আচ্ছা, তোর কি কখনো এমন হয়েছে, গল্পের বই পড়তে গিয়ে হঠাৎ খুঁজে পেয়েছিস দু'একটা অশরীরি পৃষ্ঠা?অথবা একটা গোটা গল্পই?
কখনো কুকুরের হৃৎপিন্ড দেখেছিস?না দেখলে বাদ দে।খুঁজতে লেগে জাস্ না।খুঁজে সবকিছু পাওয়া যায় না।আমিও বুঝলি,সেদিন রাতে খামোকাই;ঘুম আসছিলো না দেখে বারান্দার ঠান্ডা গরাদগুলো দেখছি,একটা কুকুর হঠাৎ কোথ্থেকে য্যানো,শোনা যায় কি যায় না-কাঁদছিলো।সেই কান্না শুনতে শুনতে চোখটা একটু লেগে এসেছ-পরিষ্কার দেখতে পেলাম একটা ভিষণ মাংশপিন্ড;দপ-দপ,দপ-দপ,বিস্ফোরণ্মুখ য্যানো,পৃথিবীর সবগুলো মানুষের প্রতি অপার অভিমান জমিয়ে জমিয়ে ক্লান্ত,বিদ্ধস্ত, বেপরোয়া একটা হৃদয়,একটা অভুক্ত,আধপোড়া শরীরের ভেতর অসহায়।
কুকুরটা আমাকে টের পেলো কি না কে জানে,চোখ মেলে দেখি ত্রস্তপায়ে চলে যাচ্ছে।আমার সহানুভূতির প্রয়োজন নেই ওর;হয়তো গভীর আত্মভিমানে ব্যাঙ্গই করে গ্যালো।
সেই থেকে বুঝলি,আমার ভেতর একদলা সবুজ অন্ধকার।সেখান থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে বরফের মতো শীতল আত্মগ্লানি।অসহ্য ওজন নিয়ে আমি দিনভর ছটফট ছটফট।
সাবধানে থাকিস।একটা মানুষ কে ধ্বসিয়ে দিতে একটা রাস্তার কুকুরই যথেষ্ঠ।
-তোর অপরাজিতা।