একটা মেয়ে যখন খেলাধুলা ছেড়ে ওড়না ব্যবহার করতে শিখে তখন তার কোন খেলার সাথী তাকে ভালবাসার আহবান জানায়। খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো ভাইয়েরা তো আছেই। পাশের বাসার ছেলেটা, স্কুলের ছেলেটা কেউ বাদ যায় না। সমবয়সী ছেলেদের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচিউর হয় প্রতিটা মেয়ে। স্বভাবগতভাবে ভালবাসার সত্যিকারের অনুভূতিটা ছোটবেলাতেই তাদের মাঝে ধরা দেয়। সে ওই অনুভূতির সাথে চারপাশ থেকে আসা ভালবাসার আহবানগুলা মিলাতে থাকে। যেহেতু কাছের মানুষগুলা তারে চায় সেহেতু মেয়েটা যথেষ্ট কাছ থেকে তাদের পরখ করার সুযোগ পায় এবং করে। মিলিয়ে দেখে নাতো এসব তো আমার অনুভূতির সাথে খাপ খাচ্ছেনা।
.
.
মায়েরা মেয়েদের গলায় ওড়না তুলে দেয়ার সাথে সাথে তার শরীর সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারণা দেয়। কিভাবে নিজের শরীরকে বাঁচিয়ে চলতে হবে তাও বলে দেয়। একটা সময় অনেক মেয়ের ধারণা হয় সবাই তার শরীর চাচ্ছে অথবা প্রেমের উষ্ণতা চাচ্ছে। হোক ছেলেটা ভাল অথবা মন্দ, সবার অজুহাতটা থাকে ভালবাসার। সবসময় যে এসব ভালবাসার আহবান মিথ্যা থাকে তা না। তবে সিংহভাগই মিথ্যা থাকে। তখন অনেকে মেয়েবেলাতেই ভালাবাসার পাত্রে পাত্রস্থ হয়।
.
.
সবসময় তো আশেপাশের রাজ্য থেকে চেনাজানা রাজপুত্র আসে না। দূর দেশের কোন রাজ্য থেকে অচেনা কোন রাজপুত্র ভালবাসার ডালা সাজিয়ে নিয়ে আসে একটা সময়। তখন মেয়েটা ভাবে আমাকে তো কতজনই ভালবাসলো, ভালবাসে, ভালবাসবে। এ আর নতুন কি! ছেলেটাকে তখন বিশ্বাসের পার্শ্ববর্তী অবিশ্বাসের সাগরে ফেলে দেয়া হয়। ছেলেটা সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকে, সমস্ত চেষ্টা দিয়ে তীরে আসার চেষ্টা করে। তীরে আসতে হবে। পাশের বিশ্বাসের সাগরে ঝাঁপ দিতে হবে। চেষ্টা চলতেই থাকে, চলতেই থাকে।
.
.
ব্যর্থ হলে আমরা মেয়েটাকে ভাবওয়ালী, অহংকারী ট্যাগ দেই। কিন্তু একটু অন্যভাবে চিন্তা করলেই হয়। একটা মেয়ে কৈশোরে পা দেয়ার পর থেকে এসব দেখে আসতেছে। লোকজন তাকে ভালবাসে, শুধুই ভালবাসে। আবার আশেপাশের প্রতারণার শিকার মেয়েগুলাও উদাহরণ হিসেবে তার জন্য যথেষ্ট। সে হঠাৎ কিভাবে একজনকে বিশ্বাস করবে?
.
.
তুমি কোন মেয়েকে সত্যিই পাগলের মত ভালবাসতে পারো। তাকে বুঝানোর চেষ্টা কর তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী। যখন আর শক্তিতে কুলোবে না তখন তুমি ব্যর্থ হয়ে কলিজায় ক্ষত নিয়ে ফিরে আসবে। কিন্তু অপবাদ দিওনা মেয়েটাকে, অহংকারী বলনা। সে পারত তোমাকে নিয়ে খেলতে, তা করে নাই। অতএব তুমি যথেষ্ট ভাগ্যবান। মেয়েদের সাইকোলজি বুঝার চেষ্টা কর তাহলে চিরসুখী হতে পারবে। কারন জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তোমাকে কোন না কোন মেয়ের ছায়াতলে থাকতেই হবে। মেয়েদের বুঝার চেষ্টা কর, চেষ্টা করতেই থাকো..