..............................ভোট কেন্দ্রর ছবি, নাগরিকদের আরেকবার ক্ষমতা প্রয়োগের স্হান ।................................
ইভিএম ডিজিটাল নির্বাচন, এই প্রথম তাই,
গত রাতে পরিবারের সকলকে বলে রাখা আছে সবাই একসাথে ভোট দিতে যাব এবং তা সকাল ৯টার মধ্যে,
কিন্ত ঘুম থেকে উঠলাম দেরীতে আবার সকলকে একত্রিত করা অতপর পাঁয়ে হেটে যাত্রা তখন ঘড়ির কাটায়
বেলা ১২.১৫ মি: । ৫/৭ মিনিটে কেন্দ্রে পৌছুঁলাম, বুথ আমার চেনা , চলে গেলাম দোতালায় তবে ভীড়ের জন্য
বুথে ঢুকতে পারলামনা, পাশের একটা বেঞ্চে বসলাম, জানতে চেষ্টা করলাম ভীড় কেন অন্য বুথে তো ভীড় নাই ?
আমার সামনে মাত্র ৯/১০ জন অথচ লাইন সচল হচ্ছে না ।
ভিতর থেকে খবর এল ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছে না তাই এই বুথে ভোটের অগ্রগতি নাই ।
..........................ভোটের সকাল, কোন যানবাহন নেই, কি সুন্দর পরিবেশ কোন শব্দ দুষন নেই, .....................
প্রায় ১০/১২ মিনিট পর উক্ত ভোটার ভোট দিল, ততক্ষনে ভোটারদের মাঝে ক্ষোভ বিস্তার করেছে । আমি যখন বুথে ঢুকলাম
তখন আমার সামনে ৪জন ভোটার, স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ইভিএম মেশিন , পোলিং অফিসার , প্রার্থীর প্রতিনিধি,ভোটের স্হান ।
সামনের ৪র্থ ভোটারের ক্ষেত্রে একই ঘটনা, ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছে না , ছেলেটা আমার পরিচিত এবং একই পাড়ার, ৫/৭ বার চেষ্টা
করা হলো মিলছে না , অতীষ্ট হয়ে পোলিং অফিসারকে বল্লাম আপনি উনার NID দিয়ে চেক করুন এভাবে কতক্ষন চলবে ?
পোলিং অফিসার তাই করল এবার ইভিএম মেশিন ওকে জানাল । পোলিং কর্মকর্তারা সবাইকে ভোট কি ভাবে দিতে হবে বলছে
কিন্ত সাদা বোতামটি টেপার পর কেউই সবুজ বোতাম টিপছে না ফলে ইভিএম মেশিন পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রস্তত হচ্ছে না।
সংগত কারনে পরবর্তী ভোটার ভোটের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিতে পারছে না ।
আমার যখন টার্ম এল, এক সেকেন্ডের মধ্যে প্রাথমিক চেকিং সম্পন্ন করে ভোট দিতে ঘেরাটপে গেলাম,পোলিং অফিসার আশ্চর্য
হয়ে বল্লো এবার তো কোন সমস্যা হলো না।
ইভিএম মেশিনে এবারই আমার প্রথম ভোটিং, কিন্ত কোন সমস্যা বোধ করলাম না , বরং আনন্দ পেলাম ।
সবচেয়ে বড় কথা,কনফার্ম করার পর সবুজ বাতি জ্বলতে দেখলাম এবং সেই সাথে প্রতীক প্রর্দশন করল,
যা নিশ্চত করে যে আমার ভোটটি কোথায় দিয়েছি ।
.......................................কেন্দ্রর ছবি, ইভিএম মেশিন নিয়ে বসে আছেন পোলিং অফিসার।.............................
ইভিএম ডিজিটাল নির্বাচন: আমার পর্যবেক্ষন
* নতুন পদ্ধতির নির্বাচন,অনেক শিক্ষিত লোককে দেখলাম; ভোটিং করতে পারছে না ,
ফলে ভোট প্রদান অনেক ধীরগতি।
* যখন ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছেনা ,তখন আশে পাশে ভোটার বলছিল আগেই ভালো ছিল, যেতাম আর সীল দিয়ে আসতাম ।
অন্য বুথের ভোটারদের টিপ্পনী কিরে এত দেরী কেন ? জাল ভোটার নাকি ?
