাকে নিজেদের ভেবে তার পক্ষে সাফাই গাওয়া কোন কাজের কথা নয় । একজন খারাপ ডাক্তার কে খারাপ বলা হলে , শুধু পেশা মিলে যাওয়ায় আমরা সেই খারাপ কে পুরো পেশার উপর জেঁচে টেনে নিয়ে আনব না । কখনোই আনা উচিত নয় ।
এবার আসি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটা লাইনের কাছে – “আপনি পশু , আমি কসাই । আপনি মানুষ, আমি ডাক্তার ।“
আমার মা বাথরুম থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন শুধু চিকিৎসার জন্য । আমার মা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছোট বেলা থেকেই । বা পায়ে একটু খুড়িয়ে হাটতে হয় । চার ঘন্টা অপেক্ষার পর ডাক্তার তাকে দেখলেন ২ মিনিটের জন্য । তার এক্স-রে করা হল । তারপর বলা হল আপনার পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে । ব্যান্ডিজ করতে হবে , ক্র্যাচ নিতে হবে , এক মাসের ঔষধ , আর দেড় মাস বেড রেস্ট । এক সপ্তাহ পর আবার দেখিয়ে যেতে বললেন সেই ডাক্তার । আম্মা এক সপ্তাহ পর ঠিক ই ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন , তবে এবার বরিশাল সদর থেকে আসা অন্য আরেকজনের কাছে । তিনি এক্স-রে দেখে জানালেন কোন ফ্র্যাকচার নেই , শুধু মাংসপেশীতে ব্যাথা পেয়েছেন আমার মা । মাংস পেশীর ব্যাথায় পারমানেন্ট ব্যান্ডেজ কেন করা সেটা দেখে বরিশালের ডাক্তার খুব অবাক ই হলেন । ব্যান্ডিজ কেন করলেন সেই প্রশ্নের উত্তর দেবার কোন জবাব আমার মায়ের কাছে ছিল না ।
আমি বলি ? কেন ছোট্ট একটা বিষয় কে টেনে এত বড় করেছিলেন সেই লোভী ডাক্তার ? - বেশি টাকা খাওয়ার জন্য । ব্যান্ডিজ আর ক্র্যাচ বাবদ এক্সট্রা ছয় হাজার নিয়েছিলেন যেখানে হয়ত দু হাজারে কাজ হয়ে যেত । পটুয়াখালি সদরের এমন সিনিয়র একজন ডাক্তার , তার তো রোগীর অভাব নেই । তাহলে অভাব কি টাকার নাকি জ্ঞানের ? তাহলে কি ধরে নেব সিনিয়র হলেও তার জ্ঞান তার বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নি ? নাকি বাড়ে নি তার নৈতিকতা ? এ তো গেল ২০১৬ এর ডিসেম্বর এর ঘটনা ।
২০১৫ এর জানুয়ারি তে আমার মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠে মাথা ঘুরে পড়ে যান । জ্ঞান ফিরতে বেশ কিছুক্ষন সময় লেগে যায় । ভয়ে আতংকে আমি আর আমার বাবা কি করব বুঝতে পারছিলাম না । আমি কিন্তু ঢাকায় । সকাল ৬ টা বাজতেই ডাক্তারের খোজে বেরিয়ে পড়ে আমার বাবা । আর আমি ফোনে আছি বাবার সাথে । একজন পরিচিত ডাক্তার কে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসলাম । খুব ভাল মানুষ । তিনি প্রেসার মেপে দেখলেন । সারাজীবনের লো প্রেসারের রোগীর হাই প্রেসার অ্যাটাক । এরপর ঘুমের একটা ঔষধ দিয়ে বাবাকে বললেন বিকেলে ভাল একজন ডাক্তার দেখাতে । বিকেলে আম্মুকে নিয়ে যাওয়া হল পটুয়াখালীর সেরা মেডিসিনের ডাক্তারের কাছে । চেকাপ আর ৬-৭ টা টেস্টের পর ডাক্তার সাহেব বললেন হার্টের সমস্যা । একগাদা ঔষধ লিখে দিলেন আর বললেন পনের দিন পরে দেখা করতে । ঔষধ শুরু হবার পরে আম্মার উপসর্গ আরো বাড়তে লাগল । নতুন উপসর্গ শুরু হল । অফিসে ঠিক মত কাজ করতে পারতেন না । সারাদিন হাত পা ঝি ঝি করত আর শরীর ফুলে যেতে লাগল । বরিশাল থেকে আসা আরেক ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিলেন । তিনি আবার ঔষধ চেইঞ্জ করে দিলেন । এভাবে কিছু দিন গেল কিন্তু শরীর ফোলার বিষয়টা আর কমল না । আমাদের ধারণা হতে লাগল কিডনির