somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুলিশের বুট - বাংলাদেশী পুলিশের বুট

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উইকিপিডিয়ায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীকে যে সব অস্ত্রশস্ত্র দেয়া হইসে, তার লিষ্টি এইরকম । ১) ৯ মি.মি. পিস্তল ২) এল.এম.জি. (লাইট মেশিনগান) ৩) এম.এম.জি. (মিডিয়াম মেশিন গান) ৪) ৩.৮ স্মিথ এন্ড ওয়েসন ৫) শট গান (১২ বোর) ৬) ৭.৬২ মি.মি. চাইনিজ রাইফেল ৭) ৭.৬২ x ৫১ জি-৩ রাইফেল ৮) একে-৪৭ ৯) টিয়ার শেল (গ্যাস গান) ১০) ৭.৬২ সাব মেশিন গান ১১) হ্যাঙ্গ্রেনেড ১২ ) ব্রাস নাকল্স (হাত দিয়া ফাইটিং করার মেটাল রিং টাইপ)



এইগুলোকে আর্মড পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র বা হাতিয়ার (উইপন) বলা হইসে। পুলিশের আরেকটা ক্যাটাগরী আছে যারা আনআর্মড নামে পরিচিত। তাদের একমাত্র হাতিয়ার হলো লাঠি ("Lathi" - stick)


উইকির তথ্যকে বিশ্বাস করলে আমরা এই ডিশিসনে আসতে পারি যে বুট নামের বস্তুটি পুলিশের কোন হাতিয়ার নয়। এটা নিতান্তই পুলিশ ইউনিফর্মের একটা অংশ। লক্ষ্য করুন, ঘুষাঘুষিতে সুবিধা করার জন্য ব্রাস-নাকলস (কেউ বাংলা অনুবাদ বলে দিলে কৃতার্থ হই) নামের ধাতব রিংগুলো কিন্তু পুলিশকে হাতে পড়ার জন্য দেয়া হচ্ছে। চাইলে বুটকে একই উদ্দ্যেশ্যে হাতিয়ারে পরিনত করা যাইতো আইনানুগভাবে । সেক্ষেত্র পুলিশ ভাইয়েরা বুটের মাথায় ছুড়ি চাকু ব্লেড ও লাগাতে পারবেন। কিন্তু জিনিসটা কোথাও তাদের উইপন তালিকায় নাই এখনতক।


এতগুলি অস্ত্রশস্ত্র থাকতে বাংলাদেশের পুলিশগন বুটের ব্যবহারে এত উৎসাহী কেন ? এটা কি আপনাদের উদ্যত অহঙ্কার থেকে নাকি স্রেফ লাইমলাইটে আসার প্রচেষ্টা ? আপনি যাকে আপনার বুটের তলায় পিষতে চাইছেন সেটা একটা প্রানসম্পন্ন মানবিক মানুষ। হতে পারে সেই মানুষটা মারাত্মক কোন অপরাধী । আপনার গাড়ি পুড়িয়ে ফেলেছে কিংবা আপনার মাথায় ঢিল ছুড়েছে। কিন্তু এই অপরাধীর গায়ে একটা মানুষের পা কোনভাবে লেগে গেলেও আপনি খেয়াল করলে দেখবেন গায়ে আঙ্গুল ছুইয়ে বুকে চোখে ছোয়াচ্ছে অন্য মানুষটা । এটা মানুষ নামের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য। স্বাভাবিক সম্মানবোধ।



আপনি "আইনশৃঙ্খলা" বাহিনীর সদস্য। আপনাকে "শৃঙ্খলা" শেখানো হয়েছে । "আইন" শেখানো হয়েছে। অপরাধীকে এই দুইটার একটাও শেখানো হয়নি। সে আইন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, আপনি পুলিশ, আইন ও শৃঙ্খলা (লক্ষ্য করুন, দুটো ভিন্নভিন্ন টার্ম) রক্ষা করবেন। কিন্তু এসব্ আপনারা কি করছেন ? বুটের তলায় মানুষ ফেলে দুহাত উচিয়ে উল্লাস করার এই পৈশাচিকতার শৃঙ্খলা আপনাদেরকে কে শিখিয়েছে? এই বিভৎস দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছি। বন্ধ করুন এই অমানবিকতা । মানুষেরে পায়ের তলায় ফেলার চেয়ে পাকিস্তানি স্টাইলে গুলি করে মেরে ফেলুন । তবু এই কদর্য নোংরামী বন্ধ করুন।


আপনাকে লাঠি দেয়া হয়েছে, পেটান। আপনাকে টিয়ার সেল দেয়া হয়েছে, ব্যবহার করুন সেটা। আপনাকে রাবারবুলেট দেয়া হয়েছে-আপনাকে শটগান দেয়া হয়েছে - জলকামান দেয়া হয়েছে । মানুষকে শারিরীক আঘাত করার অনেক এখতিয়ার আপনাকে দেয়া হয়েছে । কিন্তু পায়ের তলায় পিষবার অধিকার কারো নেই। মানুষেরে অপমান করার অধিকার কোন মানুষের নেই। যতবড় অপরাধী হোক, বুটের তলায় পড়ে থাকতে পারবেনা কোন মানুষ।



পুলিশ হয়ে হাতে অস্ত্র পেয়েছেন বলে নিজেকে রাজা মহারাজা ভাবার থার্ডক্লাশ অহঙ্কার থেকে নিজেকে সরান। যত দ্রুত সম্ভব। নির্বোধ শ্রেষ্ঠত্ববোধ আপনার করুন পরিনতি ডেকে আনবে। আপনি একজন চাকুরীজীবি - শ্রেফ চাকুরীজীবি- আপনাকে কাজের বিনিময়ে বেতনের টাকা দেয়া হয়। টাকাটা যারা দেয় - সেই জনমানুষকে আপনারা আপনাদের শত্রু শ্রেণীতে পরিনত করছেন। জীবিকায় টান পড়ার উপলক্ষ্য যেকোন সময় তৈরী হয়ে যাবে। সাবধান! ক্ষমতা যে জনতার হাতে সেটা কিন্তু সত্য। নির্বোধের চোখে পড়তে সময় লাগে একটু। পাইপাই হিসেব বুঝিয়ে দিতে পারে নির্যাতীত মানুষরা - আরো সহজ কথায় আপনাকে প্রতিপালনকারী দেশের সাধারণ জনগন!


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৪
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×