somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০০ বাংলা গানের বাংলা লিরিক

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গানের প্রতি আমার ভালবাসাটা একটু বেশী । কিছু গান যেন অন্তরের মধ্যে গেথে আছে সব সময় । আমার ভাললাগা কিছু গানের লিরিক দেবার চেষ্টা করলাম ।১০০ বাংলা গানের বাংলা লিরিকে আপনাদের স্বাগতম । আজ প্রথম পর্ব …………….
আজ যেই গানগুলো থাকবে তা এক পলকে দেখে নেয়া যাক ….

অর্নব
সে যে বসে আছে
আমার রবি
চিঠি পাঠাও
ভালবাসা তারপর
হোক কলরব
প্রকৃত জল
মুহূর্ত
পাওয়া যায় নি
জাগো
নয়ন তোমারে পায় না

শিরোনামহীন
বাংলাদেশ
হাসিমুখ
জাহাজী
পাখি
ক্যাফেটেরিয়া
ভবঘুরে ঝড়
অনেক আশা নিয়ে
বন্ধ জানালা
ভালবাসা মেঘ
সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা

অর্থহীন
চাইতে পারো – ২
বৃষ্টি নেমেছে আজ আকাশ ভেঙে
তুমি
অসমাপ্ত
নির্বোধ
আমার প্রতিচ্ছবি(অসমাপ্ত -১)
আমার প্রতিচ্ছবি (বিবর্তন)
প্রবাস থেকে

আর্টসেল
দুঃখ বিলাস
ধূসর সময়
শহীদ সরণি
অনিকেত প্রান্তর
অবশ অনুভূতির দেয়াল
এই বৃষ্টি ভেজা রাত
দুঃখবিলাস
পথচলা
ভুল জন্ম
চিলে কোঠার সেপাই


অর্নব

শিল্পীঃ অর্ণব চৌধুরী
সুরকারঃ কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতিকারঃ কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে ।
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে, হৃদয়ে রয়েছ গোপনে হে ।।
বাসনার বশে মন অবিরত ধায় দশ দিশে পাগলের মতো,
স্থির-আঁখি তুমি মরমে সতত জাগিছ শয়নে স্বপনে হে ।।
সবাই ছেড়েছে, নাই যার কেহ, তুমি আছ তার আছে তব স্নেহ-
নিরাশ্রয় জন, পথ যার গেহ, সেও আছে তব ভবনে হে ।
তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর, সমুখে অনন্ত জীবনবিস্তার-
কালপারাবার করিতেছ পার কেহ নাহি জানে কেমনে হে ।।
জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি, তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি,
যত পাই তোমায় আরো তত যাচি, যত জানি তত জানিনে হে ।
জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর লোকলোকান্তরে যুগযুগান্তর-
তুমি আর আমি মাঝে কেহ নাই, কোনো বাধা নাই ভুবনে হে ।।


শিল্পীঃ অর্ণব, শ্রাবন্তী আলি
অ্যালবামঃ জাগো


কেন চলে গেলে দূরে
ভাসায় মোরে সুরে
কেন ফিরে এলে না আবার
বাড়াতে দুঃখের বার
কেন চলে গেলে দূরে
ভাসায় মোরে সুরে
কেন চলে গেলে দূরে
বেদনার রংধনু
চেয়েছিল মোর অন্তর
দুঃখের সুখের ঘর বাঁধিনু
বাঁধিনু ও দয়ে প্রান্তর (২)
আজ এই ঝড় এসে
বাধন গেছে চুটে
অসীমতার দুঃখ আর
অনন্ত পারাপার
কেন চলে গেলে দূরে
ভাসায় মোরে সুরে
কেন ফিরে এলে না আবার
বাড়াতে দুঃখের বার
কেন চলে গেলে দূরে
ভাসায় মোরে সুরে
কেন চলে গেলে দূরে


শিল্পীঃ অর্ণব
সুরকারঃ অর্ণব চৌধুরী
গীতিকারঃ অর্ণব চৌধুরী


হারিয়ে গিয়েছি, এইতো জরুরী খবর
অবাক দু চোখে, ছায়া কাঁপে ভয়ে অভিমানে
হারিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই এখানে
হারাবো বলে, পা টিপে এগোতে গেলেই
গোটা শহর বাতি জ্বেলে সতর্ক
পায়ে পায়ে হারাবার জায়গা খুঁজে মরি।
কোথাও নেই ঝুম ঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে ওঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ
ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল।
হারিয়ে যাইনি তবু, এটাই জরুরী খবর
আকাঙ্খা আর হতাশায় হারিয়ে যাওয়ার কোনো মানে নেই
নিবিঢ় ঘরে আধো আলো বিশ্বাসে
বুকের গভীরে কার যেন ডাক আসে।
যদি কোনদিন ঝরে ঝরে যায় অন্ধকার
ভালোবাসা ধুয়ে দেয় গোটা মুখ আমার
দু’চোখে স্বপ্ন ভরে দিয়ে যায় কেউ
যদি কোনদিন অটুট বিশ্বাসে
যদি কোনোদিন, যদি কোনোদিন, যদি কোনোদিন


শিরোনামঃ মুহূর্ত
কথাঃ তওফিক রিয়াজ
ছড়াঃ অর্ণব
কন্ঠঃ অর্ণব
সুরঃ অর্ণব
অ্যালবামঃ হোক কলরব


মুহূর্ত কেন এতো বড়
সময় কেন এতো ফাঁকা
আকাশের সব দুঃখ কেন
দুচোখের জল দিয়ে ঢাকা।
টিকটিক করে ঘড়ির কাটা চলে
সময় নানা বোলে
ঠিকঠিক বলে মনে কাকে খোঁজে
মন যাকে বোঝে

শিরোনামঃ প্রকৃত জল
কন্ঠঃ অর্ণব
কথাঃ রাজীব আশরাফ
সুরঃ অর্ণব
বাঁশিঃ জুবায়ের
অ্যালবামঃ হোক কলরব

——————————
প্রকৃত জল খুঁজে ব্যাড়াই
জলজ বৃক্ষের মতো
শয়নকক্ষে জড়িয়ে থাকা ওতপ্রোত
জানলা তুমি আকাশ দ্যাখাও
আমরা কজন অথবা একাও
জানলা তুমি আকাশ দ্যাখাও
ঘুম ফুরাবার স্বপ্ন দ্যাখাও
নীলের ভেতর নীল তার চেয়ে নীল
চিত্রকল্পের ডানা মেলা চিল।
প্রকৃত জল খুঁজে ব্যাড়াই, প্রহরীর মতো
চোখে নিয়ে পাখি না হবার ক্ষত
গাংচিল তুমি ধ্রুবক শেখাও
আমরা কজন অথবা একাও
তারচেয়ে ভালো গত জন্মের ঘুম
শালিখ কুড়িয়ে কাটে এই মৌসুম।

শিরোনামঃ হোক কলরব
কন্ঠঃ অর্ণব
কথাঃ রাজীব আশরাফ
সুরঃ অর্ণব
অ্যালবামঃ হোক কলরব

——————————–
হোক কলরব ফুলগুলো সব
লাল না হয়ে নীল হলো ক্যান
অসম্ভবে কখন কবে
মেঘের সাথে মিল হলো ক্যান
হোক অযথা এসব কথা
তাল না হয়ে তিল হলো ক্যান
কুয়োর তলে ভীষণ জলে
খাল না হয়ে ঝিল হলো ক্যান
ধুত্তরি ছাই মাছগুলো তাই
ফুল না হয়ে চিল হলো ক্যান
হোক কলরব ফুলগুলো সব
লাল না হয়ে নীল হলো ক্যান


