তুমি নিজের সাথে আর পেরে উঠছো না। বার বার পরাজিত হচ্ছো নিজের কাছে নিজেই। কিন্তু কি আর করার আছে? বড়জোর নিজের একমাত্র সেলফোনটা চুরমার করবা। ব্লেড দিয়ে নিজের হাতে রক্তিম আল্পনা আঁকবা। অথবা সার্বক্ষণিক তোমার সাথী যে চশমা, যা ছাড়া তোমার পৃথিবী ঘোলাময় সেই চশমাটা খুলে মুষ্টিবদ্ধ করে টুকরা টুকরা করবা।
তোমার কলিজা বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে শেয়ার করে ফেলেছ, অনেকটা দ্বিখন্ডিত কলিজার মত। অর্ধেক কলিজা নিয়ে চলা অসম্ভব, যেখানে মানুষের কলিজায় সামান্য ছিদ্র থাকলেই বাঁচতে পারে না। সে তোমার সাথে থেকেই তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে এই ভরসায় তার কাছে দ্বিখন্ডিত কলিজার একটা অংশ দিয়েছ। যার কাছে তোমার অর্ধেক কলিজার মালিকানা সে যদি কলিজার অযত্ন করে কেমন লাগবে? নিজের কাছে নিজেকে পরাজিত মনে হবে তাইতো? কিছুই করতে পারবা না, যদি কিছু কর তাহলে সে তোমার কলিজাকে সূঁচ দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কলিজার দফারফা করে ফেলবে।
অনেকে এই আঘাত সহ্য না করতে পেরে নির্বোধের মত আত্নহত্যা করে। অপরদিকে একজন মুসলমান আত্নহত্যা করলে অনন্ত জীবন জাহান্নামে কাটাতে হবে এই ধর্মীয় দিক থেকে চিন্তা করে বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকাই শ্রেয়। কিন্তু তোমার মনে তো শান্তি নাই কি করবা? খুন করবা তোমার অর্ধেক কলিজার মালিককে? হ্যা করতে পার খুন, শান্তির জন্য দুই একটা খুন ব্যাপার না।
তুমি খুব আত্নমর্যাদাশীল ব্যক্তি, যত যাই হোক কারো কাছে ছোট হও না। কিন্তু তোমার তো বাঁচতে হবে, সবকিছুর পূর্বশর্ত শান্তি চাও তুমি। তাই বেহায়ার মত তার কাছে ছুটে যাও বারবার। কাকুতি মিনতি করে তারে বুঝাও যাতে তোমার কথা শুনে, একটু শান্তি দেয় তোমাকে। কিন্তু সে তো বাংলা সিনেমার মিশা সওদাগর/রিনা খান তাই তার মন গলাতে পারলা না। তাহলে কি করা উচিত এখন?
বাসায় চিনি আছে? লবণ আছে? বিশুদ্ধ পানি আছে? তাহলে এখনো বসে আছ কেন? গ্লাস ভইরা পানি লও, পানিতে দুই চা চামচ চিনি অথবা গুড় দেও, দুই চিমটি লবণ দেও, বুইত্তামারা(বড়) একটা চামচ দিয়া লাইড়া চাইড়া ভইরা দেও। উহু ওরে ভরতে বলি নাই, তোমার পেটে ভরে দেও অর্থাৎ খেয়ে ফেলো। :p