সূর্য পলাশ
হয়তো এখন বিচালি শুকোতে রাস্তায়
গ্রামের বউ-ঝি’রা ব্যস্ত ভীষণ কারেল হাতে !
খুব সীমিত স্বপ্ন বুকে নিয়ে ওরা-
উল্টায় পাল্টায় আর পিঠ পরিবর্তন করে সোনালি বিচালির !
গুণগুণিয়ে দু-এক কলি গান গাইতে না গাইতেই
ভাত পোড়ার গন্ধে ছুটে যায় আমিরন বু,
নিষ্ঠুর স্বপ্ন গুলো বুকের গণ্ডিতেই থাকে আবদ্ধ !
‘নহুল নিয়ে বন্দ যা লো গেন্দা’-
হয়তো এই শব্দ গুলিই উচ্চারণ করে ছেলেকে ডাকছে,
আর খ্যাপ মারা মহিষের গায়ে পানি ঢালছে
প্রান্তিক চাষি সামসুল !
মোল্লা বাড়ির পুকুর ঘাটে হয়তো এখন নাইতে নেমে
দুরন্তপনায় মেতেছে কচি কিশোর-কিশোরীর দল
চালতের গাছে উঠে ওঁত পেতে আছে বয়ঃসন্ধি বখাটে
মোল্লার বড় মেয়ে জলে নামবে কখন ?
সে প্রতীক্ষায় !
হয়তো কাজের ফাঁকে কিছু ক্ষেত মজুর,
নদীর তীর ঘেঁষা বাঁশঝাড়ের ছায় বসে,
চায়না মোবাইলের কান ঝাঁঝাঁ শব্দে কাওয়ালী শুনছে,
আর আপন মনে টানছে কল্কির পর কল্কি মোহিনী সিদ্ধি !
আলা পাতা কম না বেশি তাই নিয়ে চলছে
কথা, কাশির সংমিশ্রণে অস্পষ্ট অকথ্য বাকবিতণ্ডা !
হয়তো এখন সাদা সালোয়ার-ওড়না আর নীল কামিজে,
বালিকা বিদ্যালয়য়ের দলবদ্ধ বালিকারা ফিরছে বাড়ি,
কারো কারো পিছু নিয়েছে নায়ক স্বভাবের অপরিণত প্রেমিকগণ
পটে যাওয়া কোন কোন প্রেমিকা টিপ্পনী কাটছে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে !
রচনা কালঃ ৯/১১/২০১৫ ইং ।