শিরোনামঃ ভালবাসা তারপর
কথাঃ তওফিক রিয়াজ
কন্ঠঃ অর্নব
সুরঃ অর্নব
অ্যালবামঃ হোক কলরব

————————————-
কষ্টগুলো শিকড় ছড়িয়ে
ঐ ভয়ানক একা চাঁদটার সাথে
স্বপ্নের আলোতে যাবো বলে
যখন চোখ ভিজে যায় রাতে।
ভালবাসা তারপর দিতে পারে
গত বর্ষার সুবাস
বহুদিন আগে তারাদের আলো
শূন্য আঁধার আকাশ।
প্রখর রোদে পোড়া পিঠ
আগুনের কুন্ডে শেঁকা হাত
শিশির ছোঁয়ায় পাবে হাসি
অন্ধকারে কেটে যাবে রাত।

শিরোনামঃ সে যে বসে আছে
কন্ঠঃ অর্নব
কথাঃ সাহানা বাজপেয়ী
সুরঃ অর্নব
সঙ্গীতঃ অর্নব
নাটকঃ অফবিট
অ্যালবামঃ চাইনা ভাবিস


সে যে বসে আছে একা একা
রঙিন স্বপ্ন তার বুনতে
সে যে চেয়ে আছে ভরা চোখে
জানালার ফাঁকে মেঘ ধরতে
সে যে বসে আছে একা একা
রঙিন স্বপ্ন তার বুনতে
সে যে চেয়ে আছে ভরা চোখে
জানালার ফাঁকে মেঘ ধরতে
তার গুন গুন মনের গান বাতাসে উড়ে কান পাতো মনে পাবে শুনতে
তার রঙের তুলির নাচে মেঘেরা ছুটে চোখ মেল যদি পার বুঝতে
তার গুন গুন মনের গান বাতাসে উড়ে কান পাতো মনে পাবে শুনতে
তার রঙের তুলির নাচে মেঘেরা ছুটে চোখ মেল যদি পার বুঝতে

সে যে বসে আছে একা একা
তার স্বপ্নের কারখানা চলেছে
আর বুড়ো বুড়ো মেঘেদের দল
বৃষ্টি নামার তাল গুনছে
সে যে বসে আছে একা একা
তার স্বপ্নের কারখানা চলেছে
আর বুড়ো বুড়ো মেঘেদের দল
বৃষ্টি নামার তাল গুনছে
সেই গুন গুন মনের গান বৃষ্টি নামায় টপ টপ টপ ফোটা পড়ে অনেক ক্ষণ
সেই বৃষ্টি ভেজা মোরে ডাক দিয়েছে ভেজা কাক হয়ে থাক আমার মন
সেই গুন গুন মনের গান বৃষ্টি নামায় টপ টপ টপ ফোটা পড়ে অনেক ক্ষণ
সেই বৃষ্টি ভেজা মোরে ডাক দিয়েছে ভেজা কাক হয়ে থাক আমার মন
সে যে বসে আছে … সে যে বসে আছে
সে যে বসে আছে … সে যে বসে আছে

শিরোনামঃ আমার রবি
কন্ঠঃ অর্নব/ মমতাজ
কম্পোজঃ অর্নব
রবি থিম সং


বুকের ভিতর বহু দূরের পথ
রূপার জলে, নদীর স্রোতে
সোনার থালায় সকাল আসে
হিলসে ঘুরি, কাঁচের চুড়ি
আকাশ জোড়া, ইচ্ছে ঘুড়ি

আমার রবি আমার সাথে
হাত ধরেছি, রোদেরই হাতে
একমুহূর্ত আর একা নয়
নতুন ভোরে প্রতি দিনের জয়
বুকের ভিতর বহু দূরের পথ

বুকের ভিতর বহু দূরের পথ

কাঁশের বনে, রোদেরই রঙ্গে
করিনি গল্প, ইচ্ছে মাখায়
চোখেরই তারায় রবিরই কিরণ
হাতের মুঠোয় নিজেরই জীবন

আমার রবি আমার সাথে
হাত ধরেছি, রোদেরই হাতে
একমুহূর্ত আর একা নয়
নতুন ভোরে প্রতি দিনের জয়
বুকের ভিতর বহু দূরের পথ

শিরোনামঃ চিঠি পাঠাও
কন্ঠঃ অর্নব
কথাঃ বিক্রম সিং
সুরঃ অর্নব
অ্যালবামঃ রোদ বলেছে হবে


মেঘের নীচে চাঁদোয়া নীল মফঃস্বল
মেঘের নীচে হেসেল ঠেলে বিষণ্ণতা
তুমি কি আর মেঘের কাছে চিঠি পাঠাও
আগের মতো ভিজিয়ে নাও চোখের পাতা(২)

শালের বন ছুঁলো যেমন কত আকাশ
সাঁকোর পাশে ভিজছে জলে বসতবাটি
প্রতিটি বুক দূরত্বকে ছুঁয়ে নেবে
প্রতিটি চোখ ছুঁয়ে নেবে শীতল পাটি

শীতলপাটি চিনেছে রাত চিরকাঙাল
চির কাঙাল স্নেহের মতো একটু দিন(২)
ভেঙেছে কতো নষ্ট ঢেউ উন্মাদের

কতো না মেঘ মেঘের কাছে বেড়েছে ঋণ
এসব ঋণ ভুলে যাওয়ার পথ কোথায়
এসব ঋণ মুছে দেবার অন্ধকার
ঘুমন্ত কে প্রতিদানের চিহ্ন দাও
আরো আঘাত সকল নিয়ে বেঁচে থাকার

মেঘের নীচে চাঁদোয়া নীল মফঃস্বল
মেঘের নীচে হেসেল ঠেলে বিষণ্ণতা
তুমি আবার মেঘের কাছে চিঠি পাঠাও
ভিজে পাগল ভিজুক আবার চোখের পাতা(২)

শিরোনামহীন

বাংলাদেশ
কথা: জিয়া/শাফিন
সুর : শাফিন/জিয়া

যখন কিশোরীর হাতে সূতোয় বোনা সবুজ গ্রাম
যখন রং তুলিতে আঁকা বাংলার মুখ অবিরাম
যখন গাই এখানেই শুধু শরতের রং এ হয় শেষ
সেই শুভ্র কাঁশফুল ঘিরে দেখে যাই সবুজের দেশ

মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল
মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ
যেখানে লাল সূর্যের রংয়ে রাজপথে মিছিল
যেখানে কুয়াশার চাঁদর আকাশ থাকে নীল
যেখানে রিম ঝিম বৃষ্টি শুকনো মাটির টানে
অবিরাম ঝড়ে সবুজ সাজায় ......

মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল
মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ

যখন এক চোখে ঘুম ঘুম, এক চোখে নীল রাত
আমায় ভাবিয়ে যায়
যখন এক হাতে রোদ্দুর এক হাতে গোলাপ
সবুজ ছুঁয়ে ভাবায় আমা
একদিকে নীল নীল, এক দিকে কাঁশফুল, দু’চোখ যেখানে শেষ
এক প্রান্তে সবুজ, এক প্রান্তে লাল,
আমার বাংলাদেশ ......



হাসিমুখ
কথা:জিয়া
সুর:জিয়া

প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালায়
হাসিমুখ, হাসিমুখে আনন্দধারা।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

রোদ উঠে গেছে তোমাদের নগরীতে
আলো এসে থেমে গেছে তোমাদের জানালায়,
আনন্দ হাসিমুখ, চেনা চেনা সবখানে
এরই মাঝে চল মোরা হারিয়ে যাই।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়,
হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়,
অনেক অজানা ভীড়ে স্বচ্ছ নিরবতায়,
রোদ উঠে, গেছে চেনা এই নগরীতে নাগরিক জানালা
হাসিমুখে একাকার।
আনন্দ উৎসব চেনাচেনা সবখানে,
এরই মাঝে আমাদের ছুটে যাওয়া দরকার।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।



জাহাজী
কথা: জিয়া
সুর: জিয়া

চেনা শহর, চেনা রাস্তা, পরিচিত ঢাকা
ভেসে যাচ্ছি চোখে আলো জ্বেলে, জাহাজীর মত একা
ঝরে চুন-সুড়কি, শরীরের দেয়াল
তবু সিড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে, অনেক উঠেও থেমে,
শেষ ছাদটায় দেখি নীল,
এরই মাঝে নক্সা , সাদা আলোর সাদা শঙ্কচিল ।
জাহাজীর কাছে ভীষণ সত্য সেই,
পথটাই যাওয়া, এর আর কোন ফিরে আসা নেই ।

পথের ধারে দাড়িয়ে আছে, শুকনো দালান
দোকানের নাম, তারপর, আমাদের ভুবনে স্বাগতম ।
ঝরে বৃষ্টি কারো ভুবনে, তবু নিয়ন সাইনে স্বাগতম ।
আ মা দে র , তারপর ; ভু ব নে ,
তারপর ; স্বা গ ত ম ।
বুঝতে কিছু সময় লাগে সেই,
স্বাগতমটাই ইচ্ছে, সস্তায় কারা বিক্রি করে দিচ্ছে ।

আমার শৈশবের মত দামী, আমার কান্না জড়ানো গান,
মাথা উচু সেইন্ট গ্রেগরী আমার, সময়ের টানে ম্লান ।
আমার পরিচিত লাস্ট বাস, আমার ভাঙ্গাচোরা নিঃশ্বাস,
ব্রাদার চার্লসের চুইংগাম, আমার রক্ত আমার ঘাম,
আমার লাস্ট বাসে বাড়ি ফেরা, মাথা তুলবার তাড়া,
আমার জাহাজের পাটাতন, ছেড়া নোঙর, ছেড়া মন,
ছেড়া নোঙর................................

জাহাজীর আর বোঝার বাকী নেই
পথটাই যাওয়া , এর আর কোন ফিরে আসা নেই ।

পাখি
কথা:জিয়া
সুর:জিয়া

একা পাখি বসে আছে শহুরে দেয়ালে
শীষ দিয়ে গান গায় ধূসর খেয়ালে
তার ফেলে যাওয়া আনমনা শীষ, এই শহরের সব রাস্তায়
ধোঁয়াটে বাতাসে, নালিশ রেখে যায়।।

আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু

পাখি আনমনা বসে দেয়ালে, পাখি নির্বাক চোখ রাস্তায়,
ধোঁয়াটে শহরের উষ্ণতা বাড়েনা,
তার আনমনা চোখ, অবুঝ চোখ মনের দরজায়, আঙুল রাখেনা।

কিছু সুর তুমি এনে দাও পাখি নাগরিক কোলাহলে
তুমি গান গাও, তুমি শীষ দাও এই শহুরে দেয়ালে
তুমি ভুলে যাও এই শহরের যত ব্যস্ত জনকথা
আমি এসেছি তোমার কাছে এনে দাও স্বাধীনতা।

দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু
আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
আমি জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি...... তোমার পিছু।

ক্যাফেটেরিয়া
কথা:জিয়া
সুর: তুষার/জিয়া

পড়ন্ত বিকেল ক্যাফেটেরিয়া
উঁকি দিয়ে দেখি,
এক কাপ চা, গরম তৃষ্ণায়
অজস্র এলোমেলো শব্দের ভীড়ে
তোমার শীতল চোখ ভিজিয়ে যায় আমায়।

যেখানে তোমার ঠোঁট ভালবাসা
আমি বুড়ো কবিতার মত চুপচাপ।
যেখানে তোমার চোখ খুনী
আমি খুন হই...... প্রতিদিন।

ভবঘুরে ঝড়
কথা:জিয়া
সুর: জিয়া

চৌরাস্তার উঁচু ল্যাম্পপোস্ট ছাড়িয়ে,
নিঃশ্বাস নিয়ে একটু দাঁড়িয়ে
চারিপাশে বিমূর্ত রেখায়,
আমি, ভবঘুরে ঝড়, তোমাদের খুব কাছে
ছায়া হয়ে যাই,
তোমাদের ভালোবাসা......

শনশন উত্তাল হাওয়ায়,
চৌরাস্তার ল্যাম্পপোস্ট হাঁপায়
এক কাপ গরম চায়ে,
আমি, ভবঘুরে ঝড়,
তোমাদের খুব কাছে
ভিজে একাকার,
তোমাদের ভালোবাসা......

কখনো তোমাদের অজানা জানায়
বাউন্ডুলে ঝড় আমায় ভাবায়......
তোমাদের ছায়ায়,
নির্বাক ভালোবাসা
আমি আজন্ম ভবঘুরে......
ঝড় নিয়ে আসি।

অনেক আশা নিয়ে
কথা: জিয়া
সুর: জিয়া

অনেক সবুজের প্রান্তে তুমি থাকো একাকী
আমি ধূসর, ধূসর হয়ে জেগে থাকি।
অনেক মানুষের ভীড়েও তুমি থাকো একাকী
আমি অনেক আশা নিয়ে বসে থাকি।

হেরে যেতে যেতে যদি থমকে,
এক নিঃশ্বাসে সব পেরিয়ে
রোদ ঝলমলে এক দুপুরে,
যদি ঘুম সব ঘুম ভেঙে যায়
আমি অনেক আশা নিয়ে জেগে থাকি।

দরজার বাইরে রঙীন পৃথিবী,
ধূলো ধূলোমাখা দাঁড়িয়ে আছে
ঝড়ের আশায় তোমার শহরে,
শিরোনামহীন ফুটপাত ঘুমিয়ে গেছে।
একদিন এই ঝড়, তোমার এই শহরে,
ভেজায় যায় সব জানালা তবু আমি বসে আছি।
অনেক মানুষের ভীড়েও তুমি থাকো একাকী।
আমি অনেক আশা নিয়ে জেগে থাকি।

বন্ধ জানালা
কথা: জিয়া
সুর : জিয়া

আরেকবার যেতে চাই রিম ঝিম ঝিম সুদূরপুর
অবাক রোদ ভেজা তপ্ত দুপুর
আরেকবার তোমাদের লাল, নীল রং আনন্দে
একলা রাস্তায় এক চিলতে রোদ্দুর।
সারা বেলা বন্ধ জানালা ......


