যারা যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ট্রাইব্যুনাল নিয়ে সন্দিহান, তারা এতদিন বলে আসছে -- প্রথমে যদি গোলাম আযমের বিচার হত, তাহলে কারও কোন কথা বলার উপায় থাকত না। এত যে গণ্ডগোল হচ্ছে, সেটাও এতটুকু বিস্তার করতে পারত না। এমনকি জামাআত-শিবিরের রাজনীতি দ্বারা যারা প্রভাবিত, তারাও এই কথাটাই বলত। শুধু যে তারা বলত, তাই নয়। আমিও বলি, আমার মত প্রায় সবাই এই কথাটাই বলে।
একথা বলবেই বা না কেন! গোলাম আযম হচ্ছে এমন একজন-- যে কিনা স্বঘোষিত রাজাকার। বাংলাদেশে যদি একজন যুদ্ধাপরাধীও থাকে, সবাই নির্দ্বিধায় বলবে -- সেটা হচ্ছে গোলাম আযম। বাকি অন্য কারও যুদ্ধাপরাধী হওয়া নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে, গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তো কারও সন্দেহ নেই। তাহলে এখন যখন গোলাম আযমের রায় দিবে, তখন জামাআত-শিবিরের মাথায় হঠাৎ ক্যারা উঠলো কেন?
জামাআত-শিবির বাদে বাকি সবাই না হয় সাধারণ চিন্তা করে এসব কথা বলত। কিন্তু যারা এদের রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত, তারা তো এই কথা বিশ্বাস করে বলত। এখন আমি তাদেরকে প্রশ্ন করছি-- এখন আপনারা কি বলবেন? এই তাহলে মতাদর্শ?
আপনারা কাদের মোল্লাকে নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, সাঈদীকে নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। গোলাম আযমকে নিয়েও কি আপনাদের কনফিউশন আছে?
আগামীকাল দিবে রায়, আর এখনই গণ্ডগোল বাঁধা শুরু হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ২-৩টা বোমার আওয়াজ পেলাম। বিকালে পল্টনের ওদিক দিয়ে আসার সময় খানিকটা ঝামেলা যে বেঁধেছিল, সেটার আভাস পেলাম। তাহলে কালকে কি অবস্থা হবে? আবারও সেই আগের মত মারামারি, ভাঙচুর এবং ........ ।
তাই যারা এরকম প্রভাবিত, যারা এদের সাথে জড়িত, তাদেরকে বলি কি--- এখনও সময় আছে। এভাবে কোন কিছুর অন্ধ সাপোর্টার হয়ে নিজের জীবনটাকে নষ্ট কইরেন না। এভাবে ভুল বুঝে জীবন পার করে দিলে কারও ক্ষতি হবেনা, ক্ষতি যা হবার, সেটা আপনাদেরই হবে।