somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তাজুল ইসলাম মুন্না
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ালেখা করছি। পাশাপাশি অনলাইন জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে। ব্লগে ফেরার ইচ্ছা বহুদিনের। একদিন হয়তো হুট করে আবারও রেগুলার হয়ে যাবো।

রস+আলো (১৪ জানুয়ারী, ২০০৮)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন থেকে রস+আলো সামহোয়ার ইন ব্লগে পর্ব করে পোস্ট করব। ব্লগে বিশেষ করে রসিক গ্রুপে রসের অভাব পূরণেই এই উদ্যোগ নিলাম। সবাইকে ধন্যবাদ। আজকে দিচ্ছি ১৪ জানুয়ারী, ২০০৮ এর রস+আলো। কনভার্ট করতে ব্যবহার করা হয়েছে এই কনভার্টার।

পাঁচ উইকেটের পতন

Click This Link

পুরোনো বিবাহিত বনাম সদ্য বিবাহিত

Click This Link

আলোচন
আপনার নিজের নামটা কি আপনার পছন্দ?

আপনার নিজের নামটা কি আপনার পছন্দ? আপনাকে নিজের নাম নিজে রাখতে দেওয়া হলে কী রাখতেন? আর সেই নামের সঙ্গে মিলিয়ে অন্য দুই ভাইয়ের নাম রাখুন।
এখন আপনার বড় ভাইয়ের নাম হুমায়ুন আহমেদ। আপনাদের দুই ভাইয়ের নামের সঙ্গে তাঁর নামের মিল নেই। মিল দিয়ে দুটো নাম রাখুন তো, আপনার আর আহসান হাবীব ভাইয়ের।

সত্যি কথা বলতে কী এ রকম একটা প্রশ্ন করা যায়, সেটাই আমার মাথায় আসেনি−প্রশ্নটা অনেকটা এ রকম, আপনার নাকটা কি আপনার পছন্দ? কিংবা -আপনার হাতের আঙ্গুলগুলো কি আপনার পছন্দ? পছন্দ হোক আর নাই হোক, এটা নিয়েই যেহেতু থাকতে হবে, শুধু শুধু এই প্রশ্ন করে লাভ আছে? (তবে প্রশ্ন করার পর চিন্তা করে মনে হলো যে নামটার ওপর মায়া পড়ে গেছে!)
আমাকে নিজের নাম রাখতে দেওয়া সম্ভবত ঠিক হবে না। কারণ আমি একেবারেই ভালো নাম রাখতে পারি না−আমার বইয়ে বিজ্ঞানীর নাম সফদর আলী, চরিত্রের নাম টুকি ঝা এবং বাচ্চা-কাচ্চার নাম নাটবল্টু। আরও বিপজ্জনক হবে যদি আমি নিজের নাম রেখে ফেলি সায়েন্স ফিকশন টাইপের−যেমন ধরা যাক, কিউ এক্স এক্স ৭২২! (তাহলে অবশ্য অন্য ভাইদের নাম রাখার প্রক্রিয়াটা সহজ হয়ে যায়−একজন কিউ এক্স এক্স ৭২৩, আরেকজন কিউ এক্স এক্স ৭২৪!)
হু-মা-য়ুন আহমেদ।
হু-খালা-য়ুন আহমেদ।
হু-ফুফু-য়ুন আহমেদ।

ববিতা, শাবানা ও কবরী−তিনজনের মধ্যে আপনার প্রিয় কে? কেন?
রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনের মধ্যে কে প্রিয়?

গ্রেটা গার্বো, অড্রে হেপবার্ন আর ইনগ্রিড বার্গম্যানের ভেতর কে প্রিয় জিজ্ঞেস করেননি সে জন্যই অনেক ধন্যবাদ। (ববিতা, শাবানা ও কবরী তিনজনই আমার প্রিয়। রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনও!)

লোকে কি আপনাকে সিনেমার নায়ক জাফর ইকবালের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছিল! এই নিয়ে কোনো মজার ঘটনা?