যদি তোমাদের অনেক শব্দ, আমার জানালায়
ছোট ছোট আনন্দের স্পর্শে, আঙ্গুল রেখে যায়
যদি সহস্র শব্দের উৎসব থেমে যায়
সারা বেলা বন্ধ জানালা ......
যদি তোমাদের লাল নীল গল্প আমার শরীরে,
কোন একলা রাস্তায় অবাক ভ্রমণে
যদি ইচ্ছের নীল রং আকাশ ছুঁয়ে যায়
সারা বেলা বন্ধ জানালা ......

ভালবাসা মেঘ
কথা: জিয়া/কাঠুরিয়া
সুর : জিয়া

মেঘ ঝড়ে ঝড়ে বৃষ্টি নামে,
বৃষ্টির নাম জল হয়ে যায়
জল উড়ে উড়ে আকাশের গায়ে
ভালবাসা নিয়ে বৃষ্টি সাজায়

ইচ্ছে গুলো ভবঘুরে হয়ে, চেনা অচেনা হিসেব মেলায়
ভালবাসা তাই ভিজে একাকার, ভেজা মন থাকে রোদের আশায়

ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

চুপি চুপি রোদ, উঁচু নীচু মেঘ, সারি সারি গাড়ি
দূরে দূরে বাড়ি......
নিভু নিভু আলো, চুপ চাপ সব কনকনে শীত
ছম ছমে ভয়......
সংলাপ সব পড়ে থাক, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে যাক।

ঘুরে ঘুরে যদি, দূরে দূরে তবু মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

মেঘ ঝড়ে ঝড়ে ...... জল উড়ে উড়ে .....
ভালবাসা তাই ...... ভেজা মন থাক .....

ঝিরি ঝিরি হাওয়া কৃষ্ণচূড়ায়, লাল লাল ফুলে,
ছুটে ছুটে চলা ......
আধো আলো ছায়া, গুণ গুণ গাওয়া
পুরনো দিনের গল্প বলা ......
সংলাপ সব পড়ে থাকে, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে থাক।

ঘরে ফেরা পথে, নিরবে নিভৃতে মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা

সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা
রঙ ছিল ফাল্গুনি হাওয়াতে
সব ভালো লাগছিল চন্দ্রিমায়
খুব কাছে তোমাকে পাওয়াতে।।

মন খুশি উর্বশী সেই রাতে
সুর ছিল গান ছিল এই প্রাণে
ঐ দুটি হাত ছিল এই হাতে
কি কথা বলছিলে মন জানে
সব ভালো লাগছিল তুমি ছিলে তাই
মন ছিল মনেরই ছায়াতে।।

রাত আসে রাত চলে যায় দূরে
সেই স্মৃতি ভুলতে কি আজ পারি
পুরানো দিন আছে মন জুড়ে
ভালোবাসা হয়েছে ভিখারী
ধূপকাঠি মন জ্বলে একা একা তাই
সেই তুমি নেই তুমি নেই সাথে।।

অর্থহীন

চাইতে পারো – ২

চাইতে পারো আবার সেই জোছনা
ঘরের সিলিংয়ে সন্ধ্যাতারাটা,
চাইতে পারো সারারাত আর সারাদিন
হবে না যে কখনো আর লোডশেডিং।

চাইতে পারো আমার ঘাড়ে পা রেখে
আকাশটা ছোয়ার স্বপ্ন দেখতে,
চাইতে পারো শুনতে নতুন এক গান
করব না যেখানে তোমায় আর অপমান।
এক মুঠো গোলাপ আর ঐ নীল আকাশ
আকাশের ঐ চাঁদ অথবা এই রাত,
কান্না ভেজা চোখ, অথবা মিষ্টি হাসি
যতই দেখাও আমাকে পাবেনা কিছুই তুমি।
তোমার জন্য নয় আমার কোন কিছুই,
বলেছিলাম অনেক আগে ভুলে গেছ কি!
চাইতে পারো তুমি G-series থেকে
ফুয়াদ ফিচারিং আলবাম ছাড়তে,
চাইতে পারো চেষ্টা করে দেখতে
কে আছে আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে।
চাইতে পারো তুমি হয়ে যেতে আজকে
FM চ্যানেলের হিট কোন RJ,
চাইতে পারো নতুন এক Deo স্প্রে
মনের দূর্গন্ধটা দূর করতে।
এক মুঠো গোলাপ আর ঐ নীল আকাশ
আকাশের ঐ চাঁদ অথবা এই রাত,
কান্না ভেজা চোখ অথবা মিষ্টি হাসি
যতই দেখাও আমাকে পাবেনা কিছুই তুমি।
তোমার জন্য নয় আমার কোন কিছুই,
বলেছিলাম অনেক আগে ভুলে গেছ কি!
এক মুঠো গোলাপ আর ঐ নীল আকাশ
আকাশের ঐ চাঁদ অথবা এই রাত,
কান্না ভেজা চোখ অথবা মিষ্টি হাসি
যতই দেখাও আমাকে পাবেনা কিছুই তুমি।
তোমার জন্য নয় আমার কোন কিছুই,
বলেছিলাম অনেক আগে ভুলে গেছ কি!

বৃষ্টি নেমেছে আজ আকাশ ভেঙে

বৃষ্টি নেমেছে আজ আকাশ ভেঙে
হাঁটছি আমি মেঠো পথে
মনের ক্যানভাসে ভাসছে তোমার ছবি
বহুদিন তোমায় দেখিনা যে।
তোমায় নিয়ে কত স্বপ্ন
আজ কোথায় হারাই
পুরানো গানটার সুর
আজ মোরে কাঁদায়।
তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
আমি তো বসে ছিলাম নিয়ে সেই গানের সুর
তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
চলে গেছো কোথায় আমায় ফেলে বহু দূর।
সাদাকালো জীবনের মাঝে রঙীন ছিলে তুমি শুধু
তোমায় নিয়ে লেখা কত কবিতায় দিয়েছি কত সুর
আজ আমার হাতোর মুঠোয় নেই যে তোমার হাত
ভোরের আলো ফুটবে কখন ভেবেছি কত রাত..
তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
আমি তো বসে ছিলাম নিয়ে সেই গানের সুর
তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
চলে গেছো কোথায় আমায় ফেলে বহু দূর।
যুদ্ধ শেষে আজ ঘরে ফিরে দেখি নেই তুমি যে পাশে
ভেবেছিলাম তুমি থাকবে দাড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল হাতে
তবে কি যুদ্ধে গেলাম তোমায় হারাতে
এপিটাফে লেখাগুলো পড়ি ঝাপসা চোখে
আমি তো দিয়েছিলাম তোমায় কৃষ্ণচূড়া ফুল
তুমি তো গেয়েছিলে সেই নতুন গানের সুর
আমি তো দিয়েছিলাম তোমায় কৃষ্ণচূড়া ফুল
তবে কেন গেলাম আমি চলে তোমায় ফেলে বহু দূর।


