
তুমি কি দেখেছ, সখী, গাঁয়ের পাড়ঘেঁষা বাঁশবাগান
যেখানে সন্ধে নামলেই ঢুকে পড়ে শিয়াল আর স্মৃতি?
কোনো এক বিধবার ঘর সেঁটে থাকা নোনা গন্ধে
মিশে আছে আমার চেনা জনম, চেনা শোক।
আকাশ তো এখন আর আগের মতো নীল নয়,
ভাটিয়ালি গায় না কেউ, নদীর বুকেও দাগ কাটে ড্রেজার।
তবু কোথা থেকে যেন ভেসে আসে তোমার হাতের নোনাধরা গন্ধ,
সেই গন্ধে জেগে ওঠে ভাঙ্গা পালঙে শুয়ে থাকা গোপন শঙ্খ।
আমি আজকাল রাত্রিকে চিনি কেবল রেললাইনের শব্দে,
ময়ূরপুচ্ছ নয়, বুকে বিঁধে থাকে কনক্রিটের গম্বুজ।
তবুও ঘুমের মাঝে ফিরে আসে কলাপাতার বিছানা,
ভোরবেলায় কুয়াশা মুছে রাখা তোমার সিথির সিঁদুর।
সখী, কবে যেন একটি কাক ভেঙেছিল নীড়,
তার ঠোঁটে ধরা ছিল রোদ নয়, মৃতবাঁশি।
তখনই বুঝেছিলাম, এ দেশ আর কবিতায় ধরা যায় না,
এ দেশ এখন ফটোগ্রাফে জমে থাকা বিবর্ণ গ্রামীণতা।
তবু আমি লিখি, পল্লির মাটিতে মিশে থাকা গন্ধ,
ভাঙা দালানে শিস দিয়ে যাওয়া হাওয়ার নাম।
তুমি যদি শোনো, জানো, এই শব্দরা এখনো বেঁচে থাকে
তোমার নরম শাড়ির আঁচলেই, কিংবা কদমফুলের ঘ্রাণে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



