রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী বাবলু হোসেন (৪৫) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মদপানের পর গুরুতর অসুস্থ হলে সকালে তাকে রাজশাাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাবলু হোসেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি আড়ানীর পৌর এলাকার চকসিঙঙ্গা গ্রামের মৃত রিয়াজুদ্দিনের ছেলে। এদিকে বাবলু হোসেনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম।
এলাকাবাসী জানান, গত বুধবার বিকেলে দলীয় প্রত্যয়ন নিয়ে ঢাকা থেকে আড়ানীতে ফেরেন বাবলু হোসেন। পরে কতপিয় সহযোগী নিয়ে সারারাত চোলাই মদ পান করেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাকে দ্রুত বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বাবলুকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল (রামেক) কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রামেক হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তির পর অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটায় তিনি মারা যান।
আড়ানী পৌরসভা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, বাবলু হোসেন নিয়মিত চোলাই মদ পান করতেন। সম্প্রতি তিনি দুই দফায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাও নিয়েছেন । সেখান থেকে বের হওয়ার পর তিনি আবারও মদে আসক্ত হয়ে পড়েন
বাবলুর স্ত্রী দিপালী বেগম বলেন, আমার স্বামী মদপান করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই অসুস্থবোধ করছিলেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা বাবলু হোসেনকে যখন আইসিইউতে আনা হয় তখন তার জ্ঞান ছিল না। নেশাজাতীয় অতিরিক্ত কিছু পানের কারণে তার শরীরে বিষক্রিয়ার লক্ষণ স্পষ্ট ছিল।
মন্তব্য: অনেকে হয়ত মনে করবেন একজন মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে আমি টানাটানি করছি। যেটা খুবই অশোভনীয়।
মাফ করবেন, আমি মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে মোটেই টানাটানি করতে চাইনা।আমি শুধু আমার দেশের গণতন্ত্রের লাশের কফিনের কথা বলতে চাই।আমার মনে শুধু প্রশ্ন জাগে যে, রাজনীতি কতটা নোংরা হলে, রাজনীতির মানের গতি কতটা নিম্নমুখী হলে, রাজনীতি কতটা কালোবাজারি ব্যবসায় পরিণত হলে, রাজনীতি কতটা সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হলে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে সর্বজন পরিচিত একজন মদ্যপকে পৌরসভা মেয়র পদে মনোনিত করা হয়?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০