কেমন আছো চারু?
তুমি কি এখনো ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে
চুল ঝাড়ো?
এখনো কি, তোমার ঘন চুলে অশান্ত যমুনার ঢেউ ওঠে,
এখনো কি, তোমার চোখে বৃষ্টির কণাগুলো
পড়তে পড়তে হারিয়ে যায়?
চারু জানো,
আজও হাঁসফাঁস লাগে শহরের গুমোট বাসে,
ভিড়ের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকি,
অচেনা কারো কাঁধে ঘাম ঝরে পড়ে,
হঠাৎ কারও ঠোঁটে তোমার মতো ভাঙাচোরা হাসি ফুটলে
বুকের ভেতর মুচড়ে ওঠে এক গোপন যন্ত্রণা,
মনে হয় ঠিক যেন পাশের সিটেই বসে আছো,
হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারি,
অথচ আঙুলের ফাঁক দিয়ে ফসকে যায় আলো।
চারু, তুমি কি জানো,
আমি প্রতিদিন শহরের এই ভিড়ে
তোমার ছায়ার খোঁজ করি,
কখনো শাড়ির আঁচলে,
কখনো কানের দুলের ঝিকিমিকিতে।
মুখ গুলিয়ে যায়, নাম হারিয়ে যায়,
তবু সেই একই হাসি বারবার ফিরে আসে
আমার বুকের ভেতর অকারণ অস্থিরতার ঢেউ তুলে।
চারু, এই শহর যতই কঠিন হোক,
বাসের জানলা ভেদ করে মিলিয়ে যাওয়া আলো আমাকে বলে,
তুমি আছো,
কোন অজানা ভিড়ের মাঝে,
লুকিয়ে রেখেছো তোমার পায়ের চিহ্ন।
চারু,
তুমি কি এখনো রাতের নিস্তব্ধতায়
নিজের বুকের ভিতর ছোট ছোট চিৎকার শুনো?
তুমি কি এখনো
খড়ের ছাউনি ঢাকা শৈশবের উঠোন খুঁজো
আধুনিক শহরের কংক্রিটের ভিড়ে?
আমি খুজি,
যেথায় আলতা পায়ে পুর উঠন জুড়ে
খোলা চুলে তোমার ছুট ছুটি।
চারু,
আমি তোমাকে ডাকছি না,
শুধু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছি হাওয়ায়,
নদী কুলে, বটের তলে, জংগলে,
যেন একদিন হাওয়ার ভেতর
তুমি উত্তর দেবে,
আমি আছি, তোমারি আছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