অর্থহীন এর অসাধারন একটি গান...পড়ে দেখ ভাল লাগবে...
শিরোনাম - তুমি
ব্যান্ড - অর্থহীন
অ্যালবাম - বিবর্তন
=>লিরিক্স=>
তুমি আসলে আবার অন্যরূপে
তুমি বাসলে ভালো আমারে
আমার এ গান শুধু তোমায় নিয়ে
আমার এ মন শুধু তোমায় ভাবে
তবু কেন তুমি কাঁদো
এইতো আমি চেয়ে দেখো

তুমি নিলে আমায় আপন করে
একরাশ ভালোবাসা বুকে নিয়ে

তুমি নিলে আমায় আপন করে
একরাশ ভালোবাসা বুকে নিয়ে
আমার এ গান শুধু তোমায় নিয়ে
আমার এ মন শুধু তোমায় ভাবে
তবু কেন তুমি কাঁদো
এইতো আমি চেয়ে দেখো

আমিতো তোমারই জন্যই গেয়ে যাব গান
আমার এই হৃদয়ের মাঝে শুধু তোমারই নাম

আমিতো তোমারই জন্যই গেয়ে যাব গান
আমার এই হৃদয়ের মাঝে শুধু তোমারই নাম

আমার এ গান শুধু তোমায় নিয়ে
আমার এ মন শুধু তোমায় ভাবে
তবু কেন তুমি কাঁদো
এইতো আমি চেয়ে দেখো
তুমি আসলে আবার অন্যরূপে
তুমি বাসলে ভালো আমারে......

শিরোনাম: Aushomapto (অসমাপ্ত)
ব্যান্ড: Aurthohin (অর্থহীন)
অ্যালবাম: Aushomapto-1

তাকিয়ে থাকা শুণ্য দৃষ্টিতে
দেয়ালের অপার্থিব আলোর ভীড়ে,
ওপাশের আলো ফাটল ধরায়
সব যুক্তিতে সব বিশ্বাসে।

আমার শিরায় শিরায় গাঢ় অন্ধকার
শিকড় গড়ে আদরে,
আমার অবশ শরীর
ক্লান্তি হারায় অধিকার নিয়ে।

সব আলো নিভিয়ে দাও
ঘুমাব আমি আলোর শেষে,
জয় হোক ক্লান্তির
জয় হোক অবসাদের।

পৃথিবীর সব ঘুম
আমার চোখের পাতায়,
জড় হয় কিসের আশায়
জানা নেই আমার।

আমার শিরায় শিরায় গাঢ় অন্ধকার
শিকড় গড়ে আদরে,
আমার অবশ শরীর
ক্লান্তি হারায় অধিকার নিয়ে।

সব আলো নিভিয়ে দাও
ঘুমাব আমি আলোর শেষে,
জয় হোক ক্লান্তির
জয় হোক অবসাদের।।

তবুও আঁধার শেষে
দেখা দেয় আলো,
অনেক সম্ভাবনার মাঝে
খেলা করে রোদ।

শিরোনাম: নির্বোধ [Nirbodh]
ব্যান্ড: অর্থহীন
অ্যালবাম: বিবর্তন

নিঝুম রাতে ছাদের কোনে
বসে থাকি আমি
মনের মাঝে ঘুরতে থাকে
সুখের সব স্মৃতি

আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে ছাদে
মিষ্টি চাঁদের আলো
জোছনাটা দেখলে যে
সবই লাগে ভালো

হে নির্বোধ তুমি যে এখনো একটি শিশু
ছেড়া কাঁথায় ক্ষুধার্ত শরীরে ভালো লাগে না কিছু
ভরা পেটে নরম বিছানায় স্বপ্ন দেখো তুমি
পূর্ণিমার চাঁদটা আমার কাছে ঝলসানো এক রুটি

বুকের মাঝে লুকিয়ে আছে
আমার ভালোবাসা
ছড়িয়ে দেবো আকাশটাতে
নতুন এক আশায়
কোন একদিন আমার সামনে
এসে দাড়াবে সে
বলবে সে ভালোবাসি
মুচকি হেসে

তোমার কথা শুনে আমার যে হাসি পায়
কি দেখেছো তুমি নির্বোধ এই ভালোবাসায়
ভালোবাসা যে আসলে প্লাস্টিকের ফুল
বর্ন আছে গন্ধ নেই করো না এ ভুল

আমার আছে সুরের জগৎ
হারাই আমি সেথায়
নতুন গান নতুন সুর
আমার গানের খাতায়
সুর দিয়েই আমার জগৎ
আমি ভরিয়ে রাখি
দুঃখ আর অস্থিরতা
দুর করে ফেলি

সুরের জগৎ নিয়ে অহংকার নির্বোধ তুমি
এ জগতেও আছে ভন্ডামি আছে রাজনীতি
মনের মাঝে অনেক কথা আমি বলতে পারিনি
নেতাদের এই নোংরামিতে হারিয়ে গেছি আমি

তোমার এই হতাশা
ভুলে গিয়ে অন্যভাবে
চল দেখি এই পৃথিবীটাকে
তোমায় দেখে মনের মাঝে
আজ আমার প্রশ্ন জাগে
তবে কি সবই ভুল

শিরোনাম: আমার প্রতিচ্ছবি [AMAR PROTICHOBI]
ব্যান্ড: অর্থহীন
অ্যালবাম: অসমাপ্ত -১

যাচ্ছে আমার সব হারিয়ে একটু একটু করে
পলক ফেলতে ভয় লাগে আজ আমার এই চোখে,
তোমায় নিয়ে নতুন একটি গান লিখতে বসে
তাকিয়ে দেখি নেই যে তুমি গান টা লেখার শেষে।

যাচ্ছে আমার সব মিলিয়ে একটু একটু করে
রাতের ঘুম গানের গলা যাচ্ছে যেন মরে।
হাসতে গেলে এখন আমার পানি আসে চোখে
কখন জানি হঠাৎ আবার চোখের রক্ত ঝরে।

সৃস্টি হবে অন্যরকম একটি গল্প আজ
আলোর নিচে সাজবো আমি অন্ধকারের সাজ,
দেখো আবার আসেনা যেন তোমার চোখে পানি,
হঠাৎ করেই দেখবে তুমি হারিয়ে গেছি আমি।

তাই এখন চাঁদের ভেতর চঁন্দ্রবিন্দু আঁকি,
নীল চোখে সুঁই ফুটিয়ে লাল ছবি আঁকি।
চিন্তাগুলো আমার কেমন যেন এলোমেলো
সুত্ত্রগুলো উল্টো করে ভুল অঙ্ক কষি।
যখন আমি থাকবনা আর যেয় আমায় ভুলে,
হয়তো ঘড়ির কাঁটার মত আসব আমি ফিরে।

জানি বলছি আবোল তাবো্ল উল্টো পাল্টা কথা
তবুও কেনো যাচ্ছে না যে মনের চাপা ব্যথা।

সৃস্টি হবে অন্যরকম একটি গল্প আজ
আলোর নিচে সাজবো আমি অন্ধকারের সাজ,
দেখো আবার আসেনা যেন তোমার চোখে পানি,
হঠাৎ করেই দেখবে তুমি হারিয়ে গেছি আমি।
হারিয়ে গেছি আমি…

আমার এই শেষ গানটার শেষ অধ্যায়
যদি বলি একটি কথা পারবে কি শুনতে,
আমার এপিটাফের গায়ে যেন থাকে লেখা,
গেত গান এই মানুষটা খুব মন্দ না।

