somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অণুগল্প

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অণুগল্প
কাগজের ফুল
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

লিলিয়া খুবই উচ্চবিলাসী। তার স্বপ্ন বিলগেটস এর স্বপ্নের চেয়ে বড়। পৃথিবীর এমন কোন ভোগবিলাস নেই যা সে স্বপ্ন দেখে না। জীবন মানে ওর কাছে খাও দাও ঘোরাঘুরি আর ফুর্তি করো। লিলিয়ার জীবনের দর্শনটাই হলো ভোগেই প্রকৃত সুখ ত্যাগে কোন সুখ নেই। সুতরাং নগদ যা পাও হাত পেতে নাও। সে ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকেই বড়লোক, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি এবং রাজনীতিবিদদের ছেলেপেলেদের সাথেই বেশি মেলামেশা করেছে। বর্তমান যার সাথে সে লাইফ এনজয় করছে সেটা হলো তার বত্রিশ নম্বর যৌথজীবন। এর আগে একত্রিশ জনের সাথে সে খাও দাও ফুর্তি করেছে। কিন্তু বত্রিশ নম্বরে এসে তার একটু দর্শনের চেঞ্জ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ সে এখন একটি ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে, একটি শিশুর স্বপ্ন দেখে। যা টিপিক্যাল বাঙালি অন্যসব মেয়েই দেখে। লিলিয়া বড়ও হয়েছে একটি উচ্চবিত্ত ব্রোকেন ফ্যামিলিতে। যে ফ্যামিলিতে আদর্শ বলতে ছিল টাকা কামাও আয়েশ করো মরে যাও। লিলিয়ার বর্তমান যে অবস্থা একটা ঘর বাঁধার স্বপ্ন সেটা দেখতে গিয়ে বত্রিশ নাম্বারের কাছ থেকে সে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছে না। কারণ বত্রিশ নম্বর চায় না একটি সন্তান এসে তাদের দুজনের স্বর্গসুখে ব্যাঘাত ঘটাক। বত্রিশ নাম্বারের নাম জনি। অঢেল ধনী ব্যবসায়ির একমাত্র ছেলে। জীবনে যা চেয়েছে সে সবি পেয়েছে। এখন লিলিয়ার সঙ্গে যৌথযাপন করছে। দুজনের আয়েশের অভাব নেই, সুন্দর ফ্ল্যাট নিউ মডেলের গাড়ি, যখন যেখানে যেতে চায় সেখানেই যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। কোন বাধা নেই জীবনে, যাকে বলা যায় উদ্দাম জীবন। জনি ও লিলিয়া যে ফ্ল্যাটে থাকে সেটাকে তুলনা করা যায় শপিং মলের কোন বিখ্যাত শো রুমের সঙ্গে। সুখের এমন কোন অনুষঙ্গ নেই যা ওই ফ্ল্যাটে নেই। কিন্তু লিলিয়ার এখন এ জীবন আর ভালো লাগছে না। ও এখন একটি স্বপ্ন দেখে, একটি শিশু বাগানে খেলছে, লিলিয়াকে আম্মু আম্মু ডাকছে, জনিকে আব্বু আব্বু ডাকছে। প্রজাপতির ওড়াওড়ি দেখছে, হামাগুড়ি দিচ্ছে, হাসছে খেলছে। এবার সে জনিকে ধরেছে, যে করেই হোক একটি সন্তান তাদের চাই। অনেক চেষ্টা করেও তাদের সন্তান হচ্ছে না। দেশের নামী ডাক্তারদের কাছে গিয়েও কোন সমাধান পাচ্ছে না তারা। এজন্য লিলিয়ার এখন মন খারাপ থাকে সবসময়। সন্তান চাওয়ার পর থেকে জনি এখন লিলিয়া ছাড়াও অন্য নারীর সঙ্গ উপভোগ করে। একধরণের উপেক্ষাই করে লিলিয়াকে। সারাদিন ঘরে বসে থাকতে থাকতে থাকতে লিলিয়ার নিজেকে মনে হয় সে একটি সুন্দর কাগজের ফুল। দেখতে সুন্দর আর্টিফিসিয়াল গন্ধ সবই আছে, কিন্তু সজীব ও জীবন্ত নয়। লিলিয়া এখন এই জীবন লইয়া কি করিবে........???
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×