প্রাচীন বাংলাদেশে হিন্দু নামে এক সম্প্রদায় ছিল। তাদের প্রধান কাজ ছিল সকাল সন্ধ্যা দুই বেলা পুজা করা আর দেবতার উচ্ছিষ্ট নিরামিষ খাওয়া।
কিছু দুষ্ট লোক তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এই দুষ্ট লোকদের কাজ ছিল ছুতা খুজে তাদের পিটানো। যেমন নির্বাচনে হারলো দুঃখ ভুলতে হিন্দু পেটাত, নির্বাচনে জিতলো খুশিতে হিন্দু পেটাত, তাদের নেতার সাজা হলে হিন্দু পেটাত, বাজ পরে তাদের ধর্মস্থান নষ্ট হলেও হিন্দু পেটাত। হিন্দুরা ছিল খুব ভদ্র শুধু মার খেত আর খুব কষ্ট হলে ভিটে মাটি ছেড়ে বিদেশ পালাত।
কোন উত্সবে তাদের লোকের অভাব হত না কিন্তু কেউ মার খেলে অন্য জন কখনও এগিয়ে আসত না। এমনকি তাদের সুবিধাভোগী অংশ কিছু বলত না পাছে 'সাম্প্রদায়িক' তকমা গায়ে লেগে যায় এই ভয়ে।
যখন তাদের পাশের বাড়িতে হামলা হত তখন তারা না পেরে স্ট্যটাস দিত তাও সব দিক রক্ষা করে লিখত 'খ্রিস্টান হিন্দু মুসলমান আমরা সবাই বাঙালি'।
তারপরও তারা অনেকদিন বেচে ছিল শুধু সমাজের বাকি লোকগুলোর জন্য। সমাজের বেশির ভাগ লোক ছিল অসাম্প্রদায়িক বাঙালি। তারা আপ্রান চেষ্টা করেও তাদের শেষ পর্যন্ত বাচাতে পারে নি। কারন তারা জন্মাতে শিখেছিল, বাচতে শিখে নি।