হারিয়ে গেছি আমি…

শিরোনাম: আমার প্রতিচ্ছবি [AMAR PROTICHOBI]
ব্যান্ড: অর্থহীন
অ্যালবাম: বিবর্তন


মুখটা তুলে আকাশটাতে
দেখ আরেকবার
তোমার সাথে আছি আমি
যে চিরকাল
জোছনার আলো যখন
তোমার গায়ে পড়ে
আমি তখন থাকি তোমারই
পাশে পাশে

মনটা খারাপ করে যখন
তুমি একা থাকো
ভেবো আমি শোনাই তোমায়
মজার কোন গল্প
চোখের পানি মুছে ফেলে
ভেবো একটুখন
তোমার মাথায় হাতটা বুলাই
যখন তখন

রাতের আকাশ ভরা তারা
হয়তো বা চলে যাবে
থাকবো হয়ে আমি শুকতারা
শীতের সকাল গাছের পাতা
হয়তো বা ঝরে যাবে
থাকবো হয়ে আমি নীল আকাশ

দুপুর বেলায় কবিতার
বইটা পড়তে বসে
চোখের দৃষ্টি যখন তোমার
ঝাপসা হয়ে ওঠে
ভেবো আমি পাশেই আছি
তোমার পানে চেয়ে
কবিতাটায় সুর বসাচ্ছি
গানের মত করে

ভোরের আলোয় পাখির ডাকে
ঘুমটা ভাঙে যখন
বাগানটাতে হাটার সময়
আমায় ভেবো তখন
ঘাসের মাঝে শিশির কনায়
তাকিয়ে দেখ তুমি
আছে সেথায় তোমার সাথে
আমার প্রতিচ্ছবি

রাতের আকাশ ভরা তারা
হয়তো বা চলে যাবে
থাকবো হয়ে আমি শুকতারা
শীতের সকাল গাছের পাতা
হয়তো বা ঝরে যাবে
থাকবো হয়ে আমি নীল আকাশ

প্রবাস থেকে [Probash Theke] - অর্থহীন
শিরোনাম: প্রবাস থেকে [Probash Theke]
ব্যান্ড: অর্থহীন
অ্যালবাম: বিবর্তন

একটি ছেলে রাতের ঘুমটা ফেলে
করছে স্মৃতি রোমন্থন
বুকের মাঝে তার হাহাকার
আর চাপা ক্রন্দন

কতদিন দেখিনা তোমায়
কতদিন দেখিনা
কতদিন দেখিনা তোমায়
আমার বাংলাদেশ
কতদিন দেখিনা

একটি মেয়ে কোন এক দুরদেশে
যাচ্ছে সকালে অফিসে
হয়না যে তার আর ছাদে বৃষ্টিতি ভেজা
খাওয়া হয় না যে আমের আচার

কতদিন দেখিনা তোমায়
কতদিন দেখিনা
কতদিন দেখিনা তোমায়
আমার বাংলাদেশ
কতদিন দেখিনা

একজন মানুষ ফিরছে বাড়ি
সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি
শোনে না যেন সে অনন্তকাল
ভোরের সেই আজানের ধ্বনি

মনেপরে তার গাঁয়েরই কথা
শীতের রাতে আগুন পোহানো
ভোরবেলায় খেজুর গাছে
বন্ধুরা মিলে রসচুরি করার আনন্দ

কতদিন দেখিনা তোমায়
কতদিন দেখিনা
কতদিন দেখিনা তোমায়
আমার বাংলাদেশ
কতদিন দেখিনা


আর্টসেল

1) দুঃখ বিলাস(২০০২)
অ্যালবামঃ অনুশীলন,
লেখকঃ জর্জ লিংকন ডি কস্টা

তোমরা কেউ কি দিতে পারো প্রেমিকার ভালবাসা?
দেবে কি কেউ জীবনে উষ্ণতার সত্য আশা?
ভালবাসার আগে নিজেকে নিও বাজিয়ে,
আমার মনের মত নিও সাজিয়ে..
আমি বড় অসহায় অন্যপথে,
একটি নাটকই দেখি মহাকালের মঞ্চে।
ও আমায় ভালবাসেনি,
অসীম এ ভালবাসা ও বোঝেনি..
ও আমায় ভালবাসেনি,
অতল এ ভালবাসা তলিয়ে দেখেনি..

তোমরা কেউ কি করবে আমার জন্য অপেক্ষা?
ভালবাসবে শুধুই আমায়, করবে প্রতিজ্ঞা?

এত ভিড়েও আজও আমি একা, মনে শুধুই যে শুন্যতা..
আঁধারে যত ছড়াই আলো, সবই আঁধারে মিলায়।
ও যে কোথায় হারালো, ব্যাথা কাকে যে শুধাই?

[কথিত আছে যে আর্টসেলের ভোকাল ও গিটারিস্ট লিংকন তাঁর স্কুলজীবনে গানটি লিখেছিলেন তৎকালীন ব্যর্থ প্রেমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে]

2) ধূসর সময়

নোনা স্বপ্নে গড়া তোমার স্মৃতি;
শত রঙে রাঙ্গিয়ে মিথ্যে কোনো স্পন্দন..
আলোর নিচে যে আঁধার খেলা করে,
সে আঁধারে শরীর মেশালে..

আজ আমি ধূসর কি রঙিন সময়ে পথ হারাই তোমাতে..

জীবনের কাঁটাতারে তুমি অন্ত্যমিলের অপুর্ণতায়,
বেওয়ারিশ ঘুড়ি উড়ে যাও অনাবিল আকাশের শূন্যতায়..

তবুও আমি কি খুঁজি মানুষের বিষাদের চোখে?
কোথায় আলোর উৎসবে স্বপ্নের প্রতিবিম্ব ভাঙে?
একা একা আমি থাকি দাঁড়ায়ে,
স্মৃতির ঝড়ো বাতাসে দু'জনার শরীর মেশাই..

3) শহীদ সরণি

ভোর হোক তোমার জানালায়,
ভোর হোক ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া শহরে।
শহীদ সরণির পীচঢালা পথে
রৌদ্র আসুক আশাবাদী অক্ষর হয়ে।
বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক
মানুষের অনন্তকালের ইতিহাসের পায়ে।

তোমার স্থল-মাইন আবাদি মাটির প্রাণরসে ভিজে কান্নাসিক্ত পৃথিবী হোক..

তোমার জানালায় মৃত শিশু, পড়ে থাকে যুদ্ধাহত সময়ের বাসি রোদ
কবির মত দুস্থ উদার হোক তোমার ব্যারাকে ব্যবহৃত প্রতিটি সৈনিক হৃদয়..

তোমার বিনিদ্র প্রহরার রাত
শব্দ পাক মানুষের গরাদ ভাঙার;
ভোর হোক তোমার অন্ধ চোখে,
যুদ্ধের অহর্নিস ধ্বংসস্তূপ, ইতিহাস..

4) অনিকেত প্রান্তর

তবুও এই দেয়ালের শরীরে
যত ছেঁড়া রঙ, ধুয়ে যাওয়া মানুষ, পেশাদার প্রতিহিংসা,
তোমার চেতনার যত উদ্ভাসিত আলো;
রঙ আকাশের মতন অকস্মাৎ নীল,
নীলে ডুবে থাকা তোমার প্রিয় কোন মুখ,
তার চোখের কাছাকাছি এসে কেন পথ ভেঙে..

দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে,
বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ..

তবুও এইখানে আছে অবলীল হাওয়া
জানালা বদ্ধ ঘরে আসে যায়,
দেয়াল ধরে বেঁড়ে ওঠে মধ্যরাত,
তোমার ছায়ায় জমে এসে ভয়।
আলোকে চিনে নেয় আমার অবাধ্য সাহস,
ভেতরে এখন কি নেই কাপুরুষ অন্ধকার একা?
তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায়,
রাত্রির এই একা ঘর ঝুলে আছে শূন্যের কাঁটাতারে..
দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে,
মিশে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ..

তবুও এই দুটি কাঁটাতার এ শহরের মত করে ভিড়ে ভরে গেছে,
ঘুম আমার অচেতন কখন বেওয়ারিশ মাটির কাছে এসে
সময় কে এপিটাফ ভেবে হাঁটু গেঁড়ে বসে..

তবুও এখানে বাতাস আসে দুরত্বের উৎসাহে,
শরৎ জমে আছে ঠাণ্ডা ঘাসে;
তোমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ
এখানে ভাঙে না দুটো দেশে।
মেঘের দূরপথ ভেঙে,
বুকের গভীর অন্ধকারে আলোর নির্বাসন
স্মৃতির মতন অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে
সময় থেমে থাকে অনাগত যুদ্ধের বিপরীতে।

এখানে সরণির লেখা নেই নাম কোন শহীদ স্মারকে,
তোমার জন্য জমা থাকে শুধু স্বপ্নঘর।
জানালায় ঝুলে থাকে না শূন্যতার অবচেতন,
তোমার ঘরের অন্ধ আলোয় অদেখা এখানের নির্জন অনিকেত প্রান্তর..

তবুও তোমার ভাঙা স্মৃতি, ছেঁড়া স্বপ্ন, দোমড়ানো খেলাঘর;
ছেঁড়া আকাশ, ভাঙা কাঁচে আলো আর অন্ধকার তোমার।
তোমার দেয়ালে কত লেখা,
মানুষের দেয়ালে দেয়ালে বেঁড়ে ওঠে কাঁটাতার,
এখানে এ মহান মানচিত্রের ভাগাড়।

তোমার শূন্যঘরে ভরা স্মৃতি,
জড় পাথরে লেখা নাম- শহীদ সরণি।
জানালার বাইরে ভেসে গেছে দূরের আকাশ,
বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে,
বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মত তুমি..

তোমার স্বপ্নের দলা পাকানো বাসি কবিতা নষ্ট করে
তোমার জানালার বাইরে শূন্য আকাশ তবুও অনিকেত এই প্রান্তরে..
এখানে এখনও শরতের প্রচুর বাতাসে,
সবুজের ঘ্রানে ভরে আছে অন্ধকার এ ঘর;
তোমার দেয়ালে এখন শুধু মৃত্যুর মৃত রেখাপাত..

তোমাকে কড়া নাড়ে স্মৃতিরা, ভাঙা স্বপ্ন,
ঘুমের মত নেশাময় কত কত শিশু।
কত আলোর মশাল নিভে গেছে,
নিভে গেছে কত অচেনা ভয়;
তোমাকে এখন অপরিণত এক অচেনা স্মৃতি মনে হয়।
তোমার জানালার বাইরে শূন্যে দূরের স্বপ্নঘর
ঝুলে আছি নির্জনতায়,
মৃত্যু কি অনিকেত প্রান্তর?

5)অবশ অনুভূতির দেয়াল

তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়
তবু তোমার টুকরো ছায়ায়
ডুবে আছে কত মিথ্যে আগুন অন্ধকারময়
কত স্মৃতি কত সময়
তোমার জন্য পৃথিবীতে আজকে ছুটির রোদ
নিজের মাঝে তোমায় খোঁজা
আকাশ নীলে তাকিয়ে থাকা

তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়
মেঘাচ্ছন্ন ব্যস্ত ঢাকায়
মানুষগুলো শূন্য চোখে দুঃখ দ্বিধায়
আকাশ পানে তাকায়
তোমার জন্য পৃথিবীতে থেমে যায় সময়
আমার দেহে রাত্রি নামায়
মিথ্যে আগুন অন্ধকারময়

ভীড়ের মাঝে আবার ভীড়ে
আমার শরীর মিশে কোলাহলে
দুঃখ ভুলে মিশে যাই মুখোশ স্রোতে
অনেক দুরের একলা পথে
ক্লান্ত আমি ফিরি তোমার কাছে
মুখোশ খুলে বসে রই জানলা ধরে

আমার গানের শব্দ সুরের অন্তরালে
তোমায় আঁকি কান্না চেপে
মহাকালের ক্লান্ত পথে

তোমার জন্য বৃষ্টি ঝরে আমার লেখায়
আলোর মতন মিথ্যে ছায়ায়
পাথর হয়ে ঘুরে মরে আমার হৃদয়
কত স্মৃতি কত মিথ্যে ভয়

তোমার জন্য গলার ভেতর
আটকে থাকে ক্রোধ
আমার চোখে স্মৃতির ঘোলা জল
নির্জনতায় তোমার কোলাহল

তোমার না থাকা অস্তিত্ব
রয়ে গেছে আমার নিঃশ্বাসে
ফেলে আসা এই পথে দুজনেই একসাথে

আমার অবশ
অনুভূতির দেয়াল জুড়ে কত সময়
হেটে এসে আমরা দু’জন
হারিয়েছি পথ কোথায় কখন

আমার দেহে খুঁজে ফিরি
তোমার অনুভূতি
তোমার চোখের দুরের আকাশ
মিশে থাকে রূপক হয়ে

তোমার জন্য
বিষন্ন এক নিথর হৃদয় আমার ভেতর
দাঁড়ায় সরব একা
তোমার পৃথিবী স্বর্গের মতন
চির অদেখা

তোমার জন্য পথ হারিয়ে অজানায়
তবু তোমার লেখায় কথায়
ফেরে ক্লান্ত আমার অলস সময়
কত স্মৃতি অন্ধকারময়

6)শিরোনামঃ এই বৃষ্টি ভেজা রাতে
কন্ঠঃ লিংকন ( আর্টসেল )

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে তুমি নেই বলে
সময় আমার কাটে না
চাঁদ কেনো আলো দেয় না
পাখি কেনো গান গায় না
তারা কেনো পথ দেখায় না
তুমি কেনো কাছে আসো না?
সমুদ্রের ঝড়ো হাওয়া বলে
তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায়
পাখি মৃদু কন্ঠে বলে
তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায়
এই শরতেরই সন্ধ্যায় তুমি নেই বলে
সময় আমার কাটে না
কাশফুল কেনো ফুটে না, ছুয়ে ছুয়ে যায় না
মেঘের ভেলায় ভাসেনা, ভেসে তুমি কেনো আসো না?
ঝরে যাওয়া সব অশ্রু বলে
তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায়
হৃদয়ের যত অনুভুতি আছে
তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায়
এই বসন্তেরই সন্ধ্যায় তুমি নেই বলে
সময় আমার কাটে না
ফুলগুলো কেনো হাসেনা, হৃদয়ে দোলা দেয়না
আবেশেতে জড়ায়না
তুমি কেনো কাছে আসোনা?

