ড. মুহাম্মদ ইউনুস কে গ্রামীন ব্যাংকের এম ডি পদ থেকে সরকার অব্যহতি দেবার পর সংবাদ পত্র গুলোতে দেখছি বিশাল শিরোনামে গ্রামীন ব্যাংকের শোষনের খবর ছাপা হচ্ছে।
ঠিকই আছে, ছাপা হবার মতো সংবাদ অবশ্যই কিন্তু এসময় এরকম বিশাল শিরোনামে ছাপা হবার কারন কি? এরকম শোষন তো গ্রামীন সহ অন্যান্য এন.জি.ও গুলো সারা বছর করে আসছে এবং তা সব সরকারের আমলে স্হানীয় প্রশাসনের নাকে ডগার সামনে, কই সেসব খবর তো খবরের কাগজের কোনায়ও স্হান পায় না। আর,সমস্যা তো গ্রামীন ব্যাংককে নিয়ে না সমস্যা তো ড. ইউনুস কে নিয়ে এখানে গ্রামীন ব্যাংককে নিয়ে টানাটানি কেনো?
এবার আসি ড. ইউনুস প্রসঙ্গে। লোক হিসেবে তিনি খুব খারাপ না হলেও খুব ভালো বলতে পারি না। কারন তিনি আমাদের দেশের তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাদের মতো নিজের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাহলে তাদের সাথে ড. ইউনুসের পার্থক্য কোথায়?
এবার আসি ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, যিনি শুধু একজন ভালো লেখক নন একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞানীও বটে, যিনি লাখো তরুনের মডেল, তিনি আওয়ামী ঘেষা হয়েও যে ড. ইউনুস ইস্যুতে মুখ খুলেছেন এতে আমি যারপরনাই অবাক হলাম।
আমাদের লাখো তরুনরা যারা আউট সোর্সিং করেন তাদের বাংলাদেশে পেপ্যালের সুবিধা না থাকাতে বেশি ডলার ফি দিয়ে টাকা দেশে আনতে হচ্ছে, যে পেপ্যাল সুবিধাটি কেবল মাত্র সরকারের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের একটু সদিচ্ছার জন্য ঝুলে আছে, কই ড. ইকবাল তো সে বিষয়ে কোনো কথা বলেন না.... হায়রে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
এই ড. ইউনুসই বি.এন.পি সরকারে আমলে সবচেয়ে সম্মনিত হবেন হয়তবা কিছু দিন পরে দেখা যাবে আওয়ামী মন্ত্রীও হয়ে যেতে পারেন, এই ড. ইকবালই দেখা যাবে আরও জনপ্রিয় হয়ে যাবেন তার কেনো লেখা দিয়ে অথবা নতুন কোনো থিউরি আবিস্কার করে। কিন্তু আমাদের দেশের জনগনের ভাগ্য যেমন আছে তেমনই ছিলো এবং থাকবে, অথচ তাদের একটু সদিচ্ছা অথবা এটা কথায় সরকার মনোযোগ দিতেন, বিশ্ববাসী মনোযোগ দিত, কিন্তু তা তারা করবেন না । সবকটা হিপোক্রেট .....
তাই আমি মনে করি আমরা সাধারন জনগন এরমধ্যে না জড়াই, এটা ড. ইউনুস-সরকার-সাংবাদিকদের খেলা। তাদেরই খেলতে দেই না .... থাকি শুধু দর্শক হয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৪২