আজকাল আমার লেখা কবিতা গুলো আমার মতোই উদ্দেশ্য হীন ভাবে সমন্তরাল গতি তে চলছে। নেই কোন উত্তেজনা নেই কোন অসম্ভব প্রেমের গুঞ্জন, কেবলি হতাসা। কিবোর্ড এ আংগুল ছোয়াই বিস্তার প্রেম্রের এক কালঘুম ছুটিয়ে দেয়া কবিতা লিখবো বলে, হয় না। ওটা সেই ব্যার্থ হকারের মতো রাস্তায় রাস্তায় দিশাহীন ঘুরে বেড়ায়। এমনি একটা কবিতা লিখলাম, যার শুরু হয়েছে প্রেম প্রকাশে শেষ সেই গিসাপিটা দেবদাসের কীর্তন।
আমার ভালোবাসা, আষাঢ়ের বরষার মতন অবিরাম ঝরে।
দু চোখ বোজা ঝিরিঝিরি শব্দের মতন অতৃপ্ত অবুঝ আমার প্রেম।
তুমি যদি থাক দূর, তবু তোমার গায়ের সুবাসে সুবাসিত থাকে এই শহর,
তুমি না এলে কলাপাতার পাতায় জমে ওঠা শিশিরে ধুয়ে যায় আমার চোখ।
ডুবে যাওয়া ঝিলের জলে আবেগে কাপতে থাকা অবুজ আমি,
সবুজ কলমিলতায় পাতি সিক্ত শয্যা,
মেঘদুতেরা মুড়িয়ে নেয় , জলের চাদরে,
প্রস্তুতি নেয় শেষ যাত্রার।
তখন তোমার মুখখানি,
হঠাৎ আষাঢ়ের জলে ভিজে ওঠা ধানক্ষেতে
ফড়িংয়ের ডানায় দুলে ওঠা রৌদ্রের মতো ভেসে আসে।
তুমি দূরে আছ,
তবু এই ঝর, এই জল, এই বৃষ্টি,
আমার বুকের ভেতরকার চিরক্লান্ত শিরায়
তোমার নামের অক্ষর নবান্নের বীজতলায় বুনে দেয়।
কোনো এক অজানা পরিযায়ী পাখির মতো
আমি বারবার ফিরে আসি তোমার ছায়াতলে
যেখানে শীতল শিশির জমে থাকে অনন্তকাল,
যেখানে প্রেম একদিকে অগ্নিশিখা,
অন্যদিকে নিস্তব্ধতার জলে ভেজা জ্যোৎস্না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


