somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামহয়্যারইন ব্লগ স্মৃতিচারণ ২০০৮ : মোবাইল ফোনে ‘বাংলা’র জন্য আমাদের যতো আকুতি

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এখন আমরা প্রতিদিন আমাদের এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে বাংলায় লেখা পড়ছি অথবা বাংলায় লেখা লিখছি। …. কিন্তু আজকের তরুণ প্রজন্মের কেউ কি কল্পনাও করতে পারবেন …. ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮ সালের সময়কালে মোবাইল ফোনে ‘বাংলা পড়া অথবা লেখা’ কী ভীষণ এক দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিলো ? … কী ভীষণ আকুলতায় আমরা প্রতিনিয়ত খুঁজে বেড়াতাম সেইসব মোবাইল ফোন, যাতে একটু ভালোভাবে বাংলা অক্ষরের কোন লেখা দেখা যাবে !! সেসময়কার মোবাইল ফোনগুলোতে বাংলা ফন্টের সাপোর্ট না থাকায় সেগুলো দিয়ে বাংলায় লেখা কোন শব্দ পড়া অথবা বাংলা অক্ষরের কোন লেখা মোবাইলের কী-বোর্ড দিয়ে লেখা -কঠিন স্বপ্নের মতো এক দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিলো !.. কেউ যদি এমন একটিও মডেলের মোবাইল খুঁজে পেতো, যাতে “সামহয়্যারইন ব্লগ”-এর মতো সেসময়কার গুটিকয়েক বাংলা ওয়েবসাইট-এর লেখা দেখা যায় অথবা পড়া যায় (এন্ড্রয়েড ডিভাইসে যেটা এখন ডালভাত), তবে সে নিজেকে ধন্য আর গর্বিত মনে করতো ! আর মোবাইলের কী বোর্ড দিয়ে বাংলা লিখতে পারা ? সেটি ছিলো আরও দুঃসাধ্য এক স্বপ্নাতীত ব্যাপার !

আজকের প্রেক্ষাপটে আমাদের কারও কি মনে আছে, প্রথম কোন কোম্পানীর মোবাইল ফোনে ‘ইউনিকোড বাংলা ফন্ট’ যুক্ত করায় তা দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো আমরা বাংলা ওয়েবসাইট দেখেছিলাম সেই আমলের ছোট্ট স্ক্রীণের নোকিয়া মোবাইল ফোনে ? … ‘এবং অবশেষে মোবাইল ফোনে কয়েকটি বাংলা ওয়েবসাইটের বাংলা লেখা দেখা যাচ্ছে’, -এই বিষয়টিকে এক পরম বিস্ময়কর আনন্দের সংবাদ হিসাবে ঘোষণা করে রীতিমতো দীর্ঘ একটি নিবন্ধ লেখা হয়েছিলো সেসময়কার একমাত্র বাংলা লেখালেখির প্ল্যাটফর্ম- সামহয়্যারইন ব্লগে, যার শিরোনাম ছিলো- রাস্তার জ্যামে আটকে পড়ে মোবাইল ফোনে পড়তে থাকুন সামহয়্যারইন ব্লগ .. !

কেউ কি জানে- কবে, কখন, কোথায়, কিভাবে প্রথমবারের মতো কোনো মোবাইল ফোনে ‘সার্থকভাবে বাংলা লেখা লিখে’ তা সঠিকভাবে সাবমিট/ সেন্ড করা হয়েছিলো বিশ্বের প্রধান বাংলা কমিউনিটি ব্লগ “সামহয়্যারইন ব্লগ”-এ ?? আর সেটি সম্পন্ন হয়েছিলো “সামহয়্যারইন ব্লগ”-এর একজন অতি সাধারণ ‘বাংলা বিষয়ে কৌতুহলী’ ব্লগারের হাতেই ?

এসমস্ত কথাগুলো বা এইসব স্মৃতিগুলোর-ই কিছু কিছু আভাস মিলবে আমার ২০০৮ সালের একটি লেখায়। লেখাটি আমি “সামহয়্যারইন ব্লগ”-এ পোস্ট করেছিলাম ২০০৮ সালের ২৭ শে এপ্রিল। বলা বাহুল্য, মোবাইল ফোনের জগতে তখনো এন্ড্রয়েড ফোন-এর পদচারণা শুরু হয়নি ….। সেই জগতে তখনো ‘নোকিয়া’র একচ্ছত্র আধিপত্য ! নোকিয়ার কিছু কিছু ‘সিম্বিয়ান অপারেটিং সিস্টেম’-এর ফোনে তখন সবেমাত্র ‘বাংলা ইউনিকোড’ ফন্ট যুক্ত করা শুরু হয়েছে।

উল্লেখিত ফোনগুলো দিয়ে তখন কেউ কেউ শুধু বাংলা ওয়েবসাইট দেখতে বা পড়তে পারতো … ! কিন্তু সেইসব মোবাইলের Writing Mode-অপশনে তখনো বাংলায় কোন লেখা লিখার অপশন যুক্ত করা হয়নি ...। তাই সেইসব মোবাইল দিয়ে কিভাবে বাংলায় কোনকিছু লেখা যাবে, সে বিষয়ে তখনো কেউ কিছু জানেনা … কিংবা আরও স্পষ্ট করে বললে হয়তো বলতে হয়- মোবাইল ফোন দিয়ে বাংলা লেখা লিখে তা’ ওয়েবে প্রেরণের কোন চেষ্টাই হয়তো তখনো কেউ করেনি …. এমন একটা সময় যাচ্ছিলো তখন !!

আর হ্যাঁ, সেসময়েই পোস্ট করা হয়েছিলো নীচে দেওয়া লিংকের এই লেখাটি … যাতে অন্তর্ভূক্ত হয়ে আছে – মোবাইল ফোনে বাংলা ব্যবহারের জন্য সেসময়ের নানা পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও আকুতি এবং পরিশেষে মোবাইল ফোনে ‘সার্থকভাবে বাংলা লেখা লিখে’ তা প্রথমবারের মতো বিশ্বের প্রধান বাংলা কমিউনিটি ব্লগ “সামহয়্যারইন ব্লগ”-এ সঠিকভাবে সাবমিট/ সেন্ড করতে পারার অবিস্মরণীয় ‘পুলকময় সার্থকতা’র বিস্ময়কর এক আনন্দ অনুভূতির গল্প !!

কথা না বাড়িয়ে “সামহয়্যারইন ব্লগ”-এর আজকের প্রজন্মের নতুন ব্লগারদেরকে নিয়ে যেতে চাই সেই ২০০৮ সালের স্মৃতিময় নিবন্ধে ! বলা বাহুল্য, সেই দীর্ঘ নিবন্ধের ‘প্রথম অংশ’ (বিভিন্ন মডেলের নোকিয়া ফোনে বাংলা দেখা নিয়ে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা ) আজকের এনড্রয়েড যুগের পাঠকদের কাছে নিতান্তই ‘অপ্রয়োজনীয় ও বিরক্তিকর’ মনে হতেই পারে, তবে মোবাইল ফোনে বাংলা ভাষা দেখা ও লেখার জন্য আমাদের প্রত্যেকের সেসময়কার আকুতি, অন্তহীণ প্রচেষ্টা ও অনুভূতিটুকু উপলব্ধির জন্য এবং সর্বোপরি মোবাইল ফোন থেকে সামু ব্লগে প্রথমবারের মতো বাংলায় লেখা প্রেরণের স্মরণীয় ঘটনাটি জানার জন্য ধৈর্য্য ধরে সেই নিবন্ধের একেবারে ‘শেষ’-পর্যন্ত পড়ার জন্য আজকের পাঠককে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। চলুন, কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরে যাই দীর্ঘ ১৩ বছর আগের ২০০৮ সালের সেই নিবন্ধে …।

নিবন্ধটির শিরোণাম ছিলো এরকমঃ
অতঃপর নোকিয়ার হাই এন্ড মোবাইল সেটে বাংলা এবং সামহয়্যারইন ব্লগে মোবাইল থেকে বাংলায় মন্তব্য প্রেরণ....।

অনুগ্রহ করে লিংকটিতে ক্লিক করে পড়ুন ২০০৮ সালের মূল পোস্ট থেকেই !


সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫৩
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×