somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা যদি প্রথম থেকেই জানতাম কে এই নেয়ামতদাতা!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কনস্ট্রাকশন সাইটে বড় একটি বিল্ডিংয়ের সামনে কাজ করছে আব্দুল্লাহ। বিচিত্র ধরনের শব্দের উত্স তার চারদিকে।

বিল্ডিংয়ের পাঁচ তলায় আব্দুল্লাহর সুপারভাইজার দাঁড়ানো। কিছুক্ষণ নিবিষ্ট মনে আব্দুল্লাহর কাজ দেখলেন তিনি। বেশ পরিশ্রম করছে আব্দুল্লাহ।

কি মনে করে পকেট থেকে এক টাকার একটি কয়েন বের করলেন সুপারভাইজার ভদ্রলোক, পরক্ষনেই ওপর থেকে ছুঁড়ে মারলেন কয়েনটি আব্দুল্লাহর দিকে।

নির্ভুল নিশানা, আব্দুল্লাহর ঠিক সামনে পড়ল কয়েন।আশেপাশে দু'/তিনবার তাকালো সে। কয়েনটি কোথা থেকে এলো-- ঠিক বুঝে উঠতে পারল না। কিছুটা অবাক হলেও কয়েনটি কুড়িয়ে নিয়ে পকেটে রাখল আব্দুল্লাহ।

কিছুক্ষণ পরে একটু দুই টাকার কয়েন পেল আব্দুল্লাহ। আরো কিছুক্ষণ পরে পাঁচ টাকার কয়েন। সবগুলো কয়েন আব্দুল্লাহর পকেটে আশ্রয় পেল।

এদিকে সুপারভাইজার আশা করছিলেন, কয়েন পেয়ে আব্দুল্লাহ একটু খুঁজে ঠিক ঠিক বের করতে পারবে কে ওপর থেকে কয়েন ফেলছিলেন। ওপরের দিকে তাকালেই আব্দুল্লাহর সাথে জরুরি কিছু কথা বলতেন তিনি।

এক টাকার, দুই টাকার এবং পাঁচ টাকার কয়েন দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পেরে সুপারভাইজার ভদ্রলোক একটি ছোট ইটের টুকরো খুঁজে নিলেন। এবার ওপর থেকে কয়েনের বদলে ছোট টুকরোটি মারলেন তিনি। ইটের টুকরো গিয়ে পড়ল ঠিক আব্দুল্লাহর মাথায়।
আব্দুল্লাহ এবার আশেপাশের সাথে ওপরের দিকেও তাকালো। তাকিয়ে দেখল তার সুপারভাইজার দাঁড়িয়ে আছেন।

"সুপারভাইজার সাহেব বোধহয় কিছু বলতে চাইছেন আমাকে"-- আব্দুল্লাহ ভাবলো। আব্দুল্লাহ সুপারভাইজার সাহেবের সাথে কথা বলা শুরু করলো।

উপরের গল্পটির সাথে আমাদের জীবনের ভয়ংকর মিল কি খুঁজে পেয়েছেন?

সৃষ্টিকর্তা প্রতিনিয়ত আমাদের বিভিন্ন নেয়ামত দিয়েই যাচ্ছেন, দিয়েই যাচ্ছেন। আমরা সেগুলো ঠিক ঠিক ভোগ করছি। কিন্তু একটু ভেবে কিংবা খুঁজে এই নেয়ামত্গুলোর উত্স আমরা খুঁজে দেখবার প্রয়োজন বোধ করিনা, নেয়ামতদাতার শোকরও করা হয় না। গল্পের আব্দুল্লাহর মতো আমরা ভাবি-- এই নেয়ামত বোধহয় আমার প্রাপ্যই ছিল।

তারপর হঠাত করেই ছোট একটি ইটের টুকরো এসে আঘাত করে আমাদের মাথায়। আমরা এই ইটের টুকরোকে তখন "বিপদ" নাম দেই। আমরা দ্রুত "বিপদ" নামের এই ইটের টুকরো প্রেরণকারী খুঁজতে থাকি। একসময় বুঝতে পারি, পরম করুণাময়ই "বিপদ" দিয়েছেন। তখন সব ভুলে গিয়ে, যে কোন উপায়ে তাঁর সাথে যোগাযোগের দিকে মনে দেই; তাঁকে ডাকতে থাকি!

আফসোস! আমরা যদি প্রথম থেকেই জানতাম কে এই নেয়ামতদাতা!
কিছুটা হলেও কৃতজ্ঞতা জানাতে পারতাম তাঁকে।

পাদটিকা:
এই আর্টিকেলটি আজকে একটি ই-মেইলে পেয়েছিলাম পরে খুব ভালো লাগলো। ইংরেজিতে ছিল, বাংলায় রূপান্তর করে শেয়ার করার ইচ্ছে করলো খুব।
আমার "ভয়ংকর টাইপের" অনুবাদের জন্য অতিশয় লজ্জিত।
#JavedKaisar
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×