কোন সমস্যা হল কি না! জুন জুলাই মাসে ব্যাঙ্কে কাজের চাপ বেশি থাকায় আম্মাকে তখন ও ঢাকায় এনে দেখানোর সুযোগ হয় নি । এরপর এক রকম জোর করে আম্মাকে ঢাকায় নিয়ে এসে ল্যাব-এইডে দেখালাম একজন নেফ্রলজিস্ট কে । রিকমেন্ড করেছিলেন আমাদের ফ্যামিলির এক ডাক্তার ভাইয়া । ডাক্তার কিছু টেস্ট করালেন । আর পরপর দু দিন দেখলেন । টেস্টের রেজাল্টের পর আগের দু ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখে ডাক্তার মাথায় হাত দিলেন । আর কিছু দিন সেই আগের ডাক্তারদের ওষুধ চালিয়ে গেলে পারমানেন্টলি আম্মার কিডনি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারত । মাত্র ৫০০ টাকার এক সপ্তাহের ঔষধ আর দুইটা ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার আম্মা সম্পুর্ন সুস্থ । ফুলে যাওয়া শরীর আবার আগের মর নরমাল হয়ে গেল । আমরা হাফ ছেড়ে বাচলাম । আল্লাহর কাছে দুয়া করলাম ডাক্তারের জন্য । কারণ আমার মা ছাড়া আমার ও আমার বাবার বেঁচে থাকার আর কোন অবলম্বন নেই । আমার মা ছাড়া আমরা দুজনেই অসহায় ।
এবার আমার প্রশ্নের উত্তর আপনারা দিন “আমার মা তো পশু ও ছিল না , ডাক্তারদের সাথে কোন শত্রুতা ও ছিল না , তাহলে কেন আমার মা কসাই এর আচরণ পেল ? তাহলে কেন আমার মা রোগী হবার পর ও ডাক্তারের কাছে আকাংক্ষিত সেবা পেল না ?
আমি ভুল চিকিৎসার শিকার একজন মায়ের সন্তান বলছি , আপনি তখন ডাক্তার না কসাই ???
আমি নিজে যে ভুল চিকিৎসার শিকার সে গল্প টা আজ না ই বলি । আমার বিশ্বাস এমন অসংখ্য ভুল চিকিৎসার গল্প প্রত্যেক ঘরে ঘরে ই আছে ।
বিশ্বাস এমন এক জিনিশ যা একবার চলে গেলে আর সম্পুর্ণভাবে কখনোই ফিরিয়ে আনা যায় না । ডাক্তারি পেশা কে আমি সর্বোচ্চ সম্মানের চেষ্টা করি । ছাত্রাবস্থায় যে পরিশ্রম টা তাদের করতে হয় সেটা নিজের কাছের ডাক্তার বন্ধু না থাকলে কেউ বুঝতে পারবেন না । শুধু এম.বি.বি.এস. ডিগ্রীর জন্য যে কষ্ট টা করতে হয় তা বোধ করি আমি সাতবার জন্মালেও করতে পারতাম না। তবে sorry to say , That is not enough. তাই ডাক্তারদের উপর থেকে আমার বিশ্বাস উঠে যায় নি ,আমার বিশ্বাস উঠে গিয়েছে বাংলাদেশী ডাক্তারদের উপর থেকে । আমি তাই চেষ্টা করি যত কম ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় , আর গেলেও ভাইয়া বা ঘনিষ্ঠ ডাক্তার বন্ধুদের রিকমেন্ডেশন নিয়ে ভাল হসপিটালে দেশের বাইরে থেকে প্রাক্টিস করে আসা ডাক্তার কে দেখানোর । ভাল চিকিৎসা সেবার জন্য অর্থ খরচ করতেই হবে , ভুল চিকিৎসায় জীবন ও অর্থ দুই ই যাওয়ার চেয়ে একবারে ভাল ডাক্তার দেখানোই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয় ?
আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা অল্পতেই জাজমেন্টাল হয়ে যাই । আমিও তাই , আপনারাও তাই । ডাক্তারদের কসাই বললে আমার নিজের খুব খারাপ লাগে । একজন ভাল ডাক্তার ডিগ্রীর পর ডিগ্রী নিয়ে , প্র্যাকটিস করতে করতে চুল পাকিয়ে ফেলেন , বউ বাচ্চাকে সময় পর্যন্ত দিতে পারেন না । তিনি অবশ্যই ৫ মিনিটের জন্য ১২০০ টাকা ভিজিট দাবি করতেই পারেন । আর একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার ৫ মিনিট দেখলেই বলে দিতে পারেন রোগীর কি হয়েছে ।
তবে আমার আফসোস শুধু এক জায়গায় , টাকা আপনি বেশি নিন তাতে কোন সমস্যা নেই, রোগ না বুঝলে রোগীকে রেফার করুন , কিন্তু কেন এই ভুল চিকিৎসা ? আর কেন এই ভুল ওষুধ ?
দয়া করে এটা করবেন না । আপনার জন্য হয়ত সে একজন রোগী , আমার জন্য সে আমার মা , বোন , বাবা অথবা সন্তান ।
আর একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার কে আমি কখনোই কসাই ডাকতে শুনি নি ।
এম.বি.বি.এস ডিগ্রি পাওয়া মানেই ডাক্তার হয়ে যাওয়া নয় । ডাক্তার হতে চাই অধ্যবসায় আর প্র্যাক্টিস । আর ডাক্তারি লাইনে যে খারাপ ডাক্তার থাকতে পারে সেটা আপনারা কেন মেনে নিতে পারেন না ? ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে যদি কম সিজির ইঞ্জিনিয়ার থাকতে পারে , তাহলে কেন খারাপ ডাক্তার থাকতে পারবে না ? এখানে খারাপ বলতে বুঝাতে চেয়েছি যে ডাক্তারের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা কম ।
প্রথম সারির কিছু সরকারী এবং বেসরকারী মেডিকেল কলেজ থেকে মেধাবী কিছু ডাক্তার প্রতি বছর ই বের হন । তবে বাংলাদেশে ডাক্তারির মান সামগ্রিক ভাবে ভাল না । তাই তো অ্যামেরিকা , অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপের অন্যান্য দেশে গেলে আবারো নতুন করে সে দেশে ডাক্তারি পড়তে হয় । কারণ লাইফ নিয়ে যেখানে কারবার সেখানে সুক্ষ ভুল ও কোন এক্সকিউজ হতে পারে না । হয়ত এ কারণেই ভারত গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসে অনেকে । যাদের আরো বেশি টাকা আছে তারা সিংগাপুর অ্যামেরিকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসেন ।
আর সবাই মহৎ ডাক্তার হতে আসেও না । কেউ কেউ নিজের ছেলেকে ডাক্তার হিসেবে দেখতে চায় সোশ্যাল স্টাটাসের জন্য , কেউ চায় মেডিকেল লাইনে ইনভেস্ট করে আরো টাকা কামানোর জন্য । ছোটবেলার “এইম ইন লাইফ ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষের সেবা করব” – এমন ডাক্তার হাতে গোনা ।
আর রোগী মারা গেলে ডাক্তার পেটানো টা খুব ই অশোভন এবং ন্যাক্কার জনক কাজ।
তবে মৃত রোগী নিয়েও যেসব ক্লিনিক ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার সাথে সাথে কিছু উত্তম মধ্যমের ও ব্যবস্থা করা উচিত।
আমরা জনগনেরাও মাঝে মাঝে ভুলে যাই , মাইর টা দিলে ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের ই দেওয়া উচিত যাদের চাপে ডাক্তার রা ভুল পদক্ষেপ নিতে মাঝে মাঝে বাধ্য হয় ।
ডাক্তার ভাইয়েরা , যাদের কারণে আপনাদের কসাই ডাক শুনতে হয় , অপমান সহ্য করতে হয় তাদের নামের কিন্তু আপনারা চাইলেই তালিকা করে ফেলতে পারেন । এই উদ্যোগ টা আপনাদের ভেতর থেকে আসতে হবে । তালিকা করে ছড়িয়ে দিন , আইনি ব্যবস্থা নিতে জনগনকে সহায়তা করুন । ভুল চিকিৎসা কেউ করলে ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করে দিন । তাহলে দেখবেন ডাক্তারির মত এমন মহৎ পেশার দিকে আর কেউ কোন দিন আঙ্গুল তুলবে না ।
অনেক কিছু লিখে ফেলেছি , তবে অনুরোধ থাকবে ডাক্তার হিসেবে নয় – একজন মানুষ হিসেবে লেখাটা পড়বেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন ।
[ বিদ্রঃ সেইদিনের সেই এসএসসি প্রশ্নপত্রে বাধন সাহেব নামের এক ভাল ডাক্তারের কথাও বলা ছিল । আমরা চাই জাহিদ সাহেব এর পতন হোক এবং বাধন সাহেবদের উত্থান । মানবতার জয় হোক ]
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪২