somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনসঙ্গী বেছে নেয়া নির্ভর করে তোমার বুদ্ধিমত্তার উপর...

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


Lets see the way to recognize your true love . . . .

প্রেমিক শুধু প্রেমিকাকে চায় আর কিছুই চায় না। প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক করার আগে প্রমিকের আর কোন ডিমান্ড থাকে না। অথবা বিয়ের আগে ছেলে মেয়েকে রাজি করায় এই বলে যে, আমার আর কিছু লাগবে না আমি শুধু তোমাকে চাই। প্রেমিকের কোন চাওয়াই থাকে না, সে শুধু মেয়েটার সাথে থাকতে চায়, সারাজীবন সুখে রাখতে চায়, কোনদিন কষ্ট দিবে না, তার মুখের দিকে তাকিয়ে সারাজীবন পাড় করে দিবে, তার হাতটা ধরে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিবে ব্লা ব্লা ব্লা।



মেয়েরা স্বপ্ন বিলাসী, সুখের জন্য পাগল তাই আগপিছ না ভেবেই, কোন বিশ্লষণে না যেয়েই ছেলের দেখানো এসব স্বপ্নে বিশ্বাস করে। কিন্তু এসব কথা বিশ্বাস করা সম্পূর্ণ বোকামি। তার মানে এই না যে আমি ছেলেটাকে মিথ্যুক, ভন্ড বলছি। ছেলেটার আবেগ থেকেই এসব কথা বলছে কিন্তু তা কোনদিন পৃথিবীর কোন ছেলের পক্ষে মানা বা পূরণ করা সম্ভব না। কারন প্রত্যেক মানুষের অপর মানুষের কাছে কিছু চাওয়া থাকবেই। একজনের চাওয়া আজীবন পূরণ করা সম্ভব না।



ছেলেটার এসব কথা বিশ্বাস করে ছেলে এবং মেয়েটার মধ্যে সম্পর্ক অথবা বিয়ে হল। সেই সম্পর্ক অথবা বিয়ের একটা নির্দিষ্ট সময় পর স্বাভাবিক ভাবেই ছেলে অথবা মেয়ের আবেগে একটু ভাটা পড়ে। কারন কোন জিনিস পাওয়ার আগে তার প্রতি যে দূর্বার আকর্ষণ থাকে সেই জিনিসটা হাতে পাওয়ার পর আস্তে আস্তে আকর্ষণটা কমে যায়। তেমনি প্রেমের অথবা বিয়ের সম্পর্কে কিছুদিন যাওয়ার পর আবেগ কমে এবং তারা বাস্তববাদী হতে শিখে। নিজের চাওয়া, অধিকার এসব আদায় করতে শেখে। মানুষ হলে চাহিদা থাকবেই। তখন সেই মেয়েটা যদি স্বপ্নবিলাসী হয়ে থাকে তবে তার সম্পর্কের আগে ছেলের ওয়াদার সাথে সামঞ্জস্য খুঁজতে থাকে। যখন দেখে সামান্য গড়মিল তখন তার মনের ভিতর উলট পালট শুরু হয়। এভাবেই অনেক প্রেমের সম্পর্ক অথবা বিয়ের সম্পর্কের অবসান ঘটে। তবে মেয়ে যদি বাস্তববাদী হয় তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। ছেলে যদি উত্তম স্বভাবের হয় তাহলে সে তার সম্পর্কের আগের আবেগের সাথে বর্তমানের মিল খুঁজে পায় না। সে ভাবে আমি তো মানুষ আমারো চাহিদা আছে, স্বাধীনতা আছে তাহলে কেন শুধু অন্যের আবদার মিটিয়ে চলা? পরক্ষণেই সে ভাবে তার ভালবাসার কথা, তার দেওয়া ওয়াদার কথা। তখন সে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরকম ছেলের সংখ্যা ৫-১০%। আর যে ছেলে উত্তম চরিত্রের অধিকারী না সে শুধু তার স্বার্থ খুঁজে, তার দেওয়া ওয়াদা ভুলে যায় এবং পশুর চরিত্র ধারন করে।



অপরদিকে যে ছেলে প্রেমের সম্পর্কের আগে বা বিয়ের আগে বাস্তববাদী থাকে তার কিন্তু ভালবাসা বা আবেগ কম না। বরং সে তার ভালবাসা আবেগ জোর করে দমিয়ে রেখে ইচ্ছা করে বাস্তববাদী থাকতে চায়। তার ভালবাসার মানুষটিকে তার ভালবাসা বুঝাতে চায়। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই এসব বাস্তবাদী ছেলে ব্যর্থ হয়। কারন সে আবেগ ঢালতে পারে না বা চায় না। সে জানে সম্পর্কের অথবা বিয়ের পরের সময়টা কিভাবে কাটাতে হবে, কি কি প্রতিকূলটার মুখোমুখি হতে হবে। সে সম্পর্কটাকে ঢেলে সাজাতে চায়, সুখি হতে চায়, মিথ্যা আশ্বাস দেয় না। সে জানে সর্ম্কের দায়িত্ব কতটুকু এবং পরিবার সমাজ তার সম্পর্ক থেকে কি পাবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এরকম ছেলেরা সবসময় ব্যর্থ হয় প্রিয় মানুষকে তার অবস্থান বুঝাতে। ভেতরে ভেতরে পুঁড়ে মরে। এসব ছেলে জীবনের প্রথম অংশে ব্যর্থ হয় প্রিয় মানুষকে নিজের করে নিতে কিন্তু তাদের জীবনে যে আসে শুধু সে জানে যে সে কত ভাগ্যবতী। এরকম ছেলের কাছে সম্পর্ক একটা শিল্পের মত। তারা পরিকল্পনা সাজায় প্রতি মূহুর্তে সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখতে। ভালবাসা কি, কিভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, যত্ন করতে হয় সেটা বাস্তববাদী ছেলেই ভাল জানে। তাই সম্পর্ক করার আগে মিথ্যার ফুলঝুঁড়ি দিয়ে মেয়েকে ভাসায় না বরং মেয়ের প্রতি চরম ভালবাসাটাকে লুকিয়ে রেখে চেষ্টা করে মেয়েটিকে বাস্তববাদী বানাতে এবং নানারকম কন্ডিশন দেয়। কিন্তু হায়, সেই মেয়েই এই ছেলেকে ত্যাগ করে অন্য একটা আবেগী ছেলের হাত ধরে। কারন এত্ত কন্ডিশন বাধ্যবাধকতা মানা তার পক্ষে সম্ভব না এর চেয়ে ভাল তার পিছনে অন্য যে ছেলেরা ঘুরে তাদের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেওয়া কারন তাদের কোন কন্ডিশন নাই আছে শুধু পাগলের মত ভালবাসা। তবে সৃষ্টিকর্তা সবসময় সবাইকে উত্তম প্রতিদান দেয় যার ফলস্বরূপ বাস্তববাদী ছেলেটা জীবনে সুখি হয় এবং স্বপ্নবিলাসী মেয়েটা তার বেছে নেয়া করা আবেগী ছেলেকে নিয়ে সুখী হতে পারে না।



আমার জীবনে আশেপাশে, সমাজে, পরিবারে এরকম অনেক ঘটনা দেখতেছি। তাই নিজের মত করে বিশ্লেষণ করলাম। আপসোস সেইসব মেয়ের প্রতি যারা বাস্তববাদী, বিচক্ষণ ছেলেদের ত্যাগ করে স্বপ্নবিলাসী, আবেগী ছেলেদের হাত ধরে। পরিণতি শুধু একটাই এসব মেয়েরা সুখী হতে পারে না। এমিটেশন স্বর্ণের চেয়ে বেশি চকচক করে কিন্তু স্বর্ণের রং স্থায়ী হয়।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×