somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মালালা কিংবা আমেরিকা

২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সুরেশ কুমার দাশ


মালালা ইউসুপ জাই ইতিমধ্যে আন্না ফ্রাঙ্ক এর মত ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে(মানে মতলববাজী কিনা)। সোজা কথায় মিডিয়াগুলোর একটা মতলব থাকে। মতলব তো আমেরিকার আছেই। তার বাইরে মিডিয়ার মতলবের কথা বললাম। কোন এক সময়ে হয়ত মিডিয়ার মতলব ছিল না। এখন এটা দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। এখানেই মিডিয়া নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। এই মালালা ইউসুফ জাইয়ের নাম এর আগে কেউ শুনতে পাইনি। তবে মিডিয়ার বদৌলতে এটা আমাদের গিলতে হচ্ছে । মিডিয়া যারা গিলে তাদের জন্য এটাই রিয়েলিটি। হয়ত জন্য এ ধরনের মিডিয়া গেলার দিন ফুরিয়ে আসছে।
এ কথাটা বলার একটাই কারণ পাকিস্তানে একটি ধর্মান্ধ কিংবা ধর্মের ধব্জাধারী রাষ্ট্রের জন্য ইতিপূর্বে অনেকে ত্যাগ স্বীকার করেছে। যাদের বয়স মালালার ১৪ বছরের চেয়ে অনেক বেশি। খেয়াল করবেন আনা ফ্রাঙ্ক কিšত্তু তার জীবন কালে বিখ্যাত হয়নি। মালালা কিন্তু তার জীবৎ কালেই বিখ্যাত। মালালার আগে যারা এ জন্য জীবন দিয়েছে তাদের কেউ মালালার ভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়নি। তাদের কথাটা এতটা মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করেনি। কারণ পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানে প্রতিদিন কেউ না কেউ খুন হচ্ছে ইসলামী চরমপন্থার কারণে। এটা নিজেদের মত শরিয়া আইন কায়েম করার জন্য যুদ্ধ। এখানে ধর্মের নামে একাধিক সংগঠন রয়েছে। আর রাষ্ট্র এখানে কখনও এদিকে কখনও ওদিকে। রাষ্ট্র বরাবরই ভয় পেয়ে আসছে রাষ্ট্রের ভেতর আরেক রাষ্ট্র সেনাবাহিনীকে। সেনাবাহিনীর মধ্যে আর একটা সংগঠন যেটা আইএসআই। এটা পাকিস্তানের নাম বেচে টিকে থাকা একটা ভয়ঙ্কর প্রতিষ্ঠান। পাকিস্তান সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাকে না পারছে গিলতে না পারছে বমি করতে। পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসাবে কতটা ব্যর্থ আর কতটা সফল ইতিমধ্যে তা অনেকের জানা হয়ে গেছে।
আমরা মালালা ইউসুফ জাই থেকে সরে এসেছি। পাকিস্তানের বাস্তব পরিস্থিতি হচ্ছে এখানে হাজার হাজার মালালা ইউসুপ জাই নিপীড়িত ও নিগৃহীত হয়েছে। তো মালালার নামে অন্য অনেকের মত গোটা বিশ্বেও স্বস্তি ফিরে আসবে। বিশ্বের স্বস্তি মানে যারা পাকিস্তানকে একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চায়। ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে নয়।
আমেরিকা এখন এমন একটি খেলা খেলছে- সেটা কিছুটা নতুন। বন্দুকটা তারা এখন যুক্তরাজ্যের কাঁধে রেখে শিকার ধরতে চাইছে। বিষয়টা কি চমৎকার নয়। তারা সিরিয়া শিকার করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঁধে বন্দুক তাক করে। আবার মালালা যখন কথিত তালেবান হামলার শিকার হল তখন তাকে ভর্তি করা হল যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে। এসব কথাগুলো মিট রমনি বা ওবামা কেউ তাদের নির্বাচনি বিতর্কে আনছে না। এটার একটা কারণ থাকতে পারে। কারণ লিবিয়া আর ইরাকে তারা স্বতস্ফ’র্তভাবে ছিল। এখন তারা প্রত্যক্ষ নয় পরোক্ষভাবে অর্থাৎ যুক্তরাজ্যের কাঁধে বন্দুক রেখেছে। শিকার তাদের ঠিকই আছে।