এই দেশে মেলায়নি। তবে আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, তখন আমার নাম শুনে অনেকেই মুচকি হেসেছে!
যখন আমেরিকায় ছিলাম তখন একজন বাংলাদেশ থেকে এসেছে, এসে খবর পেয়েছে -জাফর ইকবাল- এই শহরে আছে। নায়ক জাফর ইকবাল মনে করে সে পাগলের মতো আমাদের বাসায় ছুটে এসেছিল! নায়ক জাফর ইকবালের জায়গায় আমাকে দেখে তার এত আশাভঙ্গ হয়েছিল যে আমার এখনো তার জন্য মায়া হয়! বেচারা আমার ওপরেই রেগে উঠেছিল, যেন আমিই তাকে ঠকিয়ে দিয়েছি।

আপনি কি ভুলোমনা! ইয়াসমিন হকের কাছে শুনে আপনার ভুলোমনের ঘটনা থেকে দুই-একটা!

আমি মোটেও ভুলোমনা নই। হ্যাঁ, কী যেন জিজ্ঞেস করছিলেন?

আপনি ভয় পান...

মাকড়সাকে। (আমি বাঘের সঙ্গে এক খাঁচায় থাকতে পারব কিন্তু মাকড়সার সঙ্গে নয়।)

আপনার স্ত্রী, পুত্র-কন্যা আর মা-বাবা যেসব গোপন নামে আপনাকে ডাকে! ডাক নামগুলোর মধ্যে আপনার পছন্দ!

না, আমার কোনো গোপন নাম নেই। আমার সব ভাইবোনের একটা করে ডাক নাম আছে, আমার নেই। আমার বাবার ডায়েরি থেকে আমি জানতে পেরেছি আমাকে একটা ডাক নাম দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সেটা কাজ করেনি। বাসায় আমাকে ইকবাল ডাকে, আমার স্ত্রী ডাকে জাফর, ছেলেমেয়েরা ডাকে আব্বু।
এখন অবশ্য আমার নতুন একটা নাম হয়েছে। ঠিক কী কারণে জানা নেই, সবাই আমাকে স্যার ডাকে! যাঁরা বয়সে আমার থেকে বড় তাঁরাও মাঝেমধ্যে আমাকে স্যার ডেকে ফেলেন। মনে হয়, এটা বুঝি সম্বোধন নয়, যেন এটাই নাম!

আপনি যেদিন বোকা বনে গিয়েছিলেন।

শুধু আমি নই, বাংলাদেশের সব মানুষ বোকা বনে গিয়েছিল, যেদিন আমাদের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আমার ধারণা, রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদও বোকা বনে গিয়েছিলেন, যখন ১১ জানুয়ারি ২০০৭ তাঁর ঐতিহাসিক বক্তৃতাটি দিয়ে সব ষড়যন্ত্রের কথা জাতির সামনে অকপটে স্বীকার করতে হয়েছিল।

ছোটবেলায় ধরা খেয়েছিলেন এ রকম কোনো ঘটনা!

ছেলেবেলায় আমি খুবই হাবাগোবা ছিলাম, তাই আলাদাভাবে কখনো ধরা খেতে হয়নি। আমি মোটামুটিভাবে সব সময় ধরা খেয়েই থাকতাম।

রস+আলোর সম্পাদক বানানো হলে আপনি কোন গোপন ফর্মুলা ব্যবহার করতেন।

হাসি-তামাশায় আবার কেউ বিরক্ত না হয়ে যায়, সে জন্য কোনো হাসি-তামাশা করতাম না। কারও অনুভুতিকে আঘাত করবে সেই ভয়ে কোনো লেখালেখি ছাপাতাম না। প্রতি সংখ্যাই বের হতো সাদা কাগজ দিয়ে−স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা সেটাকে তাদের লেখাপড়ার কাজে ব্যবহার করতে পারবে, দেশের একটা উপকার হবে। হাসি-তামাশা করে বিপদে পড়ে লাভ আছে?

# সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অনন্যা হক

প্রথম রোজগার
মার্ক টোয়েনের ছেলেবেলার একটি কাহিনী। তখন স্কুলে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
স্কুলের নিয়ম ছিল কোনো ছাত্র যদি স্কুলের টেবিলে দাগটাগ দেয়, তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। এক রকম শাস্তি সে বেছে নিতে পারে−সবার সামনে বেত খেতে হবে অথবা পাঁচ ডলার জরিমানা দিতে হবে।
মার্ক টোয়েন একদিন টেবিলে দাগটাগ দিয়ে ফেললেন, ধরাও পড়লেন। মাস্টারমশাই বললেন, ‘কোন শাস্তি চাও? সবার সামনে বেত খাবে, না পাঁচ ডলার জরিমানা দেবে? কাল এসে বলবে।’
বাড়িতে এসে বাবাকে সব কথা খুলে বললেন মার্ক টোয়েন। বাবা হয়তো সবার সামনে বাচ্চা ছেলের বেত খাওয়াটা পছন্দ করলেন না। তিনি মার্ক টোয়েনের হাতে পাঁচ ডলার দিলেন।
সে সময়ে পাঁচ ডলারের অনেক দাম, কিন্তু সবার সামনে বেতটেত খাওয়া এমন কিছু সাংঘাতিক ব্যাপার নয়। সুতরাং জীবনে মার্ক টোয়েন সেই প্রথম রোজগার করলেন−পাঁচ ডলার।
রসিক আমার নাম
শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়
রসপুরে মম ধাম রসিক আমার নাম রসরাজ দ্বিজের নন্দন।
রসময় জাতি কুল বিভুষণ রসফুল রসরঙ্গ রস আভরণ
রসনাট রসপাট মোর দেশে রস হাট রসনায় সরস বচন।
রস সরসীর বারি স্মান পান রস করি চারি রস রসজ ভোজন
রস শয্যাতে শয়ন রস আশ সর্বক্ষণ রসের বালিশ শিরোতলে।
রসিকার প্রাণধন অরসিকে বিষ হেন বিরসে পাঠাই রসাতলে
রসবাক্য রস পান মুখে জপি রস নাম প্রেমরস আমার জীবন।
রস ছাড়া নাহি থাকি রসিকা স্বপনে দেখি রসাভাসে সদা মোর মন
সুজন রসিক হল্যে তার সঙ্গে মন মিলে নীরসে নিরাস সর্বক্ষণ।
তুমি তো রসিক জন রসতন্ত্রেতে প্রবীণ শ্যামরসে প্রধান রাজন

কৌতুক বিলাস
মাছি ও মধুর কলসী
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
এক দোকানে মধুর কলসী উল্টাইয়া পড়িয়াছিল। তাহাতে চারিদিকে মধু ছড়াইয়া যায়। মধুর গন্ধ পাইয়া, ঝাঁকে ঝাঁকে, মাছি আসিয়া সেই মধু খাইতে লাগিল। যতক্ষণ এক ফোঁটা মধু পড়িয়া রহিল, তাহারা ঐ স্থান হইতে নড়িল না। অনেকক্ষণ সেখানে থাকাতে, ক্রমে ক্রমে, সমুদয় মাছির পা মধুতে জড়াইয়া গেল; মাছিগুলি আর উড়িতে পারিল না।
তখন তাহারা নিজেদের ধিਆার দিয়া আক্ষেপ করিয়া কহিতে লাগিল, আমরা কি নির্বোধ; অল্প সময়ের সুখের জন্য, প্রাণ হারাইলাম।
কথামালা (প্রথম ভাগ)

