কিছু কিছু মানুষের বক্তব্য শুনলে আশ্চর্য হতে হয়।আশ্চর্য হয়ে যাই।"ওরাতো কারো ক্ষতি করছেনা।ওরা একে অপরকে ভালবাসে।ওদের ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানানো উচিৎ। ওরাও মানুষ।ওরা এ রকম হওয়ার পিছনে ওদের কোন হাত নেই। প্রকৃতির লীলা। ইত্যাদি ইত্যাদি।
জি আমি তাদের কথাই বলছি যারা সমকামীতার অতি দরদী হয়ে অতি সুন্দর সুন্দর মায়াবী বাণী বিলিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে। তাদেরকে সমকামীতার দরদী এ জন্য বলছি কারণ, তাদের যতটুকু না ভালবাসা সমকামীদের প্রতি তার থেকে বেশী সমকামীতার প্রতি।তাই যদি না হবে তবে কেন তারা সমকামীদের সাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কথা চিন্তা না করে কিভাবে তাদেরকে সমকামীতায় বহাল রেখে সমাজে প্রতিষ্টিত করা যায় সেই চিন্তায় মগ্ন? তারা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে সে কথাটাই বেশি প্রমাণ করতে চায় যে, সমকামীরা নিষ্পাপ। তাদের এই সমকামী হয়ে ওঠার পিছনে তাদের নিজেদের কোন দোষ বা হাত নেই। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার ও কোন উপায় নেই।সুতরাং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়াটাই বাঞ্চনীয়।
তারা নিজেদেরকে বিজ্ঞানমনা বলে পরিচয় দিতে ভালবাসেন। আমি নিজেকে বিজ্ঞানমনা বলে দাবী করিনা।তবে বিজ্ঞানকে ভালবাসি, বিশ্বাস করি। আবার বিজ্ঞানের সব থিওরীতে আমি বিশ্বাসী নই। কারণ, বিজ্ঞান আজ যাকে সঠিক বলে রায় দিচ্ছে কাল তার বিপরীত বলছে।
বিজ্ঞানমনারা বলছেন, সমকামীতার জন্য জেনিটিক্স দায়ী। কিন্তু আমি বলতে চাই সমকামীতার জন্য যতটুকু না জেনিটিক্স দায়ী তার থেকে বেশি দায়ী সমকামীদের চিন্তাচেতনা, ধ্যানধারণা, পরিবেশ,পোশাকপরিচ্ছদ ইত্যাদি।আজকাল বাজারে সমলীংগের যে সব ব্লু ফিল্মের ছড়াছড়ি সেটা একটা বড় কারণ।
শরীরের কোন অংশ বাদ দিয়ে যেমন কোন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ বলা যায় না। ঠিক তেমনি সমাজের কোন মানুষকে বাদ দিয়ে পরিপূর্ণ সমাজ বলা যায়না।
শরীরের কোন অংশে ক্যানসার বা পচন ধরলে যেমনিভাবে জীবনের জন্য হুমকী।তেমনিভাবে সমাজের কোন অংশে পচন ধরলে পুরো সমাজের জন্য ও হুমকী। সমাজ হয় বিপন্ন। সমকামীতা একটা সামাজিক ক্যানসার। এর নিরাময়ের প্রয়োজন।
পরিশেষে বলতে চাই আসুন, আমরা সমকামীতাকে না বলি।আমরা আমাদের চিন্তাশক্তিকে সমকামীতাকে বৈধতা দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সমকামীদের কথা ভাবী কিভাবে তাদেরকে সাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৭