সেই মুহুর্তটা, ঊষা ছিলো নাকি উষ্ণ ছিলো,
কেউ জানতে চায়নি তবু পাখনা মেলেছিলো চড়ুই,
পথের ভিড়ে ডানা মেলেছিলো কতো শঙ্খ,
বাজিয়েছিলো শাখ, সাজের মায়া, তবু নিঃশব্দ
এই তো সেদিন, পাহাড়ি পথ বেয়ে, ক্লান্তি গুলোকে আটি বেধে মাথায় তুলে হেটে চলেছিলো যুবক, তার চোখে ছিলো ঈগল হবার বাসনা, মনে ছিলো রং তুলি, পদব্রজে ছিলো নাম না জানা কতো কতো শৃঙ্খল, তবু পথ চলা থেমে যায়নি, কখনো বা থমকে গিয়েছে, কখনো পথ হারিয়েছে। ওগো স্বপ্নে এসেছিলে ভৈরবী হয়ে, ভ্রম কিংবা আলো হয়ে। সে যুবক অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। আলেয়ারো যে মায়া ছিলো, স্পর্শ ছিলো অধরা।
রক্ত জুড়ানো গোলাপের পাপড়ি গুলো, দুমরে মরে,
আর অন্ধ কোণে কেদে গুমরে উঠা স্বপ্ন গুলো,
প্রচন্ড মহাপ্রলয়ের মতো আছড়ে পড়ে লবণাক্ত জল,
আক্রোশগুলোও অসহায় হয়ে পড়ে থাকে নীরব নিথর।
ঈশপ সামনে বসে গল্প শুনিয়ে চলেন, আর মুচকি হেসে চলে অবাধ্য ছেলেটাও, একসময় দৌড়ে পালায়, মুখে তার অভিসম্পাত, আজ বউ বুঝি দেয়নিকো ভাত, সমান্তরালে হেটে চলা চাঁদটাও রুপোলী আলোর ঢাকনী শুদ্ধু উপর করে ঢেলে দেয় অপাত্রে, বনে জঙ্গলে কেই বা দেখবে চাঁদের রুপ, যুবক আজ অন্ধ হয়ে ভাবে, আজ থেকে তার চাঁদ কল্পনায় আরো বেশি আলো বিলাবে, আরো বেশি হবে তার রুপ, শপথে উঠে আসে প্রাবল্য স্বরূপ, "চাঁদ তোমায় ভুলেই গেলাম"।
নিন্মবিত্ত প্রকল্প হাতে নিয়ে এথেন্সের কুমারীর আর্জি
আমারে একটা প্রাসাদ বানিয়ে দিবা, সবটা কাঁটার,
গাইতি নিয়ে পাথরের উপরে উঠে চলে কাঠঠোকরা,
শব্দ, প্রচন্ড শব্দে হারিয়ে যায় জাগতিক আওয়াজ,
সদ্য বিধবা সাধ্বী নারী অগ্নিতে জ্বলতে জ্বলতে ভাবনার আগেই প্রচন্ড দাহে বিসর্জন দেয় স্বামী, আর তখন উত্তর মেরুর কোনো এক বাসিন্দা ভাবে হায় শুনেছি কিছু কিছু মানুষ উচ্চাভিলাষী, জীবন বিলোয় আগুন চুলোয়। সে মেরুর বরফ গহীনেও থাকে নীল তিমি, অক্টোপাস কিংবা অন্য কোনো নাম না জানা জীবন চক্র, চক্রাকারে ঘুরতে থাকা নাগর দোলায় বসে হয়তো কেউ কেউ ভেবেই পায় না, চক্র হয়েছে পুর্ন আজ। সাঙ্গ হলো সবই।
দেশান্তরী পদার্থেরও দেশের মায়া আছে,
কাদা মাটির দেবী দুর্গা ঐ ঠাণ্ডায় জমেই যাবে,
আর মরুর বালুতে পা রাখলে পুড়ে ছাই,
তবু দেশ কাল সঙ্গ ভুলে অজানায় আত্মাহুতি দেয় প্রার্থনা,
গলি ঘুপচি ঘুরে ঘুরে খুঁজে ফেরা ডাহুক নয়নের মায়া ফেলে হেটে চলা যুবক ফিরে পায় দৃষ্টি, সে চোখে বার্ধক্য নেই, সেই শুরুর কোনো এক পথিকের রেখে যাওয়া পথ অথবা কতশত পথিক হয়তো কিছু আগেই আরো একজন অথবা অন্য কেউ, অন্য পথিক, সে পথ বেয়ে উঠে পড়ে অজানা গন্তব্যে, দূরে ঐ দেখা যায় হাতছানি দিয়ে তারে ডাকে রাতের প্রজাপতি, নিঃশব্দে, নিঃসঙ্কোচে, নিরিবিলি। এ রাত নাহয় নির্ঘুম কাটুক।
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প
তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?
এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন