somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সা. ইনে কোন নাট্য প্রযোজক থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আমার কাছে সুন্দর নাটকের স্ক্রিপট আছে। এখানে তার কিছুটা নমুনা দিলাম।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হ্যা নাট্য প্রযোজককে এই কারনে যোগাযোগ করতে বললাম, কারণ আমি এই প্রজন্মের জামাতের এক কর্মীর জীবন ইতিহাস নিয়ে একটি নাটক রচনা করেছি। আশাকরি নাটকটি খুবই ভাল হবে ইনশাল্লাহ।

(পোস্টটা একটু বড়, যদি কষ্ট করে পড়েন তাহলে মজা পাবেন এই নিশ্চয়তাটা আমি দিতে পারি)

---------------------***********----------------------

(কাহিনীর বর্ণনাটা সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরা হলো):

মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু জামাতের নেতা এবং জামাতের চামচারা লুটের মালামাল ভাগে বেশী পাওয়ার জন্যে তারা তাদের বউ, বেটি এবং বোনদেরকে পাক সেনা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিত পাক সেনাদেরকে খুশি রাখার জন্যে। এই জামাত নেতা বা জামাতের চামচাদের মধ্যে রমজান মিয়া। রমজান মিয়ার অন্যান্য জামাত নেতারা তাদের বউ, বেটি এবং বোনদেরকে বুঝাতো এই বলে যে পাক সেনার হলো খাঁটি মুসলমান, এদের বীর্যে যদি একটা সন্তান লাভ করা যায়, তাহলে এই দেশটারে সেই সন্তানেরা পাক্কা ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম করতে পারবো। অতএব এটা কোন নাজায়েজ কাজ নয়। তাদের বউ বেটি এবং বোনেরা সহজ সরল বিশ্বাসে রাতের অন্ধকারে পাক সেনা ক্যাম্পে যেয়ে রাত কাটতো এবং পাক সেনাদের মনোরঞ্জন করতো। ভোরে ফজরের নামাজের আগে আগে অন্ধকার থাকতেই আবার বাড়ী ফিরতো।

রমজান মিয়াও ছিল লোভী লুটেরা জামাতের একজন নেতা। লুটের মালামাল ভাগে বেশী পাওয়ার জন্যে সে তার বইকে রাতের অন্ধকারে পাক সেনা ক্যাম্পে প্রায় প্রায় পাঠিয়ে দিত। বইয়ের বেশী বয়স না, বিয়ের মাত্র চয়মাস হয়েছিল তাতেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। যুদ্ধ শুরু হবার পর প্রথম প্রথম লুটতরাজ দেখে তার চোখ ছানা বড়া। তাই পাক সেনাদের খুশি রাখার জন্যে সে এই ফন্দি আঁটে। তার স্ত্রীকে প্রায় রাতে ক্যাম্পের মেজরের কাছে পাঠিয়ে দিত। নয় মাস যুদ্ধ চলা কালিন সম্পূর্ণ সময়টা সে এইভাবে চলে। এর মধ্যে তার স্ত্রীও গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং পাক সেনার বীর্যে তাদের এক সন্তান জন্ম হয়েছিল। জন্মাবার পরই রমজান সকলকে বলে ছিল এই সন্তানই একদিন এই দেশটারে পাক্কা ইসলামিক রাষ্ট্র বানাবে, কারণ এর রক্তে পাকিস্তানী সেনার রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। তাই তার নাম রাখে মেহেদী। কারণ তার বিশ্বাস যে ইমাম মেহেদী নামের একজন মহাপুরুষ আসবে এই দুনিয়ায়। সেই এই দুনিয়া থেকে সমস্ত অপরাধ দুর করবে। তাই তাঁর নাম অনুসারে তার নাম রাখে।

মেহেদী ধিরে ধিরে বড় হতে থাকে। তার পালিত বাবা অর্থাৎ রমজান মিয়ার হাতেই তার শিবিরে রাজনৈতিক হাতে খড়ি হয়। মেহেদীও তার আসল পিতা সেই পাক সেনার জোসও তার মধ্যে আসে ধিরে ধিরে এবং সেও জামাত শিবিরের রাজনীতিকে বেশ মনোযোগী হয়ে পড়ে। এই সিকোয়েন্সগুলো দেখানো পার্টলি।

তারপরে নাটকের মাঝখানটা হাল্কা ভাবে বলছি, কারণ সব বলা যাবে না। সব বলে দিলে তো নাটকের মজাটায় চলে যাবে। মাঝখানটাতে আছে, মেহেদীর পালিত বাবা অর্থাৎ রমজান মিয়া যে তার মাকে প্রায় রাতে পাক সেনা ক্যাম্পে পাঠিয়ে লুটের মালামাল ভাগে বেশী পাওয়ার সুযোগ নিত। সে স্বাধীনতার পরে বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামে একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে। সেখানে দুই নম্বরী ব্যবসা করে বেশ পয়সা কামায় করে এবং পরে কিছু ইসলামী নামওয়ালা ইনস্যুরেন্স কোম্পানী, ব্যাংক এবং হাসপাতালের ডাইরেক্টরও হয়ে যায়। ১/১১ পর হার্ট ফেল করে মারা যায়। এই রকম আরও অনেক মাল মসলা দিয়ে নাটকটা জমানো হয়েছে।

তবে শেষের দুইটা দৃশ্যের কিছু অংশের কথা না বললেই হচ্ছে না। শেষের আগেরটাতে এমন থাকবে, পাকিস্তানে তার পাকসেনা বাবা বেঁচে আছে, তার নাম ওমর বি আব্দুল্লাহ। তাকে যেয়ে তার পরিচিত একজন বলে, আমি ওয়েব সাইটে তোমার নাম দেখতে পাই। সেখানে বলা আছে যুদ্ধের সময় তুমি কোন জামাত নেতার বউরে প্রায় রাতে উপভোগ করতে তার গর্ভে তোমার সন্তান হয়েছিল। এখন সে অনেক বড় হয়েছে। এ কথা শুনার পরে পাকসেনা ওমর গুল আব্দুলাহ ভীষন আবেগ প্রবন হয়ে পড়ে। আসলে মোউজ করার জন্যে তখন উপভোগ করলেও মনে মনে একটু ভালবাসারও সৃষ্টি হয়েছিল। তাই সে প্রথমে ওয়েব সাইট থেকে মেহেদীর নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে এবং বাংলাদেশে এসে তাদের বাসায় উঠে।

অনেকদিন পর তার মা ওমররে দেখে তো ভীষন বিগলিত হয়ে পড়ে, স্লো-মোশানে তার বাবার বুকে যেয়ে জড়িয়ে ধরে। প্রায় দুই মিনিটের একটা সিকোয়েন্স তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তে। তারপর যথারীতি কিছু দৃশ্য থাকবে, ফ্রেশ হওয়া, পুরোনো কাহিনী বলা, খেতে দেওয়া এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়া। তবে ঘুমাতে যাওয়ার দৃশ্যটা এরকম হবে। মেহেদীর মা গেষ্টরূমে নিজেই বিছানা ঠিক করার জন্যে আসে, বিছানা ঠিক করে ওমরকে শুইতে বলে। ওমর শুইতে যাবে এই সময় ওর মার সেই মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতির কথা মনে পড়ে যায়, স্মৃতি মনে করতে করতে বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং মনে অজান্তে ওমরে নিতম্বের উপরে হাত চলে যায়। ওমরও বেশ আবেগ আপ্লুত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। মেহেদীর মায়ের গায়ে পাকিস্তানী স্টাইলের ব্লাউজ অর্থাৎ পিছনে বোতামওয়ালা পড়া থাকবে।

ওমর আস্তে আস্তে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে ৩০ সে. জড়াজড়ি করতে থাকবে এবং ধিরে ধিরে প্রথমে ব্লাউজের বোতাম পরে ব্রার হুক খুলতে থাকবে। ক্যামেরা ১৫ সে. ওর মায়ের খোলা পিঠের উপর স্টিল করা থাকবে এবং ওমরে হাত দ্বারা মৈথুন করার দৃশ্য নেয়া হবে। হাফ লাইট থাকবে, ক্যামেরা তারপর চলে যাবে ওমর এবং মেহেদীর মায়ের মুখের উপরে। সেখানে শুধু দেখানো হবে ওমর ধিরে ধিরে ওর মাকে বিছানায় শুয়াচ্ছে। তারপরই ক্যামেরাকে ক্লজ করা হবে সিকায় ঝুলানো কোরআন শরীফের উপর। কারণ এখানে কিছু ডায়লগ থাকবে এমন।