এবং মালালাকে তারা শিশু বলছে। একটি শিশুর জন্য নিশ্চয়ই আমাদের সহানুভূতি কম নয়। বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবীতে এত বেশি যুদ্ধ বিগ্রহ সংগঠিত হচ্ছে যেখানে মালালার মত অসংখ্য শিশুরা প্রতিনিয়ত নিগ্রহ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এক্ষেত্রে মালালা কেন আলাদাভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
মালালা কি আমেরিকার একটা কৌশল। এ কৌশল দিয়ে যদি পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানকে মোল্লাতন্ত্র থেকে রক্ষা করা যায় তাহলে সেটা গোটা বিশ্বের স্বস্তি। কারণ আমরা আপাতভাবে পাকিস্তান , আফগানিস্তান ও আমেরিকা ছাড়া বিশেষ কোন রাষ্ট্রের কাছ থেকে সন্ত্রাস দমন ও সন্ত্রাসী উস্কানি পাচ্ছি না। এক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে তারাই পরিচিত।
মিডিয়া যা পাচ্ছে তা আদৌ গিলছে ঠিক তা নয়। বর্তমান বিশ্বে মিডিয়া বুঝতে সক্ষম হয়েছে তারা একটা রোল প্লে করতে পারে। এটা শক্তিমানের পক্ষে হলে ভালো। ন্যায় বা অন্যায়ের পক্ষে নয়। শক্তিমানের পক্ষে। আমেরিকাকে তারা শক্ত সর্মথ্য মনে করছে। যদি এ জায়গা থেকে মিডিয়াকে ফেরানো যায় তাহলে তারা অন্য কারো হয়ে রোল প্লে করবে। কারণ মালালা ইউসুফ জাই ছাড়া অন্য অনেকের পক্ষে আবার মিডিয়া নিরব ছিল। কারণ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পরিস্থিতিকে বোঝার জন্য মালালা ইউসুফ জা য়ের চেয়েও করুণ কাহিনী আছে। তবে মালালাকে দিয়ে কিছু সম্ভব হলে গোটা বিশ্বেরই স্বস্তি। সন্দেহ আমেরিকা কোথাও থামে না বা থামতে চায়না যদি তাদের স্বার্থ উদ্ধার না হয়।


১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে গান গাইলাম (সাময়িক)

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:০৮

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে আমি আদর করে 'আই' ডাকি। আইকে দিয়ে অনেক কাজই করাতে হয়। এবারে, আমাদের ৫ ভাইদের নিয়ে একটি গান বুনেছি। আমরা ৫ ভাই অনেক দিন একসাথে হই না। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্যারাভান-ই-গজল - তালাত আজিজ

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৬ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩১


ভারতীয় অন্যতম গজল শিল্পীদের তালিকায় তালাত আজিজের নাম অবশ্যই থাকবে বলে আমার ধারনা। তার বেশ কিছু গান আমার শোনা হয়েছে অনেক আগেই। জগজিৎ সিং, পঙ্কজ উদাস ও গুলাম আলী সাহেবের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওহাবী-সালাফি-মওদুদীবাদ থেকে বাঁচতে আরেকজন নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই ৩০ জন ব্লগারের ভাবনার জগত ও লেখা নিয়ে মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯



গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন তার আকাশের বলাকা || নিজের গলায় পুরোনো গান || সেই সাথে শায়মা আপুর আবদারে এ-আই আপুর কণ্ঠেও গানটি শুনতে পাবেন :)

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:০০

ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×