বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার গতি থামাতে সরকারের কোন উদ্দ্যোগ নেই। অন্যদিকে বিদ্যুতের লোড সেডিংএ জনজীবন বিপর্যস্থ হয়েে পড়েছে। অথচ সরকার এবিষয়ে কোন উদ্দ্যোগ গ্রহন না করে ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া ও মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের হাতে তুলে দিতে একের পর এক চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। এই অবস্থায় প্রতিরোধ আন্দোলনে সৎ-মেধাবী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশ ন্যাপকে সুসংগঠিত করতে হবে। দেশ আজ বিপদজ্জনক পরিনতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেতে দেশ-জাতিকে রক্ষা করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
জনাব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া গত ০৭ ও ০৮ অক্টোবর দুই দিনের সাংগঠনিক সফরে সিলেট অবস্থান কালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ সিলেট জেলা ও মহানগরের দুটি কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। আবুল কালাম ও ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, সিলেট জেলা সমন্বয়কারী ফয়জুল আলম, বাংলাদেশ যুব ন্যাপ সদস্য সচিব বাহাদুর শামীম পিন্টু, আনছার আলী চৌধুরী, আবদুল মালেক প্রমুখ।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বর্তামান সরকারের দেশবিরোধী-জাতি বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে লড়াইএ জাতীয়তাবাদী-ইসলামী শক্তির বৃহত্তর ঐক্য আজ সময়ের দাবী। আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে ছোট-বড় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশকে যারা ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিনত করার চক্রান্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর অনুসারী-অনুরাগীদের সকল সময় সোচ্চার থাকতে হবে। তিনি বলেন, দেশ আজ বিপদজ্জনক পরিনতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ সকল জায়গায় শুধু রক্তক্ষরন। সামনে দুঃসময় আর অন্ধকার। আমাদের মধ্যে কোন জাতিয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ৭২-এর সংবিধানের ফিরে যাওয়ার নামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হলে জনগন কঠোর হতে পারে বলে তিনি আশংকা করেন।
শনিবার সকালে মৌলভীবাজার জেলা বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত কর্মী সভায় দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাটোরে প্রকাশ্যে দিবালোকে আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্র লীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি নেতা ওক্ষড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নুর বাবু‘র নির্মম হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় প্রমান হয়েছে দেশে কি ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসন চলছে। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে যেখানে সরকারী দলের লোকেরা প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে সেখানে সাধারণ মানুষের জনামালের নিরাপত্তা কোথায়? সরকার দলের নেতা-কর্মীরা দেশে এক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ অবস্থায় কোন দেশ চলতে পারে না। মৌলভীবাজার জেলা ন্যাপ আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক চৌধুরী‘র সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।