ইঞ্জিনিয়ারিং এর আশা ১৩ ই আগস্ট ২০১৪ তেই ছেড়ে দিছিলাম।
সাধ ছিল, সাধ্য ছিল না।
সবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম এমন লাইনে যাবো যে লাইনে গেলে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে গেলেই আমার চাকুরী হবে।
হঠাৎ কিছু ঝড় এলো জীবনে, ব্যাবসা ধরলাম। বুঝতে পারলাম এই হাঁড়ভাংগা খাটুনি আমার দ্বারা বেশিদিন হবে না।
অবশেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমেষ্ট্রিতে চান্স পেলাম। কিন্ত অত সময় ধরে বেকার থাকা সম্ভব না।
আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ঐ ভার্সিটির আন্ডারেই B.Sc in হোটেল ম্যানেজমেন্ট, এই দুইটা অফার আমার সামনে ছিল।
কিন্তু ততদিনে মস্তিষ্কতে সায়েন্সের যাবতীয় ব্যাখ্যাদি ধৌত হইয়া গেল।
আর লক্ষ্যটাও চেঞ্জ হয়ে গেলো, ভর্তি হলাম হোটেল ম্যানেজমেন্টে। অনেকেই আশা করেছিল, কিন্তু নিয়তি আর সময় সহায় ছিল না।
যাই হোক, ফিজিক্স-কেমেষ্ট্রি ছেড়ে একাউন্টিং পড়া ধরলাম। আগা মাথা তেমন কিছুই বুঝতেছি না। তবুও বেসিক ধারণার জন্য নবম-দশম শ্রেণীর বই ধার করে আনলাম। আমার দাদাবাবু (দুলাভাই) সাহায্য করছেন।
জানিনা, জীবনটা কোন দিকে যাবে। কিন্তু ঈর্ষা হয় ঐ ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হওয়া স্টুডেন্টদের উপর।
কিছু স্বপ্ন, বদলায়। সময়ে, অসময়ে বদলায়।
তাড়া করি নতুন স্বপ্নের, আশা রাখি নতুন দিনের।
হিন্দি ভাষায় কথা বলাটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও প্র্যাকটিস করতে হচ্ছে।
নতুন শহরে গিয়ে অনেক বন্ধু হাহাকার করে, আর আমি কাঁটাতারের ওপারে গিয়ে কি করবো, ভাবতেই গা শিওরে উঠে।
ভাবতে চাই না আর,
জুন মাস পর্যন্ত নিজ দেশ, নিজ শহরের গন্ধ প্রাণ ভরে নিয়ে নেই। বাকিটা সময়ের হাতেই ছেড়ে দিলাম