ভিত্তিহীন রস
আবুল হায়াত
পৌষের প্রায় শেষ। যদিও শীতের প্রকোপ নেই বললেই চলে, তবু শীত শীত ভাব, হালকা কুয়াশা, নরম নরম রোদ−সব মিলিয়ে একটা চমৎকার আমেজ তৈরি হয় উপভোগ করার মতো। সেই সঙ্গে যদি যোগ করা যায় পিঠা আর খেজুরের রস, তো কথাই নেই।
জমে গেল আর কি!
শহরে চাল গুঁড়ো করা এখন আর কোনো সমস্যাই নয়। বাড়িতে বসে গ্রাইন্ডারে যদি না-ও সম্ভব হয়, যেকোনো দোকান থেকে প্যাকেটের চালের আটা এনে পিঠা তৈরি করে নিতে অসুবিধা নেই। সরঞ্জামও আজকাল বাজারে পাওয়া যায়। হয়তো গ্যাসের চুলার পিঠা অত সুস্বাদু হবে না, তার পরও রস+পিঠার আনন্দ উপভোগ করতে বাধা নেই।
বাধা নেই তো বললাম, তবে রস কোথায় পাবেন?
পাটালিগুড় কিনে দুধে ভিজালে রস হবে বটে, তবে সে রসে মন না ভরারই কথা। সে ক্ষেত্রে চলে যান ঝিটকা কিংবা সাভারের আশুলিয়া নয়তো পুবাইল। রস পেয়ে যাবেন নিশ্চয়।
তাতেও যদি ব্যর্থ হন, তাহলে?
তাহলে নতুন রস সরবরাহ লাইন একটি খোলা হয়েছে আপনাদের জন্য। বারমেসে রস সরবরাহ নিশ্চিত হবে। পিঠার সঙ্গে খেতে না পারলেও এ রসে ভিজাতে পারবেন সারা সপ্তাহের সব খটমটে, হিজিবিজি, দাঁতভাঙা খবরাখবর আর টেলিভিশন টক শো।
কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন এসব যন্ত্রণা থেকে।
বুঝতেই পারছেন, কোন রসের কথা বলার চেষ্টা করছি। জি, প্রথম আলোর রস+আলো।
আমি এ রসের ঝাঁঝটা বাড়ানোর একটু চেষ্টা করি না কেন।
প্রথমে সাংবাদিকতার সংজ্ঞা দিয়ে শুরু করি−
১. সাংবাদিকতা হলো দুই টাকা দিয়ে সাদা কাগজ কিনে ১০ টাকায় বিক্রি করা।
২. সাংবাদিকতায় সফল হতে হলে পাঠকদের খেপিয়ে দেবেন, দেখবেন পরদিন আপনাদের পত্রিকার অর্ধেকই পাঠকদের লেখায় পূর্ণ হয়ে যাবে।
৩. চিকিৎসকেরা তাঁদের ভুলকে কবরে পাঠান, উকিলেরা তাঁদের ভুলগুলোকে চড়ান ফাঁসিকাষ্ঠে, আর সাংবাদিকেরা তাঁদের সব ভুলকে চাপান পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায়।
সাংবাদিক ভাইবোনেরা কি ক্ষিপ্ত হচ্ছেন? না, তাহলে তো আর রস হবে না, আমি পত্রপত্রিকায় প্রকৌশলীদের নিয়েও এ ধরনের কতই না রস করেছি, সে শুধু রসই, কখনো একটু হালকা, কখনো-সখনো বা একটু ভারী বা ঘন। স্বাদের হেরফের হলেও দুটোই সুস্বাদু। এর বেশি কিছু নয়। আমার কলম তো প্রেসের স্বাধীনতার আওতায় পড়ে, নাকি?
অবশ্য প্রেসের স্বাধীনতা বলতে তো বোঝায় শুধু পত্রিকা-মালিকের স্বাধীনতা। সে ক্ষেত্রে আমার বলার নেই কিছুই।
দুটো ছোট্ট চুটকি বলে আজকের রসযন্ত্রণার ইতি টানি।
এক ভদ্রলোক পত্রিকা অফিসে ফোন করে জানতে চান−‘ভাই, আমি পত্রিকার প্রথম পাতায় নাম ছাপাতে চাই, সহজ উপায় বাতলাতে পারেন?’ সম্পাদক বললেন, ‘হ্যাঁ পারি, আমাদের পত্রিকাটা হাতে নিন, নিয়েছেন? ঠিক আছে, এবার এটা পড়তে পড়তে রাস্তা পার হোন−’ কিছুক্ষণ নীরব, তারপর ক্যাঁ-চ করে আওয়াজ পেয়ে ফোনটা রেখে সম্পাদক বললেন, ‘এই তো হয়ে গেছে।’
এক ভদ্রলোক পত্রিকায় তাঁর মৃত্যুসংবাদ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে পত্রিকা অফিসে ফোন করেন−‘পত্রিকায় আজ সকালে আমার যে মৃত্যুসংবাদ বেরিয়েছে আমি সেই ব্যাপারে ফোন করেছি।’
সম্পাদকের উত্তর, ‘কোথা থেকে বলছেন? দোজখ না বেহেশত?’
সর্বশেষ যন্ত্রণাটা দিই এবার।
এক পত্রিকার সম্পাদক গর্ব করে বক্তৃতা দিচ্ছেন−‘আমার পত্রিকাই সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের খবর ছেপেছিল, আবার দেখুন, আমার পত্রিকাই দুদিন পর সর্বপ্রথম জানিয়েছিল যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের খবরটা ছিল সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন।’
আসলে সবই ভিত্তিহীন। রসের খবরের হয়তো কোনো ভিতই থাকে না। আসলে কি তা-ই, নাকি কঠিন খবরেরও প্রায়ই পাওয়া যায় না ভিত্তির হদিস?

