ধরা যাক লোকটির নাম এ্যাকারি এ্যজাম। সবাই তাকে ডাকে জ্যামী নামে। সে একটি শপিং মলে ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে। বয়স ৪৩। মাথার চুল হালকা ঘন, রং কালচে বাদামি। মুখের অবয় পেটানো লোহার মতো। দৈহিক উচ্চতা ৫'১১"। ওজন ৭৫ কেজি। হালকা মেজাজির লোক। তবে, তার চেহারা দেখলে সবাই রুক্ষ বলে ভুল করে। জ্যামী কথা কম বলে। তবে, সে আড্ডা দিতে পছন্দ করে। রবিরাব সে গির্জায় যায়, তবে ভেতরে ঢুকে না।
সে বিপত্নিক। তার স্ত্রী মারা যান তিন বছর আগে। সন্তান নেই। হয়নি। তার স্ত্রীর নাম ছিল এ্যাকমেলীকা। সে আদর করে মিলী বলে ডাকতো। তার স্ত্রী মারা গেছে বটে, কিন্তু কেউ তার স্ত্রীর লাশ খুঁজে পায়নি। যেদিন তার স্ত্রী মারা যান, সেদিন ছিল ৪ঠা জুলাই। আজো সে তার স্ত্রীর লাশ খঁজে বেড়ায়। কিন্তু, তার স্ত্রী মারা গেছে, না হারিয়ে গেছে, এটা নিয়ে এখনো সবার মনের মধ্যে একটা সংশয় আছে। কিন্তু জ্যামী ভাষ্য, তার স্ত্রী মারা গেছে। কিন্তু, সে কিভাবে বলছে তার স্ত্রী মারা গেছে!! পুলিশ এটা নিয়ে পানি ঘোলা করতে গিয়েও করতে পারেনি। কারণ, যে দিন থেকে তার স্ত্রী নিখোঁজ, সেদিন জ্যামী শহরে ছিল না। সে তার আগের দিন গিয়েছিল ৭৫৬ কি.মি. দূরে তার এক বন্ধুর অন্তকৃষ্টি অনুষ্ঠানে।
তবে, মূল রহস্য কি? জ্যামী তার স্ত্রীকে খুব খুব ভালবাসতো এবং তার স্ত্রী-ও তাকে অনেক ভালবাসতো। তাদের জীবন-যাপন ছিল সাদামাটা। নিঝঞ্চাট মানুষ ছিল তারা দুজনে। পরিচিত মানুষদের সংখ্যা তেমন ছিল না। কারণ শহরটি ছোট।
আসুন এই রহস্যের কিনারা করি....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