* সাদা বোতাম চাপ দেবার পর ও সবুজ বোতাম চাপ দেবার পর কনর্ফাম করে এটা অনেকেই বুজেনা, ফলে
ইভিএম মেশিন পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত হয় না, এতে ভোট প্রদান গতি অত্যন্ত ধীর হয়ে পড়ে ।
* ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ,অযথা সময় নষ্ট না করে অন্য একটা বুথে প্রেরন করা যেতে পারে, ঐ বুথ তার সমাধান দিবে ।
অর্থাৎ প্রতি সেন্টারে এমন একটা বুথ থাকতে পারে যা, ট্রাবলশুটিং বুথ নামে কার্যক্রম করবে ।
এতে অন্য ভোটার স্বাভাবিক সময়ে ভোট দিতে পারবে এবং ক্ষোভ সৃষ্টি হবে না ।
* ১০ বৎসর অন্তর অন্তর ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট নবায়ন করে নিলে এধরনের জটিলতা থাকবে না ।
..............................................ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীর প্রতিনিধিবৃন্দ...........................................
ইভিএম ডিজিটাল নির্বাচন: আমার ভোট পর্যালোচনা
# ভোট ভালই হলো, কোথাও কোন গোলমাল দেখলাম না,
# আমার এলাকায় আওয়ামী লীগের ভোটার বেশী তাই বিএনপির কর্মীদের দেখলাম নীরবে কাজ করছে ।
# প্রতি বুথে যথেষ্ট ভোটার সুসৃঙ্খল ভাবে ভোট চলছে, গেট দিয়ে ঢুকার সময় কানে এল ভাই, ভোট দিবেন
নৌকা, লাটিম আর বই , হাসলাম সবই তো একই দলের , তবে মনে হয় আমাদের এলাকায়, বই এর বদলে
গ্লাস জিতবে, কারন দীর্ঘদিন যাবত তিনি এলাকায় কাজ করে আসছেন ।
# ভোট কেন্দ্রর পার্শ্বে নান্না বিরিয়ানী, ধুম বিক্রি, পাতিল পাতিল বিক্রী হতে দেখলাম, মহাউৎসব যেন ,
আমারও গচ্চা গেল সবাইকে ভোট দিতে এনেছি , না খাওয়ালে চলে ?
# আমার প্রেডিকসন : এই উত্তর সিটিতে নৌকা জিতবে, আতিকুল সাহেব তার প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন
বলে আশা রাখি ।
....................................এই সুনসান পথ ধরে ভোট দিয়ে ফিরে আসা ..................................................
..................................................সর্বশেষ আপডেট .....................................................
অন্যদেশে ভোটের চালচিত্র :
অনলাইনে ভোট : এস্তেনিয়া একটি ছোট দেশ , সেখানে ২০১৫ সাল থেকে অনলাইনে ভোট চালু আছে । আপনি যেখানে
থাকুন ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন । মজার ব্যাপার হলো তারপরও মাত্র ৩০% ভোট পরে
অনলাইনে, বাকীরা সরাসরি ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পসন্দ করে ।
ব্রাজিলের ভোট : ১৬ বৎসর হলেই ভোট দিতে পারবে, ভোট দিতে অস্বীকার করলে বড় অন্কের জরিমানা দিতে হবে ।
স্পেস থেকে ভোট : ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইন পাশ করার পর, নাসা স্পেস স্টেশন ,সাবমেরিন,মহাকাশ, ইত্যাদি
সকল স্হান থেকে ২০১৬ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিয়েছে।
অষ্ট্রেলিয়ার ভোট : ১৮ বৎসরের প্রতিটি নাগরিকের ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক । ভোট না দিলে ২০ > ১৮০ পর্যন্ত
জরিমানা ধার্য হতে পারে । পক্ষান্তরে ভ্যাটিকান সিটিতে কোন নারীর ভোট প্রদান নিষিদ্ধ,পাকিস্হানের
গ্রামান্চলে বিভিন্ন চাপে নারী ভোটার কেন্দ্রে যায় না ।
গাম্বিয়ার ভোট : বিগত ৬০ বৎসর যাবত সেখানে ব্যালটের পরিবর্তে মার্বেল দিয়ে ভোট করা হয় ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৮