বুয়েট-রঙ্গ
তানিম হুমায়ুন
কংক্রিটে ঘেরা একটি জায়গা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার সব কিছুই কংক্রিটের। এমনকি কিছু মানুষ আছে যারা কংক্রিটের তৈরি। বুয়েটের ভাষায়−এনারা হচ্ছেন আঁতেল। দিনমান তাঁদের মাথায় কেবল ক্লাস টেস্ট, কুইজ আর ভাইভার দুশ্চিন্তা। এ ছাড়া বুয়েটের বাদবাকি আমজনতার জীবন ব্যাপক বৈচিত্র্যের। সে জীবনে রঙ্গরসের ঘাটতি তো নেই-ই; বরং রয়েছে প্রাচুর্য। বুয়েটের রঙ্গ নিয়ে কথা হবে, কিন্তু ‘তরিকুল’ ও ‘ব্যাটারি’ নিকনেমের আমার প্রিয় বন্ধুদ্বয়কে নিয়ে কিছু বলা হবে না−এ অসম্ভব। তাই এ লেখা প্রকাশের পর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা মাথায় রেখে হলেও তাদের নিয়ে কিছু বলতে চাই।

ঘটনা এক
তরিকুল, জুজু ও ব্যাটারি লঞ্চে করে গেছে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের রিভার ক্রুজে। লঞ্চের মধ্যে তারা ঘুরছে-ফিরছে, এদিক-সেদিক দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে। হঠাৎ তাদের ইচ্ছা জাগল লঞ্চের ছাদে গিয়ে নদীর মুক্ত বায়ুসেবনের। ছাদে গিয়ে দেখা গেল, এক পাশে একদঙ্গল নারীযাত্রী চেয়ারে বসে আড্ডা দিচ্ছে। তরিকুল, জুজু কিংবা ব্যাটারির নারীপ্রীতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করাটা এই লেখকের জীবনের প্রতি হুমকিস্বরূপ! ধরা যাক, এ ধরনের কোনো আকর্ষণ কিংবা প্রীতি নয়, নিতান্ত প্রয়োজন সত্ত্বেই আমাদের তরিকুল নারীযাত্রীদের মধ্যে উপস্িথত হয়ে বিশেষ একজনকে উদ্দেশ করে বলল−‘ম্যাম, চেয়ারটা নেওয়া যাবে?’ ম্যাম বললেন−‘নিন না, প্লিজ।’ তরিকুল গদগদ হয়ে বলল, ‘থ্যাংকস।’ বলে চেয়ারে টান দিল। ট্র্যাজেডি এখানেই! লঞ্চের ছাদের লোহার চেয়ার সাধারণত ছাদের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় থাকে। নারীদের আধিক্যের কারণেই কিনা কে জানে, তরিকুলের এটা আর মনে ছিল না! সে চেয়ার ধরে টানে, চেয়ার তো আর ওঠে না। সে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করে। উল্টো সমস্বরে হেসে ওঠে মেয়েরা। অবশ্য তার চেয়ে বেশি জোরে শোনা যায় জুজু আর ব্যাটারির হাসি!

ঘটনা দুই
লঞ্চ চাঁদপুরে ভিড়েছে। আধাঘণ্টা বিরতি। ওরা তিনজন নিচে নামবে স্থলভুমি পরিদর্শনে। তিনজনের মধ্যে যার নাম ব্যাটারি, সে পৃথিবীর সব বিষয় সহ্য করতে পারে, কেবল তার এই ডাকনামটি ছাড়া। এমনিতে ব্যাটারির দেহাকৃতি হক ব্যাটারির মতো। তাই তার এই সরল নামকরণ। কিন্তু ব্যাটারি তার দেহাকৃতি নিয়ে ভয়ঙ্কর রকমের সচেতন। সে অসংখ্যবার আমাদের শপথ করিয়েছে, এই নামে যেন তাকে আমরা আর না ডাকি। আমরা যথাযথ উপঢৌকনের বিনিময়ে শপথনামায় স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে মেয়েদের সামনে এ চুক্তির কথা আমাদের মনে থাকে না! সে যা-ই হোক, আমাদের ব্যাটারির নারীপ্রীতিও সুবিদিত। এর মধ্যেই লঞ্চে সে একজনের সঙ্গে খাতির জমিয়ে ফেলেছে। লঞ্চ চাঁদপুরে থামার পর সেই মেয়ে বলল, ‘আপনি আমাকে একটি জিনিস কিনে এনে দিতে পারবেন নিচের বাজার থেকে?’
ব্যাটারি জানতে চাইল, ‘কী জিনিস?’
‘জি, দুটি থ্রিএ সাইজের পেন্সিল ব্যাটারি, এমপি-থ্রি প্লেয়ারের জন্য।’
যদিও তরিকুল ও জুজু সবই শুনল, তার পরও ব্যাটারি নিচে নামার সময় খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করল, ‘কী রে, কী কিনতে নিচে যাস?’
ব্যাটারি একটা কড়া দৃষ্টি হানল। তরিকুলের হাসি তখন দেখে কে!

