যেখানেই মহান কাজ, সেখানেই জাফর স্যার
জাফর স্যার, বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কয়জন মানুষ স্মরণীয় হয়ে আঁচেন তার মদ্য নিঃসন্ধেহে এক নম্বর জায়গায় তার অবস্থান। তিনি হলেন কোঁটি বাঙ্গালীর আইকন। তিনি হলেন সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ। তিনি বাংলাদেশের জন্য যা করেছেন তা স্বয়ং শেখ মুজিবর রহমান থেকেও বেশী। ৭১ এ রাজাকার আলবদর গোষ্ঠী এদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা করে দেশকে যখন একেবারে মেধাশুন্য করে দিয়েছিল তখন এই জাফর স্যার কত কষ্ট করে আমেরিকায় পড়ালেখা করে একাই এদেশের মেধার ঘাটতি পুরন করে দিয়েছেন। তার হাতে গড়া ছাত্ররা এখন নাসা, মাইক্রোসফট, গুঘল, টয়োটা, বোয়িং থেকে শুরু করে আরো অনেক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করছেন। স্যার আমেরিকায় পড়ালেখা করা একমাত্র বাংলাদেশী যদিও নয় কিন্তু তিনি কি চাইলে কি পারতেন না লাস ভেগাসের ক্যাসিনোর সেই ঝকমকে জীবন কিংবা কোঁটি কোটি টাকা কামিয়ে উন্নত জীবন লিড করতে। পারতেন। তবে তা করলে তাকে কেউ
হয়ত চিনতোনা, কারন ইউএসএ তে উনার মত এমন স্কলার পথে ঘাটেও পরে থাকে। তাই তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন নিজেকে সবার কাছে বড় প্রমান করতে, সেই সাথে দেশের উপকার করতে।
যেখানেই জাফর স্যার সেখানেই মিডিয়া...কারন বাংলাদেশের শত কোটি তরুণের স্বপ্নের মানুষ প্রিয় মুখ একটাই, জাফর ইকবাল।
যাই হোক। স্যার হলেন মাটির মানুষ। তাইতো তিনি এই সেদিনও জাগো ফাউন্ডেশনের গোলাপ ফুল বিক্রি উৎসবে নেমে পড়েছিলেন সবার সাথে। তিনি কত মহান তা দেখা যায় তার রাস্তায় দাড়িয়ে ফুল বিক্রি থেকে। তিনি আবারো প্রমান করেছেন আমেরিকায় পড়ালেখা করলেও তিনি বাঙ্গালী। জাগোর এই উদ্যগে সাড়া দিয়ে তিনি প্রমান করেছেন তিনি বরাবরের মত আমেরিকা এবং ভারতের অনুগত। কারন জাগো'কে রাস্তায় নামার টাকা যৌথভাবে দিয়েছিল আমেরিকা এম্বেসি এবং ভারতীয় বাংলাদেশী এজেন্ট এয়ারটেল। মূলত তাদের অনুরোধেই জাফর স্যার সেদিন ফুল বেচতে রাস্তায় নেমেছিলেন মনে হচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহ সত্য জাফর স্যার ফুল বিক্রি করতে আসায় আমরা তরুণ প্রজন্ম ব্যাপক অনুপ্রানিত হয়েছি জাগোর টাকার বিনিময়ে এই ভলেন্টিয়ার কার্যক্রমে। সবাইকে জাগোর নেক্সট পোগ্রামে আসার নিমন্ত্রণ থাকলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৬