চরম আর্থিক সংকটে সরকার। অর্থের প্রয়োজন মেটাতে এবার সার্বভৌম (সভরেন) ঋণ বা বন্ড ছেড়ে বিদেশ থেকে টাকা সংগ্রহের উদ্যোগ চলছে। এর আগে বাংলাদেশ আর কখনো এ জাতীয় বাণিজ্যিক ঋণ বিদেশ থেকে নেয়নি। জানা যায় কিছুদিন আগে মগবাজার ব্যাংক(ইসলামী ব্যাংক) থেকেও বিশাল ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। তাই দেশকে বন্ধক রেখেও ঋণ নিতে কার্পন্য করছেনা সরকার। কিন্তু তারপরেও পোষাচ্ছিলনা সরকারের। পেটুক বাঙ্গালীর এত সহজে কি পোষায়!! উপায় ছিল একটা তেলের দাম বাড়ানো। এর মাধ্যমে কুইক বেনিফিট পাওয়া যায়। জনগণ জাহান্নামে গেলেও সরকারের ঘাটতি পোষাতে এর ছেয়ে মজার উপায় নেই তা বুঝে গেছে আবুল মাল। তাইতো জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির খেলায় তারা মেতেছেন। কিছুদিন আগে একদফা বাড়ানোর পর আজ আরেক দফা।
আর আবুল মাল এবং আবুল মালের আন্টি ম্যাডাম হাসিনাও জানেন এ নিয়ে নখদন্তহীন বিএনপি বড়জোর একটা হরতাল দিয়েই খালাস হয়ে যাবে। সেদিন জাস্ট পুলিশের পিছনে এক দিনের তেলের টাকা খরচ, বিএনপিকে ধাওয়া দিতে। ব্যাস হরতাল শেষ। ভুদাই বাঙ্গালী যাবে ঘুমিয়ে। মালেরা হবেন আরো মালে মালে সমৃদ্ধ।
অন্যদিকে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত যারা কিনা আবার বাংলাদেশের রোল মডেল তারাও কিছুদিন আগে জ্বালানীর মূল্য বাড়িয়েছে। সুতারাং ইন্ডিয়াকে সবসময় নকল করে চলা অনুকরণপ্রিয় বাঙ্গালীও ভারতের সাথে মিলিয়ে তেলের দাম বাড়ালো আর কি!!
আবারো ধন্যবাদ জানায় বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক এক্সপায়ার্ড অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল(৮৬ বছর) স্যারকে তার এই চমৎকার এবং সময়উপযোগী আবাইল্লা সিন্ধান্তের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৫