খেলার চেয়ে ধুলা বেশি
তিনিও বাংলা বোঝেন
দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
ইংরেজি বড়ই বিড়ম্বনাদায়ক ভাষা। পড়তে গেলে ঝামেলা। বলতে গেলেও বড় ঝামেলা। তবে শুনতে গেলে আর কোনো ঝামেলা নেই। তখন হিব্রু, তামিল, ইংরেজি−মানে বাংলা ছাড়া দুনিয়ার আর সব ভাষা একই রকম মনে হয়।
তবে পেটের দায়ে এখন ওই ইংরেজিকেই সমঝে-সামলে চলতে হয়। যারা এই ভাষাটায় কথা বলে, তাদের সামনে পড়ে প্রায়ই মনে মনে কাতরাতে থাকি, ‘হা, ওপরওয়ালা! কেন বাংলা ছাড়াও কথা বলার উপায় বের করেছিলে?’ ওপরওয়ালা জবাব দেন না। জবাব দিলেন আমার চাকরির ওপরওয়ালা−উৎপল শুভ্র। ডেভ হোয়াটমোরের কথা বুঝতে কষ্ট হয়েছে শুনে হাসলেন। বললেন, ‘এতেই কাতরাচ্ছ বাছা? ডেভ তো শ্রীলঙ্কার খেয়েপরে বেশ এশিয়ান কেতার ইংরেজি বলেন। টের পাবে সত্যিকারের অস্ট্রেলীয়র ইংরেজির হাতে পড়লে!’ এতেও ঠিকমতো ভয় পেলাম কি না, নিশ্চিত হতে পারলেন না। দিন কয়েক পরে হাতে একটা লেখা ধরিয়ে দিলেন। একটা গল্প। বললেন, হাসির গল্প।
আমার কাছে ‘হরর’ গল্প মনে হলো। এক ভারতীয় ক্রিকেটার প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া গেছেন। স্বাগতিকদের মধ্যে কে যেন শুধিয়েছে, ‘এখানে মরতে এসেছে (কাম হেয়ার টু ডাই)?’ বুঝুন অবস্থাটা! মরার এই প্রস্তাব পেয়ে ভয়েই মরার জোগাড় বেচারা। বলেন, ‘না ভাই! না ভাই!’ কিসের না ভাই! ‘আমি তো শুনলাম তুমি মরতেই এসেছ!’ ক্রিকেটারটির পালানোর আগেই ভারতের তখনকার অধিনায়ক বিষেন সিং বেদি বললেন, ‘তুই ভয় পাচ্ছিস কেন?’ মানে বেদিও মরার দলে? নাহ্। আসলে নাকি অস্ট্রেলীয় ওই ভদ্রলোক বলেছেন, ‘তুমি আজ এসেছ−টু ডে?’ অস্ট্রেলীয়র মুখে পড়ে ‘টু ডাই’ হয়ে গেছে!
উদ্দেশ্য সার্থক। আমি ইংরেজিকে আগেই ভয় পেতাম। তার মধ্যে এবার ‘অস্ট্রেলীয় ইংরেজি’র আতঙ্কে দিন গুজরান করতে থাকলাম। মানে বনে বাঘ আছে জেনে গিয়ে সিংহেরও ভয় পাওয়া আর কি! ততক্ষণে আমার অবশ্য ‘রাম মারুক আর রাবণ মারুক’ অবস্থা। ইংরেজি বলেই তো ভয় দেবে, অস্ট্রেলীয় হোক আর সাইবেরীয়।
তাই যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে চলে গেলাম টিম মের সামনে। এই ভদ্রলোক অস্ট্রেলিয়ার সাবেক স্পিনার। বাংলাদেশে মে এসেছেন ক্রিকেটারদের সংগঠন গড়তে। তাঁর সংবাদ সম্মেলনে যেতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ যত না হয়, তার চেয়ে বেশি হয় ‘রিফ্রেশমেন্ট’ (খাওয়ার কথা সোজা বাংলায় বললে কেমন শোনায় না!)।
দ্বিতীয়টির ওপর বেশি টান থাকায় গেলাম টিম মের সংবাদ সম্মেলনে। মে আর জুন−যা-ই হোক না কেন, গেলাম। কল্পনার একটুও এদিক-ওদিক হলো না। বিপদ তৈরি হলোই। বিধির কী বিধান, বিপদে পড়লেন মে!
ইদানীং বেশি বেশি ক্রিকেট খেলা হচ্ছে বলে এক সাংবাদিক শুধালেন, ‘বেশি ক্রিকেট খেলা ব্যাপারটা কি তোমাকে কষ্ট (হার্ট) দেয়?’ ওই ‘হার্ট’ নিয়েই লাগল গোল। ‘হার্ট’ শব্দটা আর বোঝেন না মে। একবার বুঝলেন। সেবার ধরে নিলেন, এ ‘হার্ট’ মানে হূদয়! উপায় না পেয়ে সামনে হাঁটু গেড়ে বসা বিবিসির হাসান মাসুদও বোঝানোর চেষ্টা করতে লাগলেন (আসন না পেয়ে হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন, বিনয়ের দাপটে না)। কে বোঝে কার কথা! ততক্ষণে বোঝা গেছে, সমস্যাটা টিম মেরই। বিবিসি তো আর আমাদের মতো বাংলায় ইংরেজি বলে না।
কোনোভাবেই মেকে ‘হার্ট’ করা যাচ্ছে না। কাঁহাতক সহ্য করা যায়? এক সাংবাদিক উঠে দাঁড়িয়ে, দুই হাত তুলে খাঁটি বাংলায় বললেন, ‘ভাই, তুই কি ব্যথা পাইছস?’ (ইংরেজিতে তুমি, তুই−সব এক বলে ‘তুই’টাকেই বেছে নিলেন?) বিগলিত হাসিটা দেখে মনে হলো, এবার কিছু বুঝেছেন মে।
দেখুন, টিম মেও ইংরেজির চেয়ে বাংলা ভালো বোঝেন!

