খবরে প্রকাশ, ভারতের কলকাতার কালনার কাশিপাড়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও পালিত হতে যাচ্ছে 'কুমারী' পূজা।হিন্দুদের ঐতিহ্যবাহী এ 'কুমারী' পূজায় প্রতি বছর ব্রাহ্মন ঘরের একজন কিশোরীকে পূজার আসনে বসানো হয়। অনুসারীরা ভক্তিসহকারে তাকে পূজা করে।
ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এলাকার মোড়লেরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা মাথায় রেখে এক মুসলীম কিশোরীকে পূজার আসনে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখা বা ফিরিয়ে আনার প্রয়াসকে অবশ্যই সাধুবাদ জানানো উচিত, সাধুবাদ জানাই।কিন্তু যে কিশোরীকে তারা পূজা করতে যাচ্ছে সে যে গো-মাংস খাওয়া মুসলীম। যে কিনা গো-মাংস খেয়ে পূজার আসনে বসবে তাকে কী করে গো-মাতা পূজারীরা পূজা করবে? তাতে কি তাদের পূজা শুদ্ধ হবে? একজন মুসলীম বা কী করে নিজেকে পূজার আসনে বসাতে পারে? কী করে তার ঈমান থাকবে?
এক ধর্মের অনুসারী অন্য ধর্মের সংস্কৃতি পালনের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রচেষ্টা এক অপকৌশল বৈকি অন্য কিছু নয়। আমি একজন মুসলীম। আমি মূর্তি পূজায় বিশ্বাসী নই। সেই আমি কী করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মূর্তি পূজা করতে যাব? আমার ধর্ম তো এমন দেউলিয়া নয় যে, অন্য ধর্মের সংস্কৃতি পালনের মাধ্যমে আমাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। আমি আমার ধর্মীয় অনুশাসন পালনের মধ্য দিয়েই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সক্ষম। অন্য ধর্মের আচার অনুষ্ঠান পালন না করেও আমি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারি, আমার ধর্ম আমাকে সেই শিক্ষাই দেয়। অন্য ধর্মে কী আছে তা আমার জানা নেই।
যারা এসব করছেন, হয় তারা চাপে পড়ে করছেন, না হয় না বুঝে করছেন। যারা করাচ্ছেন এবং ফলাও করে প্রচার করছেন তাদের রয়েছে কুমতলব। প্রকৃতপক্ষে তারা দুনিয়ার বুক থেকে ধর্মকেই মুছে দিতে চায়।
তবে তাদের কোন প্রচেষ্টাই সফল হবেনা ইনশাল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০