7)পথচলা

আমার পথ চলা আমার পথে
যেন বেলা শেষে আকাশ কার মোহে
আমার স্বপ্ন আমার সাথে
যেন স্বপ্নে ফিরে আসে স্বপ্ন হয়ে
খুঁজে পায় জীবনের তীর
জীবনকে কোন স্বপ্ন ভেবে
আমি কার আশাতে
ছুটে চলি পথে পথে
যেন কার মায়াতে
বাধা পড়েছে জীবন যে
কত সুখ কল্পনা
কত মিথ্যে প্রলভন
কষ্টের প্রতিটিক্ষন
শোনায় তার আহবান
আমার আলোয় আলোকিত
হতে চেয়ে আধাঁরে মিলিয়ে
আমার স্বপ্ন আমার সাথে
যেন স্বপ্নে ফিরে আসে স্বপ্ন হয়ে
খুঁজে পায় জীবনের তীর
জীবনকে কোন স্বপ্ন ভেবে
আমি কার আশাতে
ছুটে চলি পথে পথে
যেন কার মায়াতে
বাধা পড়েছে জীবন যে
কত সুখ কল্পনা
কত মিথ্যে প্রলভন
কষ্টের প্রতিটিক্ষন
শোনায় তার আহবান
আমি আজ নেই তবু
কত সুর ওঠে বেজে
তোমার ঐ গানের মাঝে
এই পথ গেছে মিশে
আমার বেলা শেষে
স্বপ্ন ফিরে আসে
পৃথিবীর দূর দেশে
জীবনকে কোন এক স্বপ্ন
ভেবে

8)দুঃখবিলাস

তোমরা কেউ কি দিতে পারো
প্রেমিকার ভালোবাসা
দেবে কি কেউ জীবনে উষ্ণতার
সত্য আশা
ভালোবাসার আগে নিজেকে নিও বাঁচিয়ে
আমার মনের মত নিও সাজিয়ে
আমি বড় অসহায় অন্যপথে
একটি নাটকই দেখি মহ্কালের মঞ্চে
ও আমায় ভালোবাসেনি
অসীম এ ভালোবাসা ও বোঝেনি
ও আমায় ভালোবাসেনি
অতল এ ভালোবাসা তলিয়ে দেখেনি
তোমরা কেউ কি করবে
আমার জন্য অপেক্ষা
ভালোবাসবে শুধুই আমায়
করবে প্রতিজ্ঞা
ভালোবাসার আগে নিজেকে নিও বাঁচিয়ে
আমার মনের মত নিও সাজিয়ে
আমি বড় অসহায় অন্যপথে
একটি নাটকই দেখি মহ্কালের মঞ্চে
ও আমায় ভালোবাসেনি
অসীম এ ভালোবাসা ও বোঝেনি
ও আমায় ভালোবাসেনি
অতল এ ভালোবাসা তলিয়ে দেখেনি
এতো ভিড়েও আজো আমি একা
মনে শুধু যে শূন্যতা
আঁধারে যতো ছড়াই আলো
সবই আঁধারে মেলায়
ও যে কোথায় হারালো
ব্যাথা কাকে যে শুধাই

9)শিরোনামঃ ভুল জন্ম
কন্ঠঃ লিংকন
ব্যান্ডঃ আর্টসেল
অ্যালবামঃ অন্য সময়

আমি জন্মাতে দেখেছি
জীবনের সব ভুলগুলো
জীবন ভুল না হতে পারে
হয়ত সময় ভুল ছিল
সময়ের ভুলে জীবন মঞ্চে
অভিনয় করছি আমি
নষ্ট হচ্ছে স্বকীয়তা
ক্রমশ নষ্ট হচ্ছি আমি(২)

তবু চিৎকার যখন অর্থহীন আর্তনাদ
প্রতিবাদ কোন দুর্বোধ্য ভাষা
সবাই যখন আদিম উল্লাসে মত্ত
ভুল জন্ম তোমাকে জানাই বিদায়

স্বপ্ন মঞ্চে মেলানো যায়না জীবন
অলীক স্বপ্নে বদলায় না বাস্তবতা
সময় বদলায়, বদলায় এ জীবন
ধীরে ফিকে হয়ে যায় আমার এ অস্তিত্ব

ভুলের বেসাতি শেষ হয়ে যাক এবার
কষ্টে ডুবে থাকা নয়
নয় আর হাহাকার
আমার দ্বৈত স্বত্তা
করছে আজ অস্বীকার
সময় তাকিয়ে দেখো
পরিবর্তন বাস্তবতার

চোখের কোণে লেগে থাকা স্মৃতি
ঘুমের মত তীব্র ভালবাসা
আলিঙ্গনে নিমগ্ন শূন্যতা
ভুল জন্মে আমার অসারতা........

10) শিরোনামঃ চিলে কোঠার সেপাই
কথাঃ রুম্মান আহমেদ
কন্ঠঃ লিংকন
ব্যান্ডঃ আর্টসেল
অ্যালবামঃ আগন্তুক-২

যা দেখ যা দেখ না
ভাঙে যত অনুভুতি চেনা অচেনা
তোমার অনাগত সম্ভাবনায়
জমে ঘুণ পোকার আর্তনাদ
তোমার নীল আকাশ শূন্য চোখে
চেয়ে থাকে অন্ধকার দেয়ালে
তোমার আলো জন্ম দেয়
মিথ্যে ছায়াকে সম্মোহিত সময়ে
তোমার জানালায় নীল আকাশ
আঁধারে নয় আলোতে ভয়
দৃশ্যগুলো শব্দময়
শূন্যতায় ভীড়ে হারিয়েছে
স্তব্ধ সময়
স্বপ্নময় ঘুমে নয়
শব্ধগুলো দৃশ্যময়
শূন্যতায় নির্বাসিত রয়
স্তব্ধ সময়
ছায়াদের বাঁধা চোখে চোখে ফেরে
সময়ের নির্বাসিত নীল আকাশ
অন্ধকার ভেঙ্গে গড়ে আজ
শব্দ করে ইতিহাস
তোমার নীল আকাশ শূন্য চোখে
চেয়ে থাকে অন্ধকার দেয়ালে
তোমার আলো জন্ম দেয়
মিথ্যে ছায়াকে সম্মোহিত সময়ে
তোমার জানালায় নীল আকাশ
আঁধারে নয় আলোতে ভয়
দৃশ্যগুলো শব্দময়
শূন্যতায় ভীড়ে হারিয়েছে
স্তব্ধ সময়
স্বপ্নময় ঘুমে নয়
শব্ধগুলো দৃশ্যময়
শূন্যতায় নির্বাসিত রয়
স্তব্ধ সময়
তোমার মৃত স্বপ্নের
দৃশ্য আজও ওড়ে
বাতাসে বিগত সময় শব্দ করে
ভুলের চেনা শরীর
চিনি কি তোমাকে
এখানে কে দাঁড়ায়
ছায়ায় মিছিলে
একই অতীত
একই সময়
কেন তবু এই পথের শেষে
জড় অনুভূতি
কেন মেঘে ঢাকা পড়ে ছেড়া আকাশ।









০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×