ওমর মেহেদীর মাকে বলবে, "চল আমরা পাকিস্তানে চলে যাই। শুনেছি এখানে জামাতিদেরকে ভাল চোখে দেখা হয় না। এদেরকে সমাজে তেমন ভাল মর্যাদা দেয়া হয় না। যেহেতু আমাদের ছেলে ইসলাম কায়েমের জন্যে নিজে প্রস্তুত করেছে সেহেতু আল-কায়দাই হলো বেষ্ট সংগঠন। ওখানে সঠিক ভাবে জিহাদ করা হয়। একবার সুযোগ পেলে সুইসাইড বোম্বব্লাষ্ট করার, তাহলে তো বেহেস্ত একেবারই কনফার্ম। আমার সাথে ওদের নেতাদের যোগাযোগ আছে, আমি ওদেরকে বলে ওর জন্যে ভাল একটা ব্যবস্থা করে দিব।" এই ডায়ালগগুলো বলার সময় ওমর গলাটা বেশ হাপানো হাপানো অবস্থায় থাকবে। মেহেদীর মা এর উত্তরে ডায়ালগ বলার সময় ঐরূপ হাপানো হাপনো অভিব্যক্তি থাকবে।

সে বলে, "ঠিক আছে দেখ, সন্তান তো তোমারই। অতএব অধিকার তোমরই বেশী, তুমি যে ডিসিশন নেবে সেটাই হবে। আমার বিশ্বাস তোমার এই প্রস্তাব মেহেদী শুনলে খুব খুশি হবে।" এই দৃশ্য এখানেই শেষ।

এখন শেষের দৃশ্যটার একটু বলছি। আগের দৃশ্যের পরে তারা পাকিস্তানে চলে আসে, তার বাবা তাকে আল-কায়দায় ভর্তি করে দেয়। মোটামুটি বেশ ভালই পারফর্মেন্স দেখায়, ফলে একদিন তার সুইসাইড বম্বব্লাস্ট করা সুযোগও হয়। আফগাস্তানের সরকারী এক বড় কর্মকর্তার উপর এই অপারেশন করা হবে। সে অপারেশনটা করে কিন্তু মিসটেক করে বসে এতে কিছু সিকিউরিটি সহ তার মৃত্যু হয়ে যায়। শেষে দৃশ্যের শেষ অংশটুকুর বর্ণনা দিচ্ছি।

মেহেদীর মায়ের কান্নার দৃশ্য। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনার পরে তার মা আহাজারি করে কাঁদতে থাকে এবং এই ডায়ালগগুলো বলতে থাকে, "ও মেহেদীর বাবা তুমি এইটা কি করলা, বাংলাদেশেই ছিলাম এটাই ভাল ছিল। ওখানে সে জামাতের রাজনীতি করতো ফলে তারে মাঝে মাঝে বাঙ্গালীরা ুন্দাইতো। ুন্দানীর ফলে তার পাছায় দুই চারদিন ব্যথা থাকতো, কিন্তু সেই ব্যথা তো আবার ভাল হতো। তাতে তো পোলাটা বাঁইচা ছিল। কিন্তু এখন আল কায়দায় দেওয়াতে যে পুলাটা আমার মইরা গেল, আমি কার সাহারায় বাঁইচা থাকুমনে।"

ওমর সান্তনা দিয়ে বলে, "কাইন্দ না মেহেদীর মা। ও আমার প্রিয়তমা, তুমি কাইন্দ না। তুমি কান্দলে মমতাজের গানের মত "বুকটা আমার ফাইটা যায়" বইলা বাজতে থকে, তাতে আমি ভীষন কষ্ট পাই। আমাগো পুলা মরছে তো কি হইছে, সে তো শহীদ হইয়া গেছে। বেহেস্ত তার জন্যে কনফার্ম হইয়া রইছে।" এইরূপ কিছু ডায়ালগ ওমর বলতে থাকবে এবং ডায়ালগের সাথে সাথে যে দৃশ্যটা দেখানো হবে মেহেদী তার বাবা মাকে টাটা বাই বলে আকাশে ভেসে যাচ্ছে, অর্থাৎ বেহেস্তে চলে যাচ্ছে। সমাপ্ত লেখা দিয়ে নাটক শেষ।

৩০টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×