[প্রকৃত ছবি - ইভান ভিয়েরা]
আমার মৃত্যুর পরে
একবার হলেও সেই চোখের ছায়া
পড়বে এই ঘরে
সুরের এমন এক জগত আমাকে চেনাতে এসে
আমার হৃদয়ের ছায়ায় তারও একটা আলোহীন অংশ, না চাইতেও,
সে ফেলে গেছে।
আমার লিখতে ইচ্ছা হয় না, চার দিন হয়ে গেলো। কথাদের তর্কে-বিতর্কে
ঘুমকেও অনেকরাত কাছে আসতে দিতে পারিনি। তবু
এরকম সুরেদের মাঝে হারিয়ে যাওয়া যায় তখনও।
এরকম সুরে, হারিয়ে যাওয়া থাকে
মিছে মিছে স্মৃতির পিছু নেওয়া থাকে
পিছুটান থাকে। হাসিও থাকে
আক্ষেপের হাসি।
একটা ব্যর্থ অতীতের সংক্ষিপ্ত আক্ষেপের হাসি; তবুও কেন জানি সে হাসি মুখে পড়তেই
নিজেকে আমার অনেক ভালো লাগে। ভালো লাগে আমার অস্তিত্বকে। অস্তিত্ব—
যাকে দীর্ঘ পথ দেখাবার জন্য তার মতোন কোনো ছায়ার জন্মকে এই পৃথিবী বারবার গর্ভ দিয়ে দেয়।
পশ্চিম সমুদ্রে মায়ারা পড়ে থাকে, কান খোলা রেখে। দূর থেকে কেঁদে ভেসে আসে সুর। তেমনি সুর।
কোন সে জানালা থেকে দৃষ্টির কৌতূহলী আবেদন একবার ছুঁয়ে গেছিলো তাকে, তার ভাবনাকে-
ভাবলে আজও মন কাঁপে।
বাতাসে বাতাসে অনুভূতির অস্ফুট হয়ে যাওয়া প্রভাব,
না না হয়ে থাকা ভাব,
দৃশ্যতা-অদৃশ্যতা
সবকিছু
তাকে ঘেরা।
সব অয়োময়োতা
আর সুখো বোধন
তাকেই জানাতে চায় অনেক কথা।
তবু একটা কথা, গোছানো কথাদের ভিড় ছেড়ে বারবারই ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে চায় ইচ্ছের বাইরে।
.. না বললেও সে শুনে নেবে, কোনো না কোনোদিন।
এই ছোট ছোট আনন্দ বুঝে নেবার অধিকার যে দিয়েছিলো একদিন,
এই ছোট ছোট বুঝে পাওয়া।
সচেতনে নয়, এসব অবচেতন-অচেতন ভালোলাগারা অধিকারে পরিণত হয়
কবে যে কীভাবে,
জীবনের খানিকটা সময়ে!
অথচ
মনে রাখি
চিরকাল...... ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৮