সংগীত রস
আপনি না আমার ফ্যান
ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গেছেন অনেক শিল্পী। সাজঘরে বসে আছেন শিল্পী শাকিলা জাফর, একটি ছেলে ঝড়ের বেগে তাঁর সামনে এসে ভুলবশত বলল, আপনি না আমার ফ্যান, আপনার একটা ছবি তুলি। তিনি অনুমতি দেওয়ার আগেই সেই ছেলেটা একটা ছবি তুলে ঝড়ের বেগে চলে গেল। শাকিলা জাফর অবাক। কারণ ছেলেটি ছবিটা তোলার সময় ক্যামেরা উল্টো করে তার নিজের দিকেই ফ্লাশ দিয়ে ছবি তুলেছিল।
এ রকম ভুল আরেকবার হয়েছিল। বিদেশ থেকে অনুষ্ঠান করে দেশে ফিরছেন শাকিলা জাফর। হঠাৎ তাঁর পথ রোধ করলেন এক ভক্ত। তারপর বললেন, আপনি জাকিলা শাফর না? শাকিলা হেসে বললেন, না ভাই, আমি শাকিলা জাফর।
# কবির বকুল

ডাকযোগে পাওয়া
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়
"" প্রথম সংখ্যাতেই অনেক রস পেয়েছি। আশা করি, প্রতি সংখ্যাই রসে টইটম্বুর হবে। আর সত্য ঘটনার সঙ্গে রস মিশিয়ে আলোর মুখ দেখাবে।
আবদুল হক, শাবিপ্রবি, সিলেট।
"" যা আপনার জন্য আশা, তা আমাদের জন্য চাপ। প্রথম সংখ্যার পরেই জিভ বেরোচ্ছে, বাপরে বাপ!

"" ক্রিকেটারস না হয়ে ক্রিকেটরঙ্গ হলো কেন? আর সবচেয়ে বেশি তো বিজ্ঞাপন রস...
কাওছার জাহান রতন, বড়ইছড়ি, কাপ্তাই।
"" ঠিক ধরেছেন। ফুলগাছে শুধু ফুল থাকে না। থাকে অনেক পাতা। তেমনি বিজ্ঞাপনপাতার ফাঁকে...

"" তোমায় নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে হইব খিলজি বখতিয়ার
আমার ঘোড়ায় চড়বে কি না সেইটা তোমার এখতিয়ার।
আখতারুজ্জামান আজাদ, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
"" বখতিয়ারের লম্বা হাত, আজাদ সাহেব জানেন
কান টানলে আসবে মাথা, টানার মতো টানেন।

"" ডাক্তার: আপনার কাশিটা আজ একটু ভালো মনে হচ্ছে?
রোগী: হবেই তো। কাল সারা রাত প্রাকটিস করেছি যে!
ঐশিতা নিপা ঝুমুর, ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর।
"" হি হি খুকখুক...

"" বাসের সিটে ঝিমুচ্ছি। হকার পত্রিকা দিল। তীব্র উত্তেজনায় ‘রস+আলো’ হাতে তুলে নিলাম। চেটেপুটে খেয়ে রাখতে যাচ্ছি, হেল্পার বলল, ভাইজান, রসটা একটু দেন না, পড়ি...
এস সি মোনশেদ শুভ্র, মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম।
"" তারপর উনি কি পড়ে গেলেন?

"" রস+আলো নামটা সত্যি ব্যতিক্রমী। সবচেয়ে ব্যতিক্রমী নামের নিচের লেখা: হালকা পাঠকের (৬০ কেজির নিচে) জন্য নয়। ভাগ্যিস আমার ওজন ৬০ কেজি ১০০ গ্রাম।
মো. সোহেল রানা বাবু, ইয়ার্ড কলোনি, সান্তাহার, বগুড়া।
"" ওজন যেন না কমে। কমে গেলে দুই লিটার পানি খেয়ে ওজন নেবেন।

"" আজ (০৭.০১.০৮) আমি ভীষণ খুশি। আজ আমাদের বাড়িতে প্রথম আলোর সঙ্গে নতুন অতিথি এসেছে। প্রাণ খুলে হাসলাম...
মৃত্তিকা, পূর্ব আলিয়াবাদ, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ।
"" অতিথি যদি প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করে আসে, তখন কি ঝাঁটার বাড়ি জুটবে?

"" ভারতচন্দ্র উপন্যাস লিখলেন কবে? আহসান হাবীবের রস লেখায় দেখি তাঁর উপন্যাসের খবর বেরিয়েছে। আলালের ঘরের দুলাল-এর আগে তো উপন্যাস বেরোয়নি বাংলায়?
নির্মল, আজিমপুর, ঢাকা।
"" আপনি ঠিক ধরেছেন। দেখলাম ধরতে পারেন কি না...

খেলায় খেলায়
ডাকাতেরা কোন পথে ঢুকেছিল

Click This Link

দারুপানি দ্বীপ

Click This Link

ব্যান্ড রঙ্গ

Click This Link



আজকের পর্বটি প্রথম আলোর এই পেইজ থেকে কনভার্ট করা।।।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:০৪
৬টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাঁআআআচ্চুউউউ! :) :D ;)

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৩



হাঁচতে নাকি জানে না কেউ,
কে বলেছে বোন
এই দেখোনা কত্ত হাঁচির
ওজন শত টন।

কিম হাঁচে বাড়া ভাতে,
বাইডেন হাঁচে তার সাথে সাথে,
লালচে চীনের জোরসে হাঁচি,
কাঁদে সবুজ ঘাস।
মাদার রুশের হাঁচি দেখে
হয় যে বনবাস!!

বনবিবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেইন্ট মার্টিন ও কোক ইস্যু

লিখেছেন নিবারণ, ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

বিগত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে চর্চিত বিষয়, কোকের বয়কট ও গত দুই দিন ধরে সেইন্ট মার্টিন মায়ানমার দখল করে নেয়ার খবর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্রিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, মায়ানমার সেইন্ট মার্টিন দখল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে গান গাইলাম (সাময়িক)

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:০৮

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে আমি আদর করে 'আই' ডাকি। আইকে দিয়ে অনেক কাজই করাতে হয়। এবারে, আমাদের ৫ ভাইদের নিয়ে একটি গান বুনেছি। আমরা ৫ ভাই অনেক দিন একসাথে হই না। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্যারাভান-ই-গজল - তালাত আজিজ

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৬ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩১


ভারতীয় অন্যতম গজল শিল্পীদের তালিকায় তালাত আজিজের নাম অবশ্যই থাকবে বলে আমার ধারনা। তার বেশ কিছু গান আমার শোনা হয়েছে অনেক আগেই। জগজিৎ সিং, পঙ্কজ উদাস ও গুলাম আলী সাহেবের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওহাবী-সালাফি-মওদুদীবাদ থেকে বাঁচতে